Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সুপারিশ-সতর্কে সীমাবদ্ধ ইউজিসি

উচ্চশিক্ষায় ভূমিকা

| প্রকাশের সময় : ২২ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

কার্যকর উদ্যোগের অভাব : সুপারিশ মানছে না বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয়  প্রতি বছর দেয়া হচ্ছে একই তথ্য  আইন লঙ্ঘন করলেও ব্যবস্থা
নিচ্ছে না কমিশন
ফারুক হোসাইন :  উচ্চশিক্ষার অভিভাবক প্রতিষ্ঠান বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে মানসম্মত শিক্ষা, গবেষণা কার্যক্রমের বিস্তার, বাস্তব অবস্থা পর্যালোচনা, নীতি নির্ধারণ, পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং বাস্তবায়ন করার কথা প্রতিষ্ঠানটির। বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইনের আলোকে উচ্চশিক্ষা কার্যক্রম তদারকির পাশাপাশি আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর হবে কমিশন। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায় তার বিপরীত। আর্থিক আয়-ব্যয়ের হিসাব না দেয়া, শিক্ষকদের দায়িত্বে অবহেলা, খ-কালীন শিক্ষক দিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা, শাখা ক্যাম্পাস খুলে সার্টিফিকেট বিক্রি, অজ্ঞাত পরীক্ষা পদ্ধতি দিয়ে স্নাতক ডিগ্রি বিতরণ, শিক্ষাকে বাণিজ্যে পরিণত করার তথ্য উঠে এসেছে খোদ তাদেরই প্রতিবেদনে। বিশ্ববিদ্যালয় এবং শিক্ষকরা আইন লঙ্ঘন করলেও নীরব ভূমিকা পালন করছে প্রতিষ্ঠানটি। সতর্ক করা এবং কেবল সুপারিশ করেই দায় সারছে উচ্চ শিক্ষার নিয়ন্ত্রক সংস্থা। যদিও কমিশনের দেয়া সেই সুপারিশ ও দিকনির্দেশনাও আমলে নিচ্ছে না কেউ। ফলে প্রত্যেক বছরই একই পর্যালোচনা ও সুপারিশ তুলে ধরা হচ্ছে। ইউজিসি’র বিগত কয়েক বছরের সুপারিশ, পর্যালোচনা ও বাস্তবায়ন বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, প্রতিবেদনে যা কিছু বলা হয়েছে, যে চিত্র তুলে ধরা হয়েছে, তা মোটেই নতুন নয়। এর আগের প্রতিবেদনগুলোতেও প্রায় একই কথা, একই চিত্র উঠে এসেছে। শিক্ষাবিদরা মনে করেন ইউজিসি’র দুর্বলতা, আইন প্রয়োগে অক্ষমতা এবং অনিয়মকে সমর্থন করার কারণেই এমনটি হচ্ছে।
জানা যায়, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) কাছে প্রত্যেকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়-ব্যয়ের নিয়মিত হিসাব দেয়ার আইন থাকলেও বেশিরভাগ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ই সেই হিসাব জমা দিচ্ছে না। আবার যারা দিচ্ছে, তারাও নিয়মিত নয়। ইউজিসি’র তথ্যানুযায়ী, দেশের ৯৫টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হওয়া (অন্তত এক বছর) ৮০টি তাদের হিসাব মন্ত্রণালয় ও কমিশনের কাছে দিতে বাধ্য থাকবে। কিন্তু এর মধ্যে কেবল আটটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় নিয়মিত আয়-ব্যয়ের হিসাব মন্ত্রণালয় ও কমিশনে জমা দিচ্ছে। ইউজিসি জানায়, এ ব্যাপারে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কর্তৃপক্ষের কাছে বারবার তাগিদ দিয়েও কাজ হচ্ছে না। এছাড়া যেসব প্রতিবেদন কমিশনে জমা হচ্ছে তাতেও প্রকৃত তথ্য উঠে আসছে না। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আয়-ব্যয়ের কোনো অডিট রিপোর্ট জমা না দিলেও প্রতি বছরই বলা হয়, আশা করা যায় পরবর্তী বছরগুলোতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় তাদের আর্থিক আয়-ব্যয়ের অডিট রিপোর্ট সঠিক নিয়ম মেনে প্রেরণ করবে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী আয়-ব্যয়ের হিসাব সংরক্ষণ করার কথা থাকলেও বেশিরভাগই তা করছে না। এছাড়া ভর্তি ফি, টিউশন ফি এবং শিক্ষকদের বেতন ভাতার মধ্যে ব্যাপক পার্থক্য ও ট্রান্সক্রিপ্ট, সার্টিফিকেট, প্রশংসাপত্রের ক্ষেত্রে উচ্চহারে ফি আদায় করা হয়। কোনো যৌক্তিক কারণ ছাড়াই প্রতি বছর ভর্তি ও টিউশন ফি বৃদ্ধি করা হয়। শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে এসব ফি সহনীয় পর্যায়ে রাখার কথা বলেছে ইউজিসি। গত কয়েক বছরের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, বেতন-ভাতাদি, প্রশাসনিক ও রক্ষণাবেক্ষণ খাতে ব্যয় কমেনি বরং বেড়েছে। আর ব্যয় কমেছে শিক্ষা আনুষঙ্গিক খাতে। বেতন-ভাতাদি ও পেনশন খাতে ব্যয় হয়েছে মোট ব্যয়ের ৭৩ ভাগ। সাধারণ আনুষঙ্গিক ও রক্ষণাবেক্ষণ খাতে ব্যয় হয়েছে ১৬ ভাগ এবং শিক্ষা আনুষঙ্গিক খাতে ব্যয় হয়েছে ১১ ভাগ। ওই সময় ছাড়াও ইউজিসির বিভিন্ন সময়ের বার্ষিক প্রতিবেদনে এ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে শিক্ষা খাতে ব্যয় বৃদ্ধির তাগিদ দেয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, শিক্ষা আনুষঙ্গিক খাতে ব্যয় কমার কারণে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার গুণগত মান অর্জনও ধরে রাখা প্রায় অসম্ভব হয়ে উঠছে। কিন্তু তারপরও এই সুপারিশ মানা হচ্ছে না।
বছরের পর বছর ধরে অনেক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ভিসি, প্রো-ভিসি ও ট্রেজারার ছাড়াই পরিচালিত হয়ে আসছে। কমিশন মৌখিকভাবে সতর্ক করা, বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হলেও এর কোনো প্রতিকার হয়নি। ইউজিসিও সতর্ক করা পর্যন্তই সীমাবদ্ধ থেকেছে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মান নিয়ে হতাশা, মান নিশ্চিত করতে কারিকুলামে পরিবর্তন, ভর্তি প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন আনা, উচ্চশিক্ষা খাতে বাজেট বৃদ্ধি, পরীক্ষা পদ্ধতির পরিবর্তন, শিক্ষকদের অনুপস্থিতির বিষয়ে সুপারিশ করা হয়েছে। একই সাথে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে সুশাসনের অভাব ও গবেষণা কার্যক্রমের অনুপস্থিতির তথ্যও তুলে ধরা হয়েছে। সমস্যা সমাধানে এক গাদা সুপারিশমালাও দিয়েছে ইউজিসি। তবে উচ্চশিক্ষার অঙ্গনে এই সমস্যা ও সুপারিশ যেনো চিরাচরিত চিত্রই হয়ে উঠেছে। প্রতি বছর বার্ষিক প্রতিবেদনে কমিশন সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরেন। একই সাথে এই সমস্যা সমাধানে সুপারিশও করেন। তবে হাস্যকর বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে, প্রতি বছরের প্রতিবেদনে একই ধরনের সমস্যা এবং সুপারিশই তুলে দিচ্ছে ইউজিসি। কমিশনের নীরবতা বিষয়ে ইউজিসি’র এক সদস্য হলেন, কমিশনকে শুধু মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ করলেই হবে না। এটাই তার একমাত্র দায়িত্ব নয়। তবে প্রতিষ্ঠানটিকে আইনগতভাবে আরও কার্যকর ও শক্তিশালী করে অর্থবহ সংস্থায় রূপান্তর করা জরুরি। এর ভাবমূর্তি, স্বায়ত্তশাসন ও ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য একটি পূর্ণ স্বাধীন উচ্চশিক্ষা কমিশন গঠন প্রয়োজন। এটি বাস্তবায়ন হলে দেশের উচ্চশিক্ষা অনেক দূর এগিয়ে যাবে।
ইউজিসি’র বিগত বছরগুলোর প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে দেখা যায়, প্রতি বছরই প্রতিবেদনে উচ্চশিক্ষার মান নিয়ে হতাশা প্রকাশ করা হয়। বিশেষ করে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ থেকে পাস করা স্নাতকদের শিক্ষার মান কাক্সিক্ষত নয় বলে উল্লেখ করা হয়। এ থেকে উত্তোরণের জন্য একইভাবে কারিকুলাম যুগোপযোগী ও বাস্তবসম্মত করা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিভিত্তিক দক্ষ জনশক্তি সৃষ্টি, আধুনিক গবেষণাগার, শিক্ষার্থীদের ইংরেজি ভাষা, লিখিত ও মৌখিকভাবে চিন্তা উপস্থাপনে দক্ষতা অর্জনের পরামর্শ দেয়া হয়। উচ্চশিক্ষার সার্বিক কার্যক্রম ইউজিসি’র তদারকিতে হওয়ার কথা থাকলেও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে কি পদ্ধতিতে পরীক্ষা গ্রহণ করা হয় সেটি সম্পর্কেই স্পষ্ট কিছু জানে না প্রতিষ্ঠানটি। যদিও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ক্লাস শিক্ষকই প্রশ্নপত্র তৈরি এবং খাতা মূল্যায়ন করে থাকেন। যা নিয়ে বিভিন্ন সময়ই শিক্ষাবিদরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। প্রতিবেদনও পরীক্ষা পদ্ধতিতে একজন বহিস্থ বিশেষজ্ঞ দ্বারা প্রশ্নপত্রের মান এবং মূল্যায়ন ও যাচাইয়ের পদ্ধতি প্রবর্তনের কথা বলা হয়। মাস্টার্স পর্যায়ে উচ্চশিক্ষার কাক্সিক্ষত গুণগত মান নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে না বলে মনে করছে ইউজিসি। সত্যিকারের মেধাবী শিক্ষার্থীরা উচ্চমানের শিক্ষা লাভ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিশ্ববিদ্যালয় কলেজসমূহে স্নাতক পর্যায়ে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য পর্যাপ্ত অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধা এবং যোগ্যতাসম্পন্ন শিক্ষক না থাকা সত্ত্বেও মাস্টার্স ডিগ্রি প্রোগ্রাম চালু করা হয়েছে। ফলে এসব প্রতিষ্ঠানে মাস্টার্স পর্যায়ে মানসম্মত শিক্ষাদান সম্ভব হচ্ছে না। এই পর্যায়ের ডিগ্রি কেবলমাত্র উপযুক্ত সুযোগ-সুবিধা সমন্বিত প্রতিষ্ঠানে মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য সীমিত রাখতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে আহ্বান জানানো হয়। তবে এর বিপরীতে দেখা যায়, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক, অবকাঠামো নেই তবুও অনার্স এবং মাস্টার্সের বিভিন্ন প্রোগ্রাম অনুমোদন দিচ্ছে খোদ ইউজিসিই। উচ্চশিক্ষা খাতে জাতীয় বাজেটের অর্থ দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের ন্যূনতম চাহিদা মেটানো সম্ভব না উল্লেখ করে এই খাতে বরাদ্দ চিহ্নিত করে মঞ্জুরি কমিশনের চাওয়া অর্থ সংস্থান করার জন্য সরকারের প্রতি আবেদন জানানো হয়।
সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে প্রতি বছরই কর্তব্যে অবহেলার অভিযোগ করে নিয়ন্ত্রণ সংস্থাটি। অধিকাংশ সময় কর্মস্থলে (ক্লাস ও গবেষণা) অনুপস্থিত থাকা, দুপুরের পর শ্রেণিকক্ষ ও শিক্ষকদের অফিস কক্ষ তালাবদ্ধ থাকে বলে অভিযোগ করা হয়। এছাড়া নিজের কর্মস্থলের পরিবর্তে একাধিক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে খ-কালীন শিক্ষক হিসেবে সময় ব্যয় করার কথাও বলা হয়। এতে শিক্ষার্থী ও সাধারণের মধ্যে শিক্ষকদের সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা, উত্তরপত্র মূল্যায়ন ও ফল প্রকাশে বিলম্ব হয়। শিক্ষকদের দায়িত্ব পালন এবং সার্বিক আচরণের উপর সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন এবং যথাযথ বাস্তবায়নের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করারও সুপারিশ করা হয়। উচ্চশিক্ষার অবিচ্ছেদ্য অংশ গবেষণা কার্যক্রম হলেও বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এই ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ কোনো অবদানই রাখতে পারছে না। শিক্ষকদের পদোন্নতিতেও এই বিষয়টিকে প্রাধান্য না দিয়ে রাজনৈতিক বিবেচনা অগ্রাধিকার দেয়া হয়। মেধা, দক্ষতা ও যোগ্যতাকে প্রাধান্য দিয়ে স্বচ্ছ এবং গ্রহণযোগ্য লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার পাশাপাশি ক্লাস ডেমোনেস্ট্রেশন ব্যবস্থার মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগ করা। মেধাবীদের শিক্ষকতা পেশায় আকৃষ্ট করা এবং সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির পাশাপাশি আকর্ষণীয় বেতন কাঠামো প্রবর্তন করার কথা বলা হয়। শিক্ষকদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা জরুরি। কিন্তু এর প্রতিকার করতে ইউজিসি কার্যকর কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ বা এ বিষয়ে তেমন কোনো উদ্যোগই নিতে পারেনি।
ইউজিসি শিক্ষা আনুষঙ্গিক খাতে ব্যয় বৃদ্ধির জন্য বেশ কয়েক বছর ধরে তাগিদ দিলেও তা আমলে নিচ্ছে না বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। উচ্চশিক্ষার সামগ্রিক উন্নয়নে বিপুল পরিমাণ অর্থের যোগান দেয়া সরকারের পক্ষে সম্ভব নয় জানিয়ে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে নিজস্ব আয়ের মাধ্যমে স্বাবলম্বী হতে বলা হয়। ব্যয়ের খাত বরাদ্দকৃত বাজেটের মধ্যে সীমাবদ্ধ রেখে ইউনিফর্ম একাউন্টস ম্যানুয়াল বাস্তবায়ন করা এবং শিক্ষা-বহির্ভূত আনুষঙ্গিক খাত যেমন পরিবহন, বিদ্যুৎ, টেলিফোন ইত্যাদি কমানোর পরামর্শ দেয়া হয়। কমিশনের অনুমোদন ছাড়া নতুন বিভাগ খোলা এবং শিক্ষক নিয়োগ বন্ধের জন্যও সুপারিশ রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির।
ইউজিসি’র পক্ষ থেকে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার মান নজরদারি ও নিয়ন্ত্রণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনকে আরও শক্তিশালী এবং কার্যকর রাখা প্রয়োজন। দেশের উচ্চশিক্ষার সার্বিক ব্যবস্থাপনা তদারকি এবং বিশ্বমানের শিক্ষা নিশ্চিত করার জন্য ইউজিসিকেই ভূমিকা রাখতে হবে। শুধু মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ করলেই হবে না। কমিশনকে আইনগতভাবে অধিকতর কার্যকর ও শক্তিশালী করে অর্থবহ সংস্থায় রূপান্তর করা জরুরি। এর ভাবমূর্তি, স্বায়ত্তশাসন ও ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য একটি পূর্ণ স্বাধীন উচ্চশিক্ষা কমিশন গঠন প্রয়োজন।
ইউজিসি চেয়ারম্যান প্রফেসর আব্দুল মান্নান বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আইন মানতে বাধ্য। ইতোমধ্যে তাদের দেয়া অনেক সুপারিশই বাস্তবায়ন হয়েছে। কিন্তু অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ও এগুলো মানছে না।’



 

Show all comments
  • Mohammed Shah Alam Khan ২২ জানুয়ারি, ২০১৭, ৯:৫৩ এএম says : 0
    আমি দৈনিক ইনকিলাবের সম্পাদক বাহাউদ্দিন সাহবকে একটি সুন্দর তথ্য ভিত্তিক প্রতিবেদন আমাদের সামনে তুলে ধরার জন্য আমি উনাকে জানাই অনেক অনেক ধন্যবাদ। একটা দেশের মেরুদন্ড হচ্ছে শিক্ষা আর সেই শিক্ষাকে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান হিসাবে নেয়া দেশের জন্য কতটা বিপদজনক এটা একবারও কি আমাদের সরকার ভেবে দেখেছে?? আজ দেশে যে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ঘটছে এর অন্যতম কারন শিক্ষা। গতকাল ইনকিলাবে সন্ত্রাসী শৃষ্টির উপর একটা লিখা পড়েছি সেখানে প্রাথমিক শিক্ষালয় এর বিষয় উঠে এসেছে। আজ আসছে সর্বউচ্চ শিক্ষালয় সম্পর্কে। ................... আমি শিক্ষামন্ত্রীকে অনুরোধ করব আপনি ইনকিলাবের এই সংবাদটা আপনার নজরে নিয়ে এর প্রতিকার করুন নয়ত আজ যুব সমাজ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী যে গর্ভবোধ করে সেটা ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যাবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে বের হবে শিক্ষিত, মার্জিত মানুষ হয়। কিন্তু প্রতিষ্ঠানের যদি উদ্দেশ্য হয়ে পয়সা কামানো তাহলে সেখান থেকে সন্ত্রাসী বের হবে মানুষ বের হবে না। তাই এখনি এদিকে নজর দিন এবং শক্ত হাতে নিয়ন্ত্রন করুন নয়ত দেশের মেরুদন্ড ভেঙ্গে চুড়মার হয়ে যাবে। তখন আর উন্নয়নের কোন মূল্যই থাকবে না। আল্লাহ্‌ আমাদেরকে ব্যবসায়ী জাতের হাত থেকে রক্ষা করুন। আমীন
    Total Reply(0) Reply
  • ফোরকান ২২ জানুয়ারি, ২০১৭, ১:৫৭ পিএম says : 0
    কার্যকর উদ্যোগ নেয়ার কোন বিকল্প নেই।
    Total Reply(0) Reply
  • সোলায়মান ২২ জানুয়ারি, ২০১৭, ১:৫৯ পিএম says : 0
    যেসব বিশ্ববিদ্যালয় সুপারিশ মানছে না তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।
    Total Reply(0) Reply
  • Jamal ২২ জানুয়ারি, ২০১৭, ১:৫৯ পিএম says : 0
    Avabe cholte dea jay na
    Total Reply(0) Reply
  • Sajib ২২ জানুয়ারি, ২০১৭, ২:০০ পিএম says : 0
    কমিশনকে আইনগতভাবে অধিকতর কার্যকর ও শক্তিশালী করে অর্থবহ সংস্থায় রূপান্তর করা জরুরি।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: উচ্চশিক্ষা

১ সেপ্টেম্বর, ২০২২
৩ অক্টোবর, ২০১৬

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ