নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস ডেস্ক : অনেক প্রশ্নের জবাবই মিলছে না। প্রথম সপ্তাহ থেকেই তারকা পতন। শীর্ষ দুই বছাই নোভাক জোকোভিচ ও অ্যান্ডি মারের সঙ্গে হারের মিছিলে আছেন মার্টিন সিলিচ, টমাস বারডিচ, ডেভিড ফেরার, স্যাম কুয়েরির মতো খেলোয়াড়েরাও। ড্র’র আগে যে ৩২ জন খেলোয়াড়কে বাছাইয়ের তালিকায় রাখা হয়েছিল, তাঁর ২১ জনই এরই মধ্যে বিদায় নিয়েছেন! সপ্তাহান্তে টিকে ছিলো মাত্র ১১ জন। সেই অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের শেষটা যে এত রোমাঞ্চ জমা পড়েছিলো কে জানতো? শুধু বর্তমান টেনিসেরই নয়, যারা এখনও টিকে আছেন তাদের নাম উচ্চারিত হয় কিংবদন্তিদের নামের পাশে। নারী এককে সেরেনা উইলিয়ামস, ভেনাস উইলিয়ামস, রজার ফেদেরার, রাফায়েল নাদাল- এই নামগুলোই কি রোমাঞ্চ ছড়ায় না? তার চাইতে বড় খবর, নারী এককে ফাইনালের মঞ্চ প্রস্তুত। সেই ম্যাচেই মুখোমুখি দুই উইলিয়ামস পরিবারের মেয়ে।
গতকাল মেলবোর্নে সেমি-ফাইনালে রীতিমত দ্যুতি ছড়িয়েছেন তারা। ফাইনালে ওঠার পথে ত্রয়োদশ বাছাই ৩৬ বছর বয়সী ভেনাস স্বদেশি কোকো ভ্যানডিওয়েকে ৬-৭, ৬-২ ও ৬-৩ গেমে হারান। পরের ম্যাচে একই কোর্টে সেরেনা উইলিয়ামসের কাছে স্রেফ উড়িয়ে দেন মিরিয়ানা লুচ্চি-বারোনি। ৬-২, ৬-১ গেমে জিতে সেরেনাও উঠলেন ফাইনালে। আগামীকাল উইলিয়ামস পরিবার সেই আবেগময় পরীক্ষার মুখোমুখি। ২০০৯ সালের পর আবারও যে কোনো গ্র্যান্ড সø্যামের ফাইনালে মুখোমুখি সেরেনা-ভেনাস! বড় বোন তাঁর ক্যারিয়ারে কখনোই অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জেতেননি। ভেনাসের জন্য এবার এসেছে সেই সুযোগ। কিন্তু সেই যাত্রায় যে বাধা ছোট বোন। এ সময় মেয়েদের টেনিস কোর্টে তাঁকে হারাতে পারে এমন কেউই যেন নেই!
৩৬ বছর বয়সে এসে টেনিসে এককের শিরোপার জন্য কাউকে খেলতে দেখাটাই বাড়াবাড়ি। তবু গত উইম্বলডনে যখন সেমিফাইনালে উঠে গেলেন ভেনাস, তখনই চোখ কপালে উঠেছিল অনেকের। তাঁরই ছোট বোন সেরেনা ৩৪ বছর বয়সে উইম্বলডন জিতেও এতটা অবাক করতে পারেননি। কারণ, সেরেনা যে অন্য ধাতুতে গড়া, সেটা তো অনেক আগে থেকেই জানা। সে তুলনায় ভেনাস তো হারিয়ে গেছেন বহু আগে। শেষবার তাঁকে কোনো গ্র্যান্ড সø্যামের ফাইনালে দেখা গিয়েছিল ২০০৯ সালের উইম্বলডনে। এককে সর্বশেষ গ্র্যান্ড সø্যাম শিরোপা জিতেছেন তারও এক বছর আগে, ২০০৮ সালে উইম্বলডনেই।
এদিকে, ক্যারিয়ারের অষ্টম একক গ্র্যান্ড সø্যাম জয় থেকে মাত্র এক ধাপ দুরে ভেনাস। ২০০৯ সালে সর্বশেষ যেবার ফাইনালে উঠেছিলেন, সেবার তাঁকে শিরোপা বঞ্চিত করেছেন ছোট বোন সেরেনাই। সেবার সরাসরি সেটে হেরে উইম্বলডনে হ্যাটট্রিক শিরোপার আশা শেষ হয় ভেনাসের। আর অস্ট্রেলিয়ান ওপেনটা যে ক্যারিয়ারে অধরা থাকল সে দায়ও ছোট বোনের। ২০০৩ সালের সে ফাইনালে ভেনাসকে ৭-৬ (৭/৪), ৩-৬, ৬-৪ গেমে হারিয়ে দিয়েছেন সেরেনা। এবারের ফাইনালটা তাই অতৃপ্তি পূরণের সুযোগ ভেনাসের জন্য। ফাইনাল জিতলেই উন্মুক্ত যুগে সবচেয়ে বেশি বয়সে মেয়েদের এককে শিরোপা জেতার রেকর্ড গড়বেন উইলিয়ামসদের বড়জন। বোনকে হারাতে পারলে টেনিসের উন্মুক্ত যুগে সবচেয়ে বেশি ২৩টি গ্র্যান্ড সø্যাম জয়ের রেকর্ড গড়বেন ৩৫ বছর বয়সী সেরেনা। তবে ফাইনালের প্রতিপক্ষ বোন ভেনাসকে নিয়ে গর্বিত ২২টি গ্র্যান্ড সø্যাম জয়ী এই তারকা, ‘সে আসলেই আমার প্রেরণা। আমি তার জন্য সত্যিই খুশি। একসঙ্গে ফাইনালে খেলা আমাদের জন্য স্বপ্ন। সে আমার সবচেয়ে কঠিন প্রতিপক্ষ। এখন পর্যন্ত কেউ আমাকে ভেনাসের মতো এতবার হারাতে পারেনি।’
ভেনাস লড়বেন অস্ট্রেলিয়া ওপেনের প্রথম শিরোপা জয়ের জন্য। তার আটটি গ্র্যান্ড সø্যাম শিরোপার শেষটি ছিল ২০০৮ সালের উইম্বলডন। ছোটো বোনের সঙ্গে শেষবার কোনো গ্র্যান্ড সø্যামের ফাইনালে ভেনাস খেলেছিলেন ২০০৯ সালের উইম্বলডনে। সেবার সরাসরি সেটে জিতেছিল সেরেনা। সেরেনার গুণমুগ্ধ ভেনাস ফাইনালে ওঠার পর বলেন, ‘যেভাবে সে বল মারে এবং সে যে ধরনের প্রতিদ্ব›িদ্ব, তাতে সেরেনার টেনিস খেলা দেখাটা অবিশ্বাস্য লাগে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।