বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সরকার আদম আলী, নরসিংদী থেকে : ‘ঘাতক’ নামে ভারতীয় অ্যাকশন মুভির বিন্দু মাসী চরিত্রের মতো এক বাস্তবেই ভয়ংকর এক লেডি কিলারের সন্ধান পাওয়া গেছে নরসিংদীতে। তার নাম রেখা বেগম। সে নরসিংদী সদর উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত মহিলা আসনের মেম্বার। বিন্দু মাসীর মতো তারও রয়েছে অবৈধ ব্যবসা, রয়েছে ডিফেন্ডার হিসেবে এক শক্তিশালী কিলার বাহিনী। রয়েছে গডফাদারসহ এক কিলার পুত্র ও আশপাশে এক ভয়াবহ সিকোয়েন্স। ইয়াবা ব্যবসার বিরোধিতা করায় রেখা বেগম তার পুত্র ও বাহিনী নিয়ে নিজে উপস্থিত থেকে সুজন নামে এক যুবককে ঠাÐা মাথায় কুপিয়ে কচুকাটা করে এবং গুলি করে হত্যা করেছে। বাদী পক্ষ এ ব্যাপারে দায়েরকৃত এজাহারে তার নাম দিয়েছে রেখা বেগম ওরফে মক্ষীরানী ওরফে বিন্দু মাসী।
জানা গেছে, ইউপি মেম্বার রেখা বেগম ওরফে বিন্দু মাসী এক সময় একটি ইন্স্যুরেন্স কোম্পানীর কর্মী ছিল। সেই সুবাদে লোকজনের সাথে যোগাযোগের সূত্রে সে নরসিংদী সদর উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়ন পরিষদের ১, ২ ও ৩ সংরক্ষিত মহিলা আসনে পর পর ৪ বার নির্বাচন করে এবার সীল মেরে জয় লাভ করে। ভারতীয় মুভির বিন্দু মাসীর বাহিনীর মতোই বাস্তবে রেখা বেগমের বাহিনীর সদস্যরা ভোট কেন্দ্র দখল করে সীল মেরে তাকে পাস করায়। তার দুই ছেলে কামাল ও জামাল ভয়ংকর সন্ত্রাসী। আর এ থেকেই এলাকার একজন গডফাদার জনপ্রতিনিধির সাথে তার যোগাযোগ ঘটে। এই যোগাযোগ সূত্রেই সে ইয়াবা ব্যবসার সাথে জড়িয়ে পড়ে। কিছুদিন পূর্বে পুলিশ তার বাড়ী থেকে কিছু ইয়াবা ও টাকা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করে। যদিও পরে ঘটনাটি একজন গডফাদারের মধ্যস্থতায় সেখানেই শেষ হয়ে যায়। এই ইয়াবা ব্যবসার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয় দড়িপাড়া গ্রামের হানিফের পুত্র সুজন। সে রেখা বেগম ওরফে বিন্দু মাসীর ইয়াবা ব্যবসার বিরুদ্ধে বিভিন্ন জায়গায় সমালোচনা করলে রেখা বেগম তার প্রতি মারাত্মক ক্ষিপ্ত হয়। ক্ষিপ্ত হয় ইয়াবা ব্যবসার গডফাদাররাও। আর এরই ফলশ্রæতিতে গত ২৪ জানুয়ারী রাতে সুজনকে তার ছেলে সন্ত্রাসী কামাল ও তার বাহিনীর মাধ্যমে ডেকে নিয়ে বীভৎসভাবে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে। রেখা বেগম নিজে উপস্থিত থেকে তার ঘাড়, মাথা, শরীরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে প্রায় অর্ধশত আঘাত করে। হাতের আঙ্গুল কেটে বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়। দুই পায়ের রগ কেটে ফেলা হয়। এরপর মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য সুজনের ঊরু ও এবং বুকে ক্ষুদ্র আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে গুলি করে। বুকের গুলিটি কলিজায় গিয়ে বিদ্ধ হয়ে আটকে যায়। এ অবস্থায় ৪ দিন ঢামেক হাসপাতালের আইসিইউতে থেকে সুজন মারা যায়। এ ব্যাপারে সুজনের বড় ভাই সুমন বাদী হয়ে রেখা বেগম ওরফে বিন্দু মাসীকে প্রধান আসামী করে ১৪ জনের বিরুদ্ধে নরসিংদী সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।