পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রযুক্তির ব্যবহারে পিছিয়ে থাকা দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে অবকাঠামো গড়ে তোলার আহŸান জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। গতকাল বৃহস্পতিবার ইউজিসির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. কাজী শহীদুল্লাহ অনলাইন ও বেøন্ডেড লার্নিং বিষয়ে বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা বৃদ্ধি শীর্ষক এক কর্মশালায় একথা বলেন।
তিনি বলেন, নতুন প্রযুক্তির উদ্ভাবন ও ব্যবহার শিক্ষাখাতে ব্যাপক পরিবর্তন এনেছে। বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে উচ্চশিক্ষায় প্রযুক্তির ব্যবহার অনেক আগেই শুরু হয়েছে। কিন্তু আমাদের দেশে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো এদিকে পিছিয়ে আছে। তাই বিশ্বের উন্নত দেশেগুলোর শিক্ষাব্যবস্থার সাথে তাল মিলিয়ে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষাব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে শিক্ষাসহ প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনায় প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো গড়ে তুলতে হবে।
ইউজিসি ও কমনওয়েলথ এডুকেশনাল মিডিয়া সেন্টার ফর এশিয়া (সেমকা)’র যৌথ উদ্যোগে ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে আয়োজিত ২০ দিনের এ কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন, প্রফেসর ড. মো. আবু তাহের, ইউজিসি সচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ড. ফেরদৌস জামান ও বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাউবি) ট্রেজারার ও স্কুল অব বিজনেসের ডীন প্রফেসর ড. মোস্তফা কামাল আজাদ।
ইউজিসি চেয়ারম্যান বলেন, প্রযুক্তি শিক্ষাসহ সকল ক্ষেত্রেই কাজের ধরনে বড় রকমের পরিবর্তন এনেছে। বৈশ্বিক এ বাস্তবতা অনুধাবন করতে না পারলে দেশের শিক্ষা প্রতির্ষ্ঠানগুলো পিছিয়ে পড়বে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে প্রযুক্তিনির্ভর অনলাইন ও বেøন্ডেড লার্নিং কার্যক্রম পরিচালনার জন্য শিক্ষকদের সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে।
প্রফেসর ড. কাজী শহীদুল্লাহ বলেন, অনলাইন ও বেøন্ডেড লার্নিং সম্পর্কে শিক্ষকদের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা না গেলে এই শিক্ষা কার্যক্রম কার্যকর করা যাবে না। করোনা পরবর্তী সময়েও অনলাইন শিক্ষা ও বেøন্ডেড লার্নিং কার্যক্রম চালিয়ে যেতে হবে। এ ব্যবস্থাকে টেকসই করতে ইউজিসি বেøন্ডেড লার্নিং পলিসির খসড়া চূড়ান্ত করেছে যা প্রশাসনিক অনুমোদনের প্রক্রিয়ায় রয়েছে।
ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, বর্তমান সরকার সকল ক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো গড়ে তুলেছে। উচ্চশিক্ষাখাতকে এগিয়ে নিতে প্রযুক্তির ব্যবহারের কোন বিকল্প নেই। প্রযুক্তি ব্যবহার করে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করতে না পারলে বৈশ্বিক শ্রমবাজারে প্রতিযোগিতায় আমাদের গ্রাজুয়েটরা টিকে থাকতে পারবে না। তাই, আধুনিক তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করে অনলাইন শিক্ষা ও বেøন্ডেড লার্নিং সিস্টেম কার্যকর করতে আমাদেরকে দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলতে হবে।
ইউজিসি সচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ড. ফেরদৌস জামান বলেন, বাংলাদেশের সরকারী ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় বর্তমানে ১৫৭টি বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালিত হচ্ছে। উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৪৩ লাখ। শিক্ষার মান উন্নয়ন করা না গেলে দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে উঠবে না। তাই, শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য ডিজিটাল প্লাটফর্মের কার্যকর ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। ইউজিসি এক্ষেত্রে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়নে কাজ করছে। ২০ দিনের এই কর্মশালায় দেশের ২০টি পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০০০ জন শিক্ষক অংশ নিচ্ছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।