পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দাওয়াত বাতিল করবে না লন্ডন : ডাইনিং স্ট্রিট
ইনকিলাব ডেস্ক : লন্ডনের মেয়র সাদিক খান স্কাই নিউজকে বলেছেন, খুবই পরিষ্কারভাবে বলছি ৭টি দেশের মুসলিম অভিবাসীদের যুক্তরাষ্ট্রে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিষ্ঠুর ও লজ্জাজনক। এরপর আমরা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে লালগালিচা সম্বর্ধনা দিতে পারি না। তিনি যখন অভিবাসী নিষিদ্ধের ঘোষণায় অবস্থান করছেন তখন ব্রিটেনে রাষ্ট্রীয় সফরে তিনি কীভাবে আসতে পারেন তা আমার কাছে পরিষ্কার নয়। যুক্তরাষ্ট্র এমন এক অবস্থান নিয়েছে যে, তা মূল্যবোধের মুখে মাছি পড়ার সমান। সাদিক খান বলেন, আমি খুব খুশি হব যদি প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে এখন বলেন, ব্রিটিশ সরকার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মুসলিম অভিবাসী নীতির সঙ্গে একমত নয়। কারণ ট্রাম্পের এ সিদ্ধান্ত অনেক ব্রিটিশ নাগরিককে আঘাত করবে যাদের দ্বৈত নাগরিকত্ব রয়েছে। এমনকি লন্ডনে জন্ম নেয়া অনেকেই এ ধরনের নিষিদ্ধের সারিতে পড়ে গেছে। আর আমি সরকারের সঙ্গে লন্ডনবাসীর হয়েই কাজ করি।
থেরেসা মে এখন প্রচ- চাপের মুখে রয়েছেন। তার দল ও বিরোধী দলের অনেকে থেরেসা মে’কে ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ার জন্যে চাপ দিচ্ছেন। লাখ লাখ মানুষ ইতিমধ্যে ব্রিটেনে ট্রাম্পের সফরের বিরুদ্ধে এক অনলাইন আবেদনে স্বাক্ষর করেছে।
থেরেসা মে ট্রাম্পের এ ধরনের সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত নয় বলে জানান তার একজন মুখপাত্র। লেবার পার্টি নেতা জেরিমি করবিন বলেছেন, থেরেসা মে যদি ট্রাম্পের অভিবাসী নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তের নিন্দা না জানান এবং তার সফরকে বাতিল না করতে পারলে তিনি ব্যাপক জনসমর্থন হারাবেন। তিনি বলেন, ট্রাম্পকে ব্রিটেনে স্বাগত জানানো উচিত নয়, কারণ তিনি আমাদের মূল্যবোধের অংশীদারিত্বে আঘাত হেনেছেন ও শরণার্থী ও নারী অধিকারকে খাটো করেছেন। যা ব্রিটিশরা আশা করে না।
তবে ব্রিটেন থেরেসা মে’র অফিস থেকে বলা হয়েছে, ট্রাম্পকে আমন্ত্রণ দেয়া হয়েছে এবং তিনি তা গ্রহণ করেছেন। সূত্র : ডেইলি স্টার ইউকে।
ট্রাম্পকে দেয়া দাওয়াত বাতিল করবে না লন্ডন
এদিকে বিবিসি জানিয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অভিবাসনে বিধিনিষেধ আরোপ করার পর যুক্তরাজ্যে তার রাষ্ট্রীয় সফর বাতিল করার যে দাবি উঠেছে, লন্ডনে ডাউনিং স্ট্রিট তা খারিজ করে দিয়েছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সূত্রগুলো জানিয়েছে, মি ট্রাম্পের আমন্ত্রণ বাতিল করা হলে তা হয়তো একটি ‘জনপ্রিয় পদক্ষেপ’ হবে, কিন্তু সেই আমন্ত্রণ ইতিমধ্যেই গৃহীত হয়েছে এবং এখন সেটা বাতিল করা হলে ‘সব কিছু নষ্ট হয়ে যাবে’।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের যুক্তরাজ্য সফর বাতিল করার দাবিতে একটি পিটিশনে শনিবার থেকে সোমবার পর্যন্ত ৯০ হাজারেরও বেশি মানুষ সই করেছেন। ব্রিটেনের নিয়ম অনুযায়ী, কোনও পিটিশনে এক লাখের বেশি সই পড়লেই তা নিয়ে বিতর্ক প্রয়োজন কিনা, পার্লামেন্টকে সেটা বিবেচনা করতে হয়। মি. ট্রাম্পের এই যুক্তরাজ্য সফরের কথা ঘোষণা করা হয় গত সপ্তাহেই, যখন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে রাষ্ট্রীয় সফরে আমেরিকায় গিয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করেন। সেই সফরের কোনও নির্দিষ্ট দিনক্ষণ স্থির করা হয়নি, তবে ধারণা করা হচ্ছে, এ বছরেই আরও পরের দিকে মি. ট্রাম্প লন্ডনে আসবেন।
কিন্তু এর পর গত শুক্রবার মি ট্রাম্প একটি বিতর্কিত নির্বাহী আদেশে সই করেন, যার ফলে মার্কিন শরণার্থী কর্মসূচি চার মাসের জন্য থমকে যায়। এ ছাড়াও তিনি সব সিরিয়ান শরণার্থীকে আমেরিকায় অনির্দিষ্টকালের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন, সাতটি মুসলিম-প্রধান দেশের নাগরিকদের আমেরিকায় ঢোকা আপাতত বন্ধ করে দেন।
এসব পদক্ষেপ কার্যকর করা শুরু হলে সারা বিশ্বজুড়ে তীব্র ক্ষোভ ও প্রতিবাদ শুরু হয়ে যায়। এরপরই যুক্তরাজ্যে মি. ট্রাম্পের আমন্ত্রণ বাতিল করারও দাবি ওঠে। তবে ডাউনিং স্ট্রিটের একটি সূত্র বিবিসিকে জানিয়েছে, ‘আমেরিকা আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এক মিত্র। আমাদের যা করার, তা লম্বা সময়ের কথা ভেবেই করতে হবে’।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।