পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : আমীরে হিযবুল্লাহ, ছারছীনা শরীফের পীর ছাহেব আলহাজ হযরত মাওলানা শাহ্ মোহাম্মদ মোহেব্বুল্লাহ (মা.জি.আ.) বলেছেনÑ শান্তির জন্য ও মুক্তির জন্য আল্লাহর পথে আসুন। কোরআন, সুন্নাহ, ইজমা, কিয়াস, মাজহাব ও তরীকার আলোকে জীবন পরিচালনা করুন। দুনিয়ার মহব্বত, দুনিয়ার মোহ কখনোই কারো জন্য কল্যাণের বার্তা বয়ে আনতে পারে না। বরং মানুষকে পরকালের কথা ভুলিয়ে রাখে এই দুনিয়াপ্রীতি। ফলে লোভ, মোহ, হিংসা-বিদ্বেষে আক্রান্ত হয়Ñ ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ, সারাদেশ ও দুনিয়া। যা শুধু ধ্বংসের পথকেই উন্মুক্ত করে দেয়। তাই কোরআন-সুন্নাহর আলোকে রয়েছে গোটা বিশ্বের শান্তির ফয়সালা। এককথায় মানব রচিত মতবাদ নয় বরং কোরআন-সুন্নাহ, নবী-সাহাবা ও হক্কানী আওলিয়ায়ে কেরামদের অনুসৃত পথেই বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠা হবে।
গতকাল ২০ জানুয়ারী রোজ শুক্রবার মুন্সীগঞ্জ জেলার শ্রীনগর উপজেলাধীন কামারখোলা খানকায়ে ছালেহিয়া কমপ্লেক্স ময়দানে ছাররছীনা শরীফের কুত্ববুল আলম হযরত মাওলানা শাহ সূফী নেছারুদ্দীন আহমদ (রহঃ) ও তারই জানেশীন মুজাদ্দিদে যামান হযরত মাওলানা শাহ সূফী আবু জা’ফর মুহাম্মদ ছালেহ (রহঃ)-এর ইন্তেকালবার্ষিকী উপলক্ষে আয়েজিত তিনদিনব্যাপী ঈছালে ছওয়াব মাহফিলের শেষ দিন আখেরী মোনাজাত পূর্ব ভাষণে হযরত পীর ছাহেব কেবলা একথা বলেন।
খানকায়ে ছালেহিয়া কমপ্লেক্স উন্নয়ন কমিটির সভাপতি ও আমিন মোহাম্মদ গ্রুপের চেয়ারম্যান আলহাজ এম.এম. এনামুল হক এর সভাপতিত্বে ও মাওঃ আ.জ.ম. অহিদুল আলম এর উপস্থাপনায় মাহফিলে ইসলামের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াবলীর উপর আলোচনা করেনÑ বাংলাদেশ জমইয়তে হিযবুল্লাহর সিনিয়র নায়েবে আমীর ও হযরত পীর ছাহেব কেবলার বড় ছাহেবজাদা আলহাজ হযরত মাওলানা শাহ আবু নছর নেছারুদ্দীন আহমদ হুসাইন, ছারছীনা আলিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ড. মাওঃ সৈয়দ মুহাঃ শরাফত আলী, ঢাকা নেছারিয়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ড. মাওঃ মোঃ কাফিল উদ্দীন সরকার ছালেহী, ছারছীনা আলিয়া মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ মাওঃ মোঃ রুহুল আমিন ছালেহী, মুহাদ্দিস হাফেজ মাওঃ মোঃ বোরহান উদ্দীন ছালেহী।
পীর ছাহেব কেবলা আরও বলেনÑ তরীকা তাসাউফের অনুশীলন, হক্কানী পীরের নির্দেশ পালন, তাকে মহব্বত করা প্রত্যেক মুরীদের জন্য অপরিহার্য ততক্ষণ পর্যন্ত যতক্ষণ না সে শরীয়তবিরোধী কোন কাজের নির্দেশ দেন। আর পীরের আনুগত্য, নেকআমল ও অধিক জিকিরের মাধ্যমে কু-রিপুগুলো দূর করে আল্লাহওয়ালা হওয়া যায়।
পীর ছাহেব কেবলা মাহফিলে আগত হাজার হাজার ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের উদ্দেশে বলেনÑ দ্বীন ইসলামকে আল্লাহর যমীনে টিকিয়ে রাখতে হলে দ্বিনিয়া মাদ্রাসার বিকল্প নেই। অতএব পাড়া-মহল্লায়, নিজ নিজ এলাকায় দ্বিনিয়া মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে মদীনার ইসলামকে জিন্দা রাখার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান। আর সকলকে স্মরণ করিয়ে দেন ছারছীনা দরবার হক্ব দরবার, আদব ও আমলের দরবার। এখানে আসলে আল্লাহর রহমতে হেদায়েতপ্রাপ্ত হয়ে খাঁটি মুসলমানে পরিণত হয়।
মাহফিলে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- খানকায়ে ছালেহিয়া কমপ্লেক্স উন্নয়ন কমিটির সহ-সভাপতি আলহাজ আব্দুছ ছত্তার ঢালী, সাধারণ সম্পাদক আলহাজ আবদুল হান্নান আজাদ, হযরত পীর ছাহেব কেবলার ছোট সাহেবজাদা আলহাজ শাহ আবু বকর মোহাম্মদ ছালেহ নেছারুল্লাহ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ড. হাফেজ মাওলানা মোঃ রুহুল আমিন, সাবেক জেলা ও দায়েরা জজ আলহাজ মোঃ ইসমাঈল মিয়া, আলহাজ সুলতান আহমেদ, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ সেলিম হোসেন খান, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ আশরাফ, স্থানীয় মেম্বার মাসুদ মোল্লা প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।