গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
খুলনা ব্যুরো : রেলওয়ে সম্প্রসারিত করে দক্ষিণাঞ্চল নামে নতুন রেলওয়ে অঞ্চল গঠনের প্রস্তাব গ্রহণ করেছে সরকার। প্রস্তাবিত নতুন রেলওয়ে অঞ্চলের সদর দফতর বিভাগীয় প্রাণকেন্দ্র খুলনা শহরে স্থাপনের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছে খুলনাবাসী। গতকাল সোমবার দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাবের হুমায়ুন কবির বালু মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে কর্মসূচির ঘোষণা করেছেন বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির মহাসচিব শেখ আশরাফ-উজ-জামান।
আজ বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত নগরীর পিকচার প্যালেস মোড়ে অবস্থান ও আগামী ১ ফেব্রæয়ারি প্রধানমন্ত্রী বরাবরে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্মারকলিপি প্রদান এবং ঢাকা জাতীয় প্রেসক্লাবে ফেব্রæয়ারির শেষ সপ্তাহে মানববন্ধন অনুষ্ঠান কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, বিভাগীয় শহর ও আঞ্চলিক গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান বিবেচনা করে দক্ষিণাঞ্চল রেলওয়ের সদর দফতর খুলনাতেই হওয়া উচিত। এতে করে রেলওয়ের প্রশাসনিক কাজ সহজ হবে। বর্তমানে দু’টি অঞ্চল থেকে সারাদেশে রেলওয়ের নিয়ন্ত্রণ রাখা সম্ভব হচ্ছে না। এজন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে রেলওয়েকে চারটি অঞ্চলে ভাগ করার কাজ শুরু করেছে রেল মন্ত্রণালয়। এজন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়, ওই কমিটি ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের সমন্বয়ে পূর্বাঞ্চল, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের সমন্বয়ে পশ্চিমাঞ্চল পুনর্গঠনের সুপারিশ করে। এ ছাড়া নবগঠিত ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের সমন্বয়ে উত্তরাঞ্চল এবং খুলনা ও বরিশাল বিভাগের সমন্বয়ে দক্ষিণাঞ্চল গঠনের সুপারিশ করে। ইতোমধ্যে সরকার এক হাজার ৮০০ কোটি টাকা ব্যয়ে খুলনা থেকে মংলা পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণের কাজ শুরু করেছে। প্রায় ৯০ কোটি টাকা দিয়ে খুলনা রেলওয়ে স্টেশন আধুনিকায়ণ ও বেনাপোল রেলস্টেশনের অপারেশনালের উন্নয়ন কাজ চলছে। খুলনা থেকে কলকাতা, খুলনা-মংলা, খুলনা-ঢাকা এবং বাংলাদেশের সব থেকে দীর্ঘতম রেলপথ খুলনা-চিলাহাটি শুধু নয়, খুলনা রেলস্টেশনের পাশে নদীপথ ও সড়কপথ এত কাছে যে মালামাল ওঠানামা অত্যন্ত সহজ এবং গুরুত্ব অনেক বেশি। এ ছাড়া এশিয়ান হাইওয়ের প্রবেশপথসহ খুলনাকে কেন্দ্র করেই আবর্তিত হবে দক্ষিণাঞ্চল রেলওয়ের অবকাঠামো।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন রেলওয়ে মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আলহাজ মিজানুর রহমান মিজান এমপি, সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম মঞ্জু, কেসিসি মেয়র মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মনি, প্রকৌশলী আজাদুল হক, শিক্ষাবীদ প্রফেসর মোহাম্মদ জাফর ইমাম প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।