বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
নরসিংদীতে ডেইলি বেসিস কমিউনিটি সেন্টার কর্মীরা সরকারের পক্ষ থেকে কোন সাহায্য পাচ্ছে না। দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে করোনা তথা লকডাউনের কারণে কমিউনিটি সেন্টার, হোটেল, রেঁস্তোরা ও ডেকোরেটরগুলো বন্ধ থাকার কারণে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। অনাহারে-অর্ধাহারে মানবেতর দিন কাটাচ্ছেন এসব কমিটি সেন্টার কর্মীরা। তাদের দিকে কেউ নজর দিচ্ছে না।
কেউই ভাবছে না তাদের দুরাবস্থার কথা। নরসিংদীর চিয়াং রাই রেস্তোরাঁর মালিক মলয় বর্মন জানান, বেসরকারি হিসেব মতে, নরসিংদীসহ সারা দেশে হাজার হাজার কমিউনিটি সেন্টার রয়েছে। এসব কমিউনিটি সেন্টারে কমবেশি ৬ লাখ কর্মী রয়েছে। তাদের সাথে রয়েছে হোটেল-রেস্তোরাঁ ডেকোরেশন কর্মী। তাদের আয়ের সাথে জড়িত রয়েছে ৩০ লাখ নারী-পুরুষ ও শিশু। কমিউনিটি সেন্টার কর্মীদের মধ্যে রয়েছে বাবুর্চি, সহকারি বাবুর্চি, খানসামা, মহিলা ডিস ওয়াশিং ম্যান, অনিয়ন ও সবজি কাটার, ডেকোরেশনের দোকানগুলোর সাজসজ্জা কর্মী, পরিবহনকর্মী। কমিউনিটি সেন্টারগুলোর চালু থাকলে খামসামারা প্রতিদিন ৩০০ টাকা করে পেতেন, থালা বাসন পরিস্কারকারী মহিলা ও সবজি কাটার মহিলারা প্রতিদিন ৩০০ টাকা করে পেতেন। ডেকোরেশনের সাজসজ্জা কর্মীরা প্রতিদিন ৪০০ টাকা করে পারিশ্রমিক অর্জন করত।
তাদের এই আয় দিয়েই পরিবারের ভরণপোষণ চলত। কিন্তু দীর্ঘ সময় ধরে লকডাউনের কারণে কমিউনিটি সেন্টারগুলোর বন্ধ থাকায় এ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। এসব কমিউনিটি সেন্টার কর্মীদের আয়ের পথ বন্ধ হয়ে গেছে।
কমিউনিটি সেন্টার মালিক মলয় বর্মন আরো জানান, গত এক বছরে কমিউনিটি সেন্টার কর্মীদেরকে সরকারিভাবে কোনো সাহায্য দেয়া হয়নি। তিনি স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করলে তারা জানান এ ব্যাপারে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো নির্দেশনা তাদের হাতে আসেনি। যার কারণে তারা কমিউনিটি সেন্টার কর্মীদেরকে কোন প্রকার সাহায্য প্রদান করতে পারছেন না। নরসিংদীর কমিউনিটি সেন্টার মালিকরা বিষয়টি বিবেচনায় লাখ লাখ কর্মীদের দিকে সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।