নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস ডেস্ক : শীর্ষ কর্তাব্যক্তিদের সিদ্ধান্তে বড় ধরনের পরিবর্তন আসছে ক্রিকেটে। তিন ধরনের ফর্মেটেই দেখা যাবে এই পরিবর্তন। দুই বছরের টেস্ট লিগ, ১৩ দলের ওয়ানডে লিগ এবং টি- টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অঞ্চলভিত্তিক বাছাইপর্ব চালু করার প্রস্তাবে একমত হয়েছে আইসিসির প্রধান নির্বাহীদের কমিটি। সবকিছু ঠিক থাকলে ২০১৯ সাল থেকে কার্যকর হবে এই নিয়ম।
দুবাইয়ে দুই দিনের সভা শেষে আইসিসির প্রধান নির্বাহী কমিটি এই সিদ্ধান্ত নেয়। এখন এই প্রস্তাব পাঠানো হবে আইসিসির বোর্ড সভায়। গতকাল থেকে শুরু হওয়া বোর্ড সভায় এ নিয়ে আলোচনা না হলে আগামী এপ্রিলে এই প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানিয়েছে ইএসপিএন ক্রিকইনফো।
প্রধান নির্বাহীদের এই সুপারিশ অনুমোদ পেলে ২০১৯ সাল থেকেই দুই স্তরের টেস্ট দেখা যাবে। ৯-৩ ফরম্যাটে ১২টি দল দুই বছর মেয়াদে খেলবে লিগ পর্যায়ের টেস্ট। যেখানে শীর্ষ ৯টি দল খেলবে নিজেদের মধ্যে এবং টেস্টের ১০ নম্বর দল জিম্বাবুয়ের ও সম্ভব্য দুই দল আফগানিস্তান ও আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে। শীর্ষ ৯টি দল দুই বছরে ঘরে ও বাইরে অন্তত একটি করে সিরিজ খেলবে। শীর্ষ দুই দল নিয়ে হবে ফাইনাল। পূর্ণ সদস্য দেশগুলো এর বাইরেও সিরিজ আয়োজন করতে পারবে।
ওয়ানডেতে দেখা যাবে তিন বছর মেয়াদী ১৩ দলের লিগ। প্রত্যোক দল অন্য দলের সাথে একটি করে হোম ও অ্যাওয়ে সিরিজ খেলবে। ওয়ানডের পূর্ণ ১০ দলের সাথে এ ক্ষেত্রে যোগ হতে পারে আফগানিস্তান ও আয়ারল্যান্ড এবং ওয়ার্ল্ড ক্রিকেট লিগে চ্যাম্পিয়ন দলকে। ফলে প্রত্যেক দলই বছরে কমপক্ষে ১২টি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবে। লিগ শেষে শীর্ষ সাত দল ও আয়োজক দেশ সরাসরি অংশ নেয়ার সুযোগ পাবে ৫০ ওভারের বিশ্বকাপে। বাকি পাঁচ দলকে বাছাই পর্ব খেলতে হবে সহযোগী দেশগুলোর সঙ্গে। এখান থেকে দুই দল সুযোগ পাবে মূল পর্বে। মোট ১০ দল নিয়ে হবে মূল পর্বের টুর্নামেন্ট।
সবচেয়ে বিষ্ময়কর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপকে ঘিরে। এবার থেকেই চার পছর পর পর আয়োজনের কথা ছিল ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ততম সংস্করণের এই বিশ্বকাপে। সেই হিসাবে বিশ্বকাপ হওয়ার কথা ২০২০ ও ২০২৪ সালে। কিন্তু এই দুই বিশ্বকাপের মাঝে ২০১৮ ও ২০২২ সালেও দু’টি বাড়তি বিশ্বকাপ আয়োজনের প্রস্তাব রাখা হয়েছে।
এ ক্ষেত্রে দল নির্বাচন করা হবে অঞ্চল ভিত্তিতে। আইসিসির পাঁচ অঞ্চলেই হবে এশিয়া কাপের মতো কোয়লিফিকেশন রাউন্ড। এখান থেকে প্রাপ্ত পয়েন্টের ভিত্তিতে শীর্ষ দলগুলো মূল পর্বে সুযোগ পাবে। বিশ্বব্যাপি টি-২০-এর জনপ্রিয়তার কারণে দেয়া হয়েছে এই প্রস্তাব। এ ছাড়া ওয়ানডে সিরিজ আয়োজনের সময়ও দলগুলো সর্বোচ্চ তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজ আয়োজন করতে পারবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।