বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
উচ্চশিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিত করতে টেকসই পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। উচ্চশিক্ষায় সাফল্য অর্জন করা গেলে দেশের দারিদ্র বিমোচনও সম্ভব হবে। এছাড়া টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) সতেরটির মধ্যে সাতটি লক্ষ্য অর্জন প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে শিক্ষা খাতের উপর নির্ভরশীল। এজন্য আসন্ন বাজেটে শিক্ষা ও গবেষণা খাতে পৃথক পৃথক বরাদ্দ দেয়া প্রয়োজন। গতকাল শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মুজাফফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে সেন্টার অন বাজেট এন্ড পলিসির উদ্যোগে “ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে উচ্চশিক্ষায় বাজেট” শীর্ষক এক প্রাক বাজেট সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ ও সেন্টার অন বাজেট এন্ড পলিসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো: কামাল উদ্দীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান এমপি প্রধান অতিথি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. সাদেকা হালিম বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের অনারারি প্রফেসর ড. আতিউর রহমান ও সেন্টার অন বাজেট এন্ড পলিসির পরিচালক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আবু ইউসুফ। স্বাগত বক্তব্য দেন ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের প্রফেসর ড. নিয়াজ আহমেদ খান। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. মো. আখতারুজ্জামান সেমিনার উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধনী বক্তব্যে ভিসি প্রফেসর ড. আখতারুজ্জামান সর্বস্তরে শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নের লক্ষ্যে উচ্চশিক্ষা খাতে বাজেট বরাদ্দ বৃদ্ধির উপর গুরুত্বারোপ করেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান এমপি আধুনিক ও উন্নত বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালনের জন্য তরুণ প্রজন্মের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, জাতীয় বাজেট প্রণয়ন ও দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে নাগরিকদের গঠনমূলক পরামর্শ বিবেচনা করা হবে।
মূল প্রবন্ধে জাতীয় বাজেটে শিক্ষা ও গবেষণা খাতে পৃথক বরাদ্দের আহ্বান জানানো হয়। প্রবন্ধকারগণ বলেন, তারা সমাজের চাহিদা অনুযায়ী গ্রাজুয়েট তৈরি, কারিগরি শিক্ষার উন্নয়ন, দক্ষ মানব সম্পদ সৃষ্টি, শিক্ষার্থীদের উদ্যোক্তা হিসেবে প্রস্তুত করা, বাজেটের সঠিক বাস্তবায়ন এবং অপচয় রোধে এপ্রিল-মার্চকে অর্থবছর নির্ধারন করার প্রস্তাব দেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।