Inqilab Logo

মঙ্গলবার ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বাড়ছে বাংলাদেশ, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, জিম্বাবুয়ের আয়

| প্রকাশের সময় : ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্পোর্টস ডেস্ক : ধরুন আপনার আয় হওয়ার কথা ছিল ৪৫০ মিলিয়ন ইউএস ডলার। অঙ্কটা ১৬০ কমে সেটাই হয়ে যাচ্ছে ২৯০ মিলিয়ন! তবে আপনার কপালে চিন্তার ভাঁজটা ধীরে ধীরে রূপ নেবে অশঙ্কায়, তারপর ক্ষোভ আর অসন্তোষে। আরে বাবা, এ তো আর এক-দুশ’ টাকার ব্যাপার নয়। হিসাব যে কোটি কোটি টাকার! আইসিসির নতুন প্রস্তাবিত নীতিতে এক হাজার ২৭২ কোটি ৪০ লাখ টাকা হারাচ্ছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। তবে খুশির খবর আছে নীচু স্তরের দলগুলোর জন্য। নতুন প্রস্তাবে আগের তুলনায় অনেক বেশি আয় করবে বাংলাদেশ, জিম্বাবুয়ে কিংবা ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট। আগের প্রস্তাবে বাংলাদেশের পাওয়ার কথা ছিল মাত্র ৫৪৬ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট পেত আরও কম, ৫২৬ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও শ্রীলঙ্কান বোর্ডের পাওয়ার কথা ছিল ৬৪৬ কোটি টাকা।
২০১৪ সালে পাস হয়েছিল ‘তিন মোড়ল’ নীতি। ‘বিগ-থ্রি’ নীতিতে ২০১৫ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত আইসিসির সম্ভাব্য আয়ের ভাগ বণ্টনের একটা বর্ণনা দেয়া হয়েছিল। তাতে বলা হয়েছিল, আগামী ৮ বছরে আইসিসির আয়ের ২৭.৪ শতাংশই যাবে বিসিসিআই, ইসিবি ও ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার কাছে। ভাগ বাটোয়ারাটাও ছিল অদ্ভুত। অস্ট্রেলিয়া পাবে ২.৭ ভাগ অর্থ, যুক্তরাজ্যের ভাগে ৪.৪ ভাগ। আর ভারত একাই নিয়ে নেয়ার কথা ২০.৩ ভাগ! এত দিন এ নিয়ে সবচেয়ে জনপ্রিয় যে তত্ত¡টা ছিল, ৮ বছরে আইসিসি থেকে ভারত নিয়ে নেবে ৫৭১.৫ মিলিয়ন ইউএস ডলার (বাংলাদেশী মূল্যমানে সেটা চার হাজার ৫৪৪ কোটি ৮৫ লাখ টাকা)!
তবে এদিন জানা গেছে, ৫৭১.৫ মিলিয়ন নয়; অঙ্কটা আসলে ৪৫০ মিলিয়ন ইউএস ডলার (তিন হাজার ৫৭৮ কোটি ৬৩ লাখ টাকা)। এই পরিমাণ টাকা নিশ্চিত পাওয়ার কথা ছিল বিসিসিআইয়ের। কিন্তু নতুন যে অর্থনৈতিক মডেল পাস হতে যাচ্ছে, সেখানে বিসিসিআইয়ের জন্য বরাদ্দ রাখা হচ্ছে মাত্র ২৯০ মিলিয়ন ডলার বা দুই হাজার ৩০৬ কোটি ২৩ লাখ টাকা। অর্থাৎ এক ঝটকায় বিসিসিআইয়ের ভাগের অঙ্কটা কমে গেল ১ হাজার ২৭২ কোটি ৪০ লাখ টাকা! অবশ্য অর্থ বণ্টনের পরিমাণটা কীভাবে ঠিক হচ্ছে সেটা বলা হয়নি এখনো।
সে জন্যই দুবাইয়ের মিটিংয়ে বিসিসিআই চেষ্টা করেছে যে কোনো উপায়ে এই প্রস্তাব পাস হওয়া আটকাতে। জিম্বাবুয়ে ভোট প্রদান থেকে বিরত থাকায় ও শ্রীলঙ্কাকে নিজেদের পাশে পাওয়ায় ভোটাভুটিতে শেষ ফলাফল ছিল ৭-২। আর এতেই সাহস পাচ্ছে বিসিসিআই। কারণ, আইসিসির যে কোনো প্রস্তাব পাস হতে হলে কমপক্ষে তিন-চতুর্থাংশ ভোট পেতে হয়। এপ্রিলে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত যখন নেয়া হবে তার আগেই আর্থিকভাবে দুর্বল বোর্ডগুলোকে নিজেদের পক্ষে টানার চেষ্টা করবে বিসিসিআই। জিম্বাবুয়ের মতো বোর্ডগুলোকে বিসিসিআই কোনো লোভনীয় প্রস্তাবও দিতে পারে ভোট টানার জন্য।
ভারতীয় বোর্ডের এক কর্মকর্তা তো বলেই দিয়েছেন, ‘৮-২ ভোটের প্রাধান্য দরকার ওদের। আর চার সদস্য যদি প্রস্তাবের বিপক্ষে থাকে তাহলে এটা কখনো পাস হবে না। আমরাই জিতব।’



 

Show all comments
  • ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১০:৪৪ পিএম says : 0
    ........... এখন টিক আছে
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বাংলাদেশ


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ