গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : ব্যবসায়ীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার সময় চারদিন বাড়ানো হয়। সেই হিসেবে মেলার পর্দা নামবে আজ শনিবার। মেলার বিদায় ঘণ্টা ঘনিয়ে আসার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ক্রেতা দর্শনার্থীদের ভিড়, পাশাপাশি বিক্রেতাদেরও বেড়েছে পণ্য বিক্রির প্রতিযোগিতা। সব মিলিয়ে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় শুক্রবার বিকেল ছিল জনসমুদ্র। ক্রেতা দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড়ে বিক্রেতাদেরও দম ফেলার সময়ও নেই। সেই সঙ্গে ক্রেতা-দর্শনার্থীদের আকৃষ্ট করতে শেষ সময়ে মেলায় চলছে মূল্যছাড়ের হিড়িক।
ব্যবসায়ীরা জানান, মেলায় ক্রেতাদের বেশি আগ্রহ গৃহস্থালি পণ্যে। এছাড়া প্লাস্টিকের তৈরি গৃহস্থালির পাশাপাশি প্রেসার কুকার, জুস মেকার, জুস বেøন্ডার, ওভেন, রাইস কুকারসহ নানা ধরনের ইলেক্ট্রনিক পণ্যের চাহিদাও রয়েছে। শেষ সময়ে এসব পণ্য ছাড়াও মোটামুটি সব পণ্যই রয়েছে নগদ ছাড়ের পাশাপাশি বিভিন্ন উপহার।
মেলা শেষ সময় সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবার দর্শনার্থী ও ক্রেতার ভিড়ে জমজমাট ছিল মেলার প্রতিটি স্টল ও প্যাভিলিয়ন। মেলার প্রথমদিকে আসা মানুষের অধিকাংশ দর্শনার্থী হলেও শেষ সময়ে এসে ক্রেতার সংখ্যাও বেড়েছে কয়েকগুণ। স্ত্রী ও দুই সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে মেলায় এসেছেন রেজা। বেশকিছু গৃহস্থালি পণ্য কিনছে। তিনি জানান, এর আগেও দুই দিন মেলায় এসেছি কিন্তু তেমন কিছু কেনা হয়নি। আজ অনেক স্টলেই বিভিন্ন ছাড় দিচ্ছে সেই কারণেই এসব পণ্য কেনা।
মেলা প্রাঙ্গণে আসা আরেক চাকরিজীবী বৃষ্টি বলেন, ব্যস্ততার কারণে এবার বাণিজ্য মেলায় আসার সুযোগ হয়নি। সাপ্তাহিক ছুটি এবং মেলার শেষ সময় হওয়ায় বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে এসেছি। মেলা প্রাঙ্গণে প্রচুর মানুষের ভিড় চলাফেরা করতেই কষ্ট হচ্ছে এর মধ্যেই গৃহস্থালি কিছু পণ্য কিনলাম।
শেষ সময়ে বেচা-বিক্রিতে অসম প্রতিযোগিতায় নেমেছেন বিক্রেতারা। চলছে শেষ সময়ের বেচাকেনা। ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান দিচ্ছে বিভিন্ন ধরনের ছাড়। ব্যবসায়ীরা জানান, বাণিজ্য মেলা হচ্ছে নিত্যনতুন পণ্য প্রদর্শনী ও বিক্রির সুস্থ প্রতিযোগিতার জায়গা। এখানে বিক্রেতারা নিজেদের সেরা পণ্যটাই বিক্রির চেষ্টা করছেন। পরবর্তী সময় যেসব পণ্য বাজারে আসবে সেগুলোও আমরা মেলায় বিক্রি বা প্রদর্শন করেছি।
জানা যায়, দেশি ব্র্যান্ডের শার্ট মেলায় পাওয়া যাচ্ছে ৬০০ থেকে ১ হাজার টাকার মধ্যে। ফার্নিচার প্যাভেলিয়নগুলোতে মেলায় নিয়মিত দামের চেয়ে ১০ থেকে ২০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় দেয়া হচ্ছে। শেষ সময়ে উপচেপড়া ভিড় প্লাস্টিক পণ্যের প্যাভেলিয়নগুলোতে। চামড়া, সিনথেটিক, উল আর পাটের তৈরি বাহারি কার্পেটে এরই মধ্যে আকৃষ্ট হয়েছেন ক্রেতারা। প্যাভেলিয়নে চামড়ার ৫ ফুট বাই ৭ ফুট আকারের কার্পেট পাওয়া যাচ্ছে ৯ হাজার ৫০০ টাকায়। সিনথেটিকের সাড়ে ৫ বাই ৭ ফুটের কার্পেট পাওয়া যাবে ২২ হাজার টাকায়। মেলার ইলেক্ট্রনিক্স পণ্যে পাওয়া যাচ্ছে ৩ থেকে ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত ছাড়।
মেলায় ডজন খানেক স্টলে বিভিন্ন ধরনের কাশ্মীরি বিছানার চাদর, কুশন ও শাল নিয়ে আসা হয়েছে। তরুণীদের জন্য বাহারি ব্যাগ আছে প্রায় ১০ ধরনের। ২ হাজার ৫০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৭ হাজার টাকায় পাওয়া যাচ্ছে পাঁচ সেটের কাশ্মীরি বেডশিট। টেবিল ম্যাট পাওয়া যাচ্ছে ১ হাজার টাকা থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকার মধ্যে। বালিশ বা সোফার কুশন পাওয়া যাচ্ছে ১০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৩০০ টাকায়। কাশ্মীরি নকশায় মেয়েদের হ্যান্ডব্যাগ পাওয়া যাচ্ছে ৩০০ টাকা থেকে ১ হাজার টাকায়। এছাড়া বিভিন্ন খাবার জিনিসেও শেষ সময় চলছে বিশেষ মূল্যছাড়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।