Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৯ হাজার রান পূর্ণ

সত্যিই সাকিবের প্রিয় প্রতিপক্ষ নিউজিল্যান্ড

| প্রকাশের সময় : ২১ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

বিশেষ সংবাদদাতা : নিউজিল্যান্ড সফরে এসে একটার পর একটা রেকর্ড করছেন সাকিব। টেস্ট ক্যারিয়ারে এই প্রথম পেয়েছেন ডাবল সেঞ্চুরির দেখা। ওয়েলিংটনে ২১৭ রানের সেই ইনিংসকে আবার বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ইনিংসে দিয়েছেন রূপ। মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে ৫ম জুটিতে ৩৫৯ রানে একগাদা রেকর্ডে লিখেছেন নিজের নাম। ওই ডাবল সেঞ্চুরির ইনিংসে তৃতীয় বাংলাদেশী হিসেবে টেস্টে ৩ হাজারী ক্লাবের সদস্যপদ পেয়েছেন। টেস্টে ১৫০ উইকেট এবং ৩ হাজার রানে বিরল অল রাউন্ড পারফরমেন্সে সেরা ১৪ জনে লিখিয়েছেন নিজের নাম। টেস্টে প্রথম ইনিংসে ডাবল সেঞ্চুরির পাশে দ্বিতীয় ইনিংসে ০ রানে অগৌরবের রেকর্ডে ৭ জনের তালিকায়ও আছেন তিনি।
টেস্টে আসলেই প্রিয় প্রতিপক্ষ তার নিউজিল্যান্ড। ৪৫ টেস্টে ৩২০৫ রানের মালিকের ক্যারিয়ার গড় যেখানে ৪১.০৮, সেখানে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৮ টেস্টে ৭৫৫ রানে তার গড়টা ৬৮.৬৩! টেস্ট ক্যারিয়ারে সেঞ্চুরি যেখানে তার ৪টি, সেখানে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২টি। নিউজিল্যান্ডের মাঠে, সবুজ উইকেটে ব্যাটিংটা যেখানে বিশ্বের বাঘা বাঘা ব্যাটসম্যানদের জন্য আতঙ্কের, সেখানে নিউজিল্যান্ডের মাটিতেই খেলতে অধিক স্বাচ্ছন্দ পান সাকিব। নিউজিল্যান্ডের মাটিতে ৪ টেস্টে ৫০৯ রানে গড়টা কোথায় নিয়েছেন জানেন? ৮৪.৮৩! ঈর্ষণীয়ই বটে। এই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে ২টি সেঞ্চুরির ২টিই আবার নিউজিল্যান্ডের মাটিতে। গতকাল ৫৯ রানের ইনিংসে একটা মাইলফলকও করেছেন স্পর্শ। তামীম ইকবালের পর তিন ভার্সনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৯ হাজার রান পূর্ণ করেছেন এদিন। বাংলাদেশ বোলারদের মধ্যে তিন ভার্সনের ক্রিকেট মিলে ৪শ’ উইকেটের মালিক একাই এই বাঁহাতি স্পিনার। আর ২টি উইকেট পেলে পূর্ণ হবে তার টেস্ট, ওয়ানডে, টি-২০ আন্তর্জাতিক ম্যাচ মিলে সাড়ে ৪শ’ উইকেট।
সাকিবের এই রেকর্ডের দিনে বাংলাদেশ টেল এন্ডার কামরুল ইসলাম রাব্বী সংযম প্রদর্শনে বিরল দৃষ্টান্ত করেছেন উপস্থাপন। বল ছাড়তে এবং একটার পর একটা বল ডট করার দীক্ষাটা দিয়েছেন ভালই। ৬৩ বলে করেছেন মাত্র ২ রান। তার এই সংযমী ব্যাটিং ফিরিয়ে এনেছে জিওফ অ্যালট এবং জন স্নোর অতীত। টেস্ট ইতিহাসে ৬০ বা তার বেশি বল মোকাবেলা করে কম করেছেন যারা, তাদের তালিকায় এই দু’জনের পরের অবস্থানটি কামরুল ইসলাম রাব্বীর। ১৯৯৯ সালে হোমে ৭৭ বল খেলে কোনো রান না করেই ড্রেসিং রুমে ফিরে এসেছিলেন নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেটার জিওফ অ্যালট। ১৯৬৮ সালে গায়ানা টেস্টে ইংল্যান্ডের জন স্নো ৬০ বলে করেছেন সেখানে ১ রান। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তার এই ইনিংসেই ম্যাচ বাঁচাতে পেরেছে ইংল্যান্ড।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: আন্তর্জাতিক

১৩ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ