গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
স্টাফ রিপোর্টার : অবশেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সিঙ্গাপুর অথবা ইন্ডিয়াতে। তবে এখনো চূড়ান্ত হয়নি। ভিসা প্রসেস কাজ চলছে। ড. কাজী আসাদের স্ত্রী এ তথ্য জানিয়েছেন।
৩৮ বছর আগে। যাদের হাত দিয়ে ছাত্রদল গঠিত; তাদের অন্যতম ড. কাজী আসাদ। তিনি ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাকালীন আহŸায়ক। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সন্তানের মতো যাদের শাসন-বারণ ও স্নেহ করতেন তাদের মধ্যে একজন কাজী আসাদ। বর্তমান কমিটিতে তিনি দলের চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা পরিষদ।
দলের সিনিয়র নেতারা বিভিন্ন সভা-সমাবেশে কাজী আসাদকে ছাত্রদলের আলোকবর্তিকার প্রথম প্রজ্ব¡লক আখ্যা দিয়ে থাকেন। দলের সকল স্তরে প্রিয় ব্যক্তি সেই সাবেক ছাত্রনেতা আজ মৃত্যু পথযাত্রী। ড. কাজী আসাদ দুরারোগ্য ব্যাধি ক্যানসারে আক্রান্ত।
দেশের রাজনীতি যখন ধনকুবের আর সুবিধাভোগীদের কব্জায়। পদ কেনা-বেচার বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের দ্বারপ্রান্তে দল। রাজনীতিবিদ হবার প্রথম সিঁড়ি ছাত্র নেতৃত্ব। সেই ছাত্র নেতারা যখন লাখপতি থেকে কোটিপতি হয়ে যায়। শত শত ফ্ল্যাট বাড়ির মালিক। টিনের খুঁপড়ি থেকে এখন বিলাসবহুল অট্টালিকায় বসবাস। সেসব কিছুই আঁচড় কাটতে পারেনি কাজী আসাদকে। অন্যরা যখন শহীদ জিয়ার আদর্শচ্যুত হয়ে অর্থ উপার্জনের ধান্ধায় লিপ্ত সে সময় কাজী আসাদ ছাত্র নেতৃত্বে জিয়ার আদর্শ ফেরি করছেন। প্রচারবিমুখ, নির্মোহ, নিবেদিত ড. কাজী আসাদ রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে লড়ছেন। চিকিৎসকরা তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। তবে তার জন্য যে মোটা অঙ্কের টাকার প্রয়োজন সে সামর্থ্য কাজী আসাদের নেই।
দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের বিভিন্ন স্তরের নেতারা তাকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছেন। তার ব্যথায় ব্যথিত হয়েছেন। সমবেদনা জানিয়েছেন। কিন্তু কাজী আসাদকে বাঁচার জন্য যে টাকার প্রয়োজন সে বিষয়ে এখন পর্যন্ত কেউ হাত বাড়ায়নি।
গতকাল মিসেস কাজী আসাদ জানান, কাজী আসাদকে বিদেশে নেয়ার জন্য পারিবারিক ও দলীয়ভাবে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। দুই/একদিন সময় লাগবে। সিঙ্গাপুর বা ইন্ডিয়ায় নেয়া হবে। ভিসার প্রসেস চলছে। রিপোর্টারের সাথে কুশল বিনিময়কালে দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন কাজী আসাদ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।