পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : দু’জনই ব্রিটেনের বিরোধী দল লেবার পার্টির জনপ্রিয় নেতা। গত কয়েক বছর ধরে দলের ভঙ্গুর অবস্থার মধ্যেও নিজেদের জনপ্রিয়তার জোরে একজন লন্ডনের মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন বিপুল ব্যবধানে ক্ষমতাসীনদের হারিয়ে। আরেকজন দলের এমপিদের অনাস্থার পরও দ্বিতীয়বারের মতো লেবার প্রধান নির্বাচিত হয়েছে বিপুল ভোটে।
বলা হচ্ছে, লন্ডন মেয়র সাদিক খান এবং সদ্য পুর্নর্নিবাচিত লেবার নেতা জেরমি করবিনের কথা। দুই নেতা যুগলবন্দীতে আগামী জাতীয় নির্বাচনে আশার আলো দেখছেন দলের কর্মীরা। আর সেই আশাকে বাস্তব করে তুলতে প্রথম নেতা দ্বিতীয়জনকে সাবধান করে দিচ্ছেন। গতকাল মেয়র সাদিক খান করবিনকে উদ্দেশ্যে করে বলেছেন, দলের মধ্যে নিজের অবস্থান শক্ত করার পেছনে সময় কম দিয়ে জাতীয় পর্যায়ে দলকে আরো সংহত করে ক্ষমতায় নিয়ে আসতে মনোযোগী হতে হবে করবিনকে। লেবার পার্টির সম্মেলনে সাদিক খান বলেন, “ক্ষমতার বাইরে থেকে লেবার কখনো ভাল কিছু করতে পারবে না। মানুষের জীবন মান উন্নত করতে আমরা শুধু তখনই পারবো যখন ক্ষমতায় থাকবো।
নিজের ২০ মিনিটের বক্তব্যে ৩৮ বার ‘ক্ষমতা’ শব্দটি উচ্চারণ করা খান আরো বলেন, নেতাদেরকে শুধু কথা বললেই হবে না, কাজ করে দেখাতে হবে। এখন সময় এসেছে লেবার পার্টি সরকারের। সময় এসেছে ডাউনিং স্টেটে লেবারের প্রধানমন্ত্রীকে দেখার।
দলের নেতৃত্ব নিয়ে লেবার পার্টির মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বড় ধরনের বিরোধ চলছে। বামপন্থী করবিনের উত্থানকে অনেকে মেনে নিতে না পেরে তার প্রতি অনাস্থা জানিয়েছিলেন। কিন্তু দলীয় ভোটাররা আবারো তার প্রতি আস্থা রাখায় দলের ভাঙনের আশংকা দেখা দিয়েছে। এই আশংকাকে আমলে নিয়ে করবিন বিরোধীদের প্রতি দলত্যাগ না করতে আহবান জানিয়ে সাদিক খান বলেন, এটি করলে টোরিরাই (ক্ষমতাসীন) তার ফল ভোগ করবে।
সাদিক খান মনে করেন সামনের নির্বাচনে তার দলের ভাল কিছু করার সম্ভাবনা উজ্জ্বল। এ ক্ষেত্রে কানাডার বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর দলকে আদর্শ মনে করছেন তিনি। সম্প্রতি কানাডা সফরও করে এসেছেন। সাদিকের চিন্তা, ট্রুডো তার দলকে তৃতীয় স্থান থেকে ক্ষমতায় আনতে পারলে লেবারের ক্ষেত্রে চমক দেখানো সম্ভব। সে ক্ষেত্রে ব্রিটেনে ট্রুডোর ভূমিকায় কে থাকবেন তা নিয়ে জল্পনা-কল্পনা চলছে। সেই ব্যক্তি হতে পারেন সর্বশেষ দলীয় নির্বাচনে করবিনের বিরুদ্ধে ভাল ফাইট দেয়া চুকা উমুনা। আবার বামপন্থী তরুণ রাজনীতিক লিসা লিন্ডাও হতে পারেন। কিন্তু যদি লন্ডনের মেয়র হিসেবে ভাল কিছু করে দেখাতে পারেন, তাহলে সাদিক খানেরও ‘ট্রুডো’ হয়ে ওঠার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়া যাচ্ছে না। সূত্র: দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।