পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
উচ্চমাধ্যমিক স্তরে পাস করার পর বেশিরভাগ শিক্ষার্থীই উচ্চশিক্ষার জন্য দেশের বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়ে থাকেন। এজন্য প্রতিবছরই ভর্তিযুদ্ধে লড়াই হয়ে নিজেদের আসন নিশ্চিত করেন শিক্ষার্থীরা। বিগত বছরগুলোতে ভালো মানের বিশ্ববিদ্যালয়ে জায়গা পেতে তাদের মধ্যে মূল প্রতিদ্ব›িদ্বতা হতো। কিন্তু এবার দাঁড়িয়েছে ভিন্ন পরিস্থিতি। করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে পরীক্ষা ছাড়াই অটো পাস পেয়েছে ২০২০ সালের এইচএসসি, আলিম ও সমমানের শিক্ষার্থীরা। ফলে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য নিবন্ধনকারী সকলেই পাস করেছে।
জিপিএ-৫’ও পেয়েছে দেড় লাখের বেশি। এতো বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীর উচ্চশিক্ষা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে কিনা তা নিয়ে এখন প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। যদিও দেশের উচ্চশিক্ষা পর্যায়ে আসনের ক্ষেত্রে কোন সংকট হবে না বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। কমিশনের তথ্য অনুসারে, উচ্চশিক্ষায় নিয়োজিত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে স্নাতক সম্মান, স্নাতক পাস ও সমমান কোর্সে ১৩ লাখ ২০ হাজারের মতো আসন রয়েছে। ইউজিসি’র দেয়া তথ্য অনুযায়ীই সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে উচ্চশিক্ষার জন্য শিক্ষার্থীরা ভর্তি হলেও ৪৭ হাজারের বেশি উচ্চমাধ্যমিক পাস করা শিক্ষার্থী বঞ্চিত হবেন উচ্চশিক্ষা গ্রহণে। গত ৩০ জানুয়ারি প্রকাশিত ফল অনুযায়ী এবার এইচএসসি, আলিম ও সমমানের পরীক্ষায় পাস করেছেন ১৩ লাখ ৬৭ হাজার ৩৭৭ জন। আর দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন কলেজ, ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল, ইঞ্জিনিয়ারিং, অধিভূক্ত কলেজসহ সকল প্রতিষ্ঠানেই আসন সংখ্যা রয়েছে ১৩ লাখ ২০ হাজার। সে হিসেবে ৪৭ হাজার ৩৭৭ জন শিক্ষার্থী এবার উচ্চশিক্ষার জন্য কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির সুযোগ পাবে না।
ইউজিসি’র তথ্য অনুযায়ী ৩৯টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬০ হাজার, ৯৫টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২ লাখ ৩ হাজার ৬৭৫, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ৮ লাখ ৭২ হাজার ৮১৫, ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬০ হাজার, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ৭৭ হাজার ৭৫৬, দুটি আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪৪০, মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজে ১০ হাজার ৫০০, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভূক্ত সাত কলেজে ২৩ হাজার ৩৩০, ৪টি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ৭২০, ৬ টি টেক্সটাইল কলেজে ৭২০, সরকারি ও বেসরকারি নার্সিং ও মিডওয়াইফরি ৫ হাজার ৬০০, ১৪ টি মেরিন এন্ড অ্যারোনটিকাল কলেজে ৬৫৪, ঢাকা ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভূক্ত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ৩ হাজার ৫০০ এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভূক্ত প্রতিষ্ঠানে ২৯০ টি আসন রয়েছে।
তবে এর মধ্যে দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেই ভর্তির ক্ষেত্রে মূল লড়াই হয়ে থাকে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের। এছাড়া প্রথম সারির কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতেও থাকে শিক্ষার্থীদের ভিড়। কিন্তু জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পাস বেশিরভাগ কলেজে এবং নাম সর্বস্ব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে বিগত বছরগুলোতে শিক্ষার্থীদের অনীহা চোখে পড়েছে। কিন্তু এবার বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী পাস করার কারণে এসব কলেজ ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের পোয়াবারো অবস্থা তৈরি হয়েছে বলেও মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
অনেকের ধারণা, সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজে ভর্তি হতে না পেরে বহু শিক্ষার্থী এবার নিম্নমানের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে যাবে। কারণ সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আসন খুবই সীমিত আর ভালোমানের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রেও রয়েছে প্রতিযোগিতা। ফলে এবার বিনা পরীক্ষায় এইচএসসিতে উত্তীর্ণ হওয়া দুর্বল শিক্ষার্থীরা সহজ লক্ষ্য হিসেবে নিম্নমানের কোনো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বেছে নেবে। আর এতেই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পোয়াবারো।
এ প্রসঙ্গে ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর বলেন, চলতি বছর উচ্চশিক্ষায় ভর্তিতে আসনের ক্ষেত্রে কোন সংকট হবে না। প্রায় সকল শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষার সুযোগ পাবে। তবে পছন্দের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বিষয়ে ভর্তিতে তীব্র প্রতিযোগিতা হবে বলে তিনি জানান।
তিনি আরও বলেন, ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষে দেশের ২০ টি সাধারণ ও বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং ৬ টি কৃষি প্রধান বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এই সপ্তাহে প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছে ভর্তি পরীক্ষা বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানা যাবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।