মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
দলে নিজের ঘনিষ্ঠ মিত্র রিপাবলিকান সিনেটর মিশ ম্যাককনেলের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত পর্যায়ে আক্রমণ করলেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তিনি তাকে একগুঁয়ে, জঘন্য ও গোমড়ামুখো বলে আখ্যায়িত করেছেন। আরো বলেছেন, তার নেতৃত্বে যদি রিপাবলিকান সিনেটররা থাকেন তাহলে তারা আবার বিজয়ী হতে পারবেন না। এতদিন পর্যন্ত ট্রাম্পের পাশে থেকে তাকে শক্তি যুগিয়ে এসেছেন মিশ ম্যাককনেল। সর্বশেষ নির্বাচনের পরে ট্রাম্প যখন প্রমাণহীন ভোট জালিয়াতির অভিযোগ করছিলেন, তখনও তিনি ট্রাম্পকে সমর্থন করেছেন। কিন্তু ম্যাককনেল বেঁকে বসেছেন ৬ই জানুয়ারি ক্যাপিটল হিলে ট্রাম্পের উস্কানিতে নারকীয় হামলার পর। ওই হামলার পর কংগ্রেসে দ্বিতীয়বার অভিশংসন প্রস্তাব ওঠে। প্রতিনিধি পরিষদে অভিশংসন প্রস্তাব পাস হলেও সিনেটে আটকে যায় গত সপ্তাহে। এতেও তিনি ট্রাম্পকে সাপোর্ট করে তাকে অভিশংসনের বিরুদ্ধে ভোট দিয়ে মুক্ত করেন। এরপর তিনি ক্যাপিটল হিলের হামলায় ট্রাম্পের নৈতিক দায়িত্ব নিয়ে সমালোচনা করেন। সিনেটে দেয়া বক্তব্যে তিনি ট্রাম্পের উদ্দেশে বলেন, ট্রাম্পের ফৌজদারি ও দেওয়ানি মামলার মুখোমুখি হওয়া উচিত। কারণ দায়িত্বে থাকা অবস্থায় তিনি যা কিছু করেছেন তার সবটার দায় তার। এ সমালোচনা সহ্য করতে পারেননি ট্রাম্প। তাই তিনি ক্ষমতা ছাড়ার প্রায় এক মাস পরে দীর্ঘ এক বিবৃতি দিয়েছেন মঙ্গলবার। এতে তিনি বলেছেন, সিনেটর মিশ ম্যাককনেলের মতো রাজনৈতিক নেতাকে রিপাবলিকান পার্টি আর কখনো সম্মান করতে পারে না অথবা দল এমন রাজনৈতিক নেতাকে নিয়ে শক্তিশালী হবে না। ম্যাককনেলের রাজনৈতিক দূরদর্শিতা, প্রজ্ঞা, দক্ষতা ও ব্যক্তিত্বের ঘাটতি আছে। অভিশংসনপরবর্তী অবস্থা ট্রাম্পের জন্য এখন ভিন্ন। চরম ডান রক্ষণশীলতার দিকে ঝুঁকে পড়া রিপাবলিকান পার্টির নেতারা এখন ট্রাম্পের কাছে ধরনা দিচ্ছেন। প্রতিনিধি পরিষদে দলের নেতা কেভিন ম্যাকার্থিসহ সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করছেন। ২০২২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটে মধ্যবর্তী নির্বাচন হবে। সেই নির্বাচনে দলের জন্য ট্রাম্পের সহযোগিতা চেয়েছেন তারা। প্রতিনিধি পরিষদে ১০ জন ও সিনেটে ৭ জন রিপাবলিকান আইনপ্রণেতা ট্রাম্পের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন। তারা এখন নিজেদের রাজ্য রিপাবলিকান কমিটির রোষানলে পড়েছেন। যারা অবসরে যাচ্ছেন না বা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন না, তাদের বিরুদ্ধে ট্রাম্প-সমর্থকরা এখন উচ্চকণ্ঠ হয়ে উঠেছেন। সিএনএন, গার্ডিয়ান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।