Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রুশ ঘনিষ্ঠ টিলারসনই হলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

সিনেটে প্রবল বিরোধিতার মধ্যেও টিকে গেল ট্রাম্পের প্রার্থী

| প্রকাশের সময় : ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : প্রবল বিরোধিতা সত্ত্বেও শেষপর্যন্ত রেক্স টিলারসনই হলেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। মার্কিন সিনেটের ইতিহাসে এবারই প্রথম এই পদে কোনো প্রার্থীর বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ ভোট পড়েছে। সিনেটে তার পক্ষে ভোট পড়েছে ৫৬টি এবং বিপক্ষে পড়েছে ৪৩টি। খবরে বলা হয়, এই সেই টিলারসন, যিনি ব্যবসায়ী হিসেবে আগে থেকেই বিশ্বে বহুল আলোচিত ও পরিচিত। রাশিয়ার ঘনিষ্ঠ বন্ধু, বিশেষ করে পুতিনের বন্ধু হিসেবে পরিচিত সেই টিলারসনেই আস্থা রাখলেন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫তম প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মার্কিন কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটও তাকে অনুমোদন দিল। রাজনীতি সম্পর্কে ন্যূনতম অভিজ্ঞতাহীন এবং যিনি কিছুই জানেন না, সেই টিলারসন বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিধর রাষ্ট্রের শীর্ষ কূটনীতিক পদে অধিষ্ঠিত হলেন। উল্লেখ্য, বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ বহুজাতিক কোম্পানি এক্সন মবিলের প্রাক্তন চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী টিলারসন স্থানীয় সময় গত বুধবার শপথ নিয়েছেন। ওভাল অফিসে ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স তাকে শপথ পড়ান। ৬৪ বছর বয়সী টেক্সাসের বাসিন্দা টিলারসন সিনেটের সমর্থন নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হয়েছেন। কখনো কোনো রাজনৈতিক পদে দায়িত্ব পালন করেননি বিশ্বের অন্যতম ধনী টিলারসন। তাছাড়া, রাশিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা রয়েছে। এসব বিষয়ে সিনেটের কড়া প্রশ্নের মোকাবিলা করতে হয়েছে তাকে। শপথ গ্রহণের পর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার উদ্দেশে বলেন, আপনার সারা জীবন এই মুহূর্তটির জন্য আপনাকে প্রস্তুত করেছে। প্রেসিডেন্টকে ধন্যবাদ জানিয়ে টিলারসন বলেন, আমি এই প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কাজ করব এবং সবসময়ই আমি যুক্তরাষ্ট্রের জনগণের স্বার্থের প্রতিনিধিত্ব করব। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় তেল কোম্পানি রসনেফটের সঙ্গে এক্সন মবিলের এই প্রাক্তন প্রধান কয়েক বিলিয়ন ডলারের চুক্তি করেন এবং ২০১৩ সালে রাশিয়া তাকে অর্ডার অব ফ্রেন্ডশিপ পুরস্কারে ভূষিত করে। সিনেটে নিয়োগসংক্রান্ত শুনানিতে টিলারসন স্বীকার করেছেন, রাশিয়ার আগ্রাসন নিয়ে পশ্চিমাদের উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ রয়েছে। তবে রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ আনার বিষয়ে একমত নন তিনি। খবরে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের হয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নীতি ও পরিকল্পনা বিশ্বজুড়ে বাস্তবায়ন করার দায়িত্ব পড়ল টিলারসনের ঘাড়ে। চীন ও রাশিয়ার মতো বৈরী দেশের সঙ্গে কাজ করতে হবে এবং অন্যান্য দেশে যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থরক্ষায় নিয়োজিত থাকতে হবে তাকে। জলবায়ু পরিবর্তন ও মানবাধিকারের মতো গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু নিয়ে বাকি বিশ্বের সঙ্গে কাজ করতে হবে।
সিনেটে দলীয় ভোটে অনুমোদন পেয়েছেন টিলারসন। তবে কিছুসংখ্যক রিপাবলিকান সিনেটর তাকে মনোনয়ন দেবেন না বলে জানা গিয়েছিল, যা শেষপর্যন্ত হয়নি। অনেক সমালোচক দাবি করে আসছেন, করপোরেট স্বার্থ ত্যাগ করতে পারবেন না টিলারসন। তবে তার সমর্থকদের দাবি, বৈশ্বিকভাবে ব্যবসায় সফল এই ব্যক্তি তার অভিজ্ঞতা কূটনীতিক পদে কাজে লাগাতে পারবেন। বিবিসি, রয়টার্স। 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ট্রাম্পের


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ