পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বে-টার্মিনাল নির্মাণে আন্তর্জাতিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ (চবক)। গতকাল বুধবার বন্দরের বোর্ডরুমে চবক চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহানের উপস্থিতিতে তিনটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তি মোতাবেক পরার্মশক প্রতিষ্ঠান প্রকল্পের প্রকৌশল নকশা প্রনয়ণ, বে-টার্মিনালের ওয়াটার ও এক্সেস চ্যানেল ড্রেজিং কার্যক্রমের ডিজাইন, ড্রয়িং, প্রাক্কলন ও দরপত্র দলিল প্রস্তুতকরণ কাজ আগামী ছয় মাসের মধ্যে শেষ করবে। অনুষ্ঠানে বন্দরের সকল সদস্য এবং প্রতিষ্ঠান তিনটির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। এই চুক্তির ফলে চট্টগ্রাম বন্দরের এই মেগাপ্রকল্প বাস্তবায়নে আরো এক ধাপ অগ্রগতি হলো।
চট্টগ্রাম বন্দরসীমার শেষ প্রান্তে চট্টগ্রাম ইপিজেডের পেছনে সাগরপাড় থেকে সাগরিকায় জহুর আহমেদ চৌধুরী বিভাগীয় স্টেডিয়ামের অদূরে রাসমণিঘাট পর্যন্ত প্রায় ছয় দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এলাকায় আড়াই হাজার একর ভূমিতে বে-টার্মিনাল গড়ে তোলার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। এক দশক আগে পরিকল্পনা হলেও এখনও নির্মাণে কাক্সিক্ষত অগ্রগতি হয়নি। এখন জমি অধিগ্রহণ এবং মাটি ভরাট কাজ চলছে। ২০১৬ সালে বে-টার্মিনাল নির্মাণের কারিগরি, অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত সম্ভাব্যতা সমীক্ষা করা হয়। সমীক্ষায় কারিগরি ও অর্থনৈতিকভাবে এ টার্মিনাল গড়ে তোলার উপযুক্ত বলে মত দেয়া হয়েছিল।
প্রকল্প প্রস্তাবনা অনুযায়ী, বে-টার্মিনালে প্রাথমিকভাবে তিনটি টার্মিনাল নির্মাণ করা হবে। এরমধ্যে একটি এক হাজার ২২৫ মিটার দীর্ঘ কনটেইনার টার্মিনাল, একটি ৮৩০ মিটার দীর্ঘ কনটেইনার টার্মিনাল এবং একটি দেড় হাজার মিটার দীর্ঘ মাল্টিপারপাস টার্মিনাল। তিনটি টার্মিনালের মোট দৈর্ঘ্য ৩ দশমিক ৫৫ কিলোমিটার। মাল্টিপারপাস টার্মিনাল নির্মাণ ও পরিচালনার দায়িত্বে থাকবে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। এ টার্মিনালে জেটি থাকবে ছয়টি। বাকি দুটি টার্মিনাল সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের ব্যবস্থায় দক্ষ ও অভিজ্ঞ আন্তর্জাতিক টার্মিনাল অপারেটরদের অর্থায়নে নির্মাণ ও পরিচালনা করা হবে।
বে-টার্মিনালে মোট ১৩টি জেটি থাকবে। বে-টার্মিনালে মাল্টিমোডাল কানেক্টিভিটি সুবিধা থাকবে। প্রকল্পের পূর্ব দিকে রয়েছে সিটি আউটার রিং রোড ও রেলপথ। বে-টার্মিনাল প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে ১০-১২ মিটার ড্রাফটের ছয় হাজার কনটেইনার বহন ক্ষমতাসম্পন্ন জাহাজ ভেড়ানো সম্ভব হবে। বন্দরের বিদ্যমান অবকাঠামোতে জেটিতে সর্বোচ্চ ১ হাজার ৮০০ একক ধারণক্ষমতার কনটেইনার জাহাজ ঢুকতে পারে। এখন বন্দরে জোয়ার-ভাটার ওপর ভিত্তি করে জাহাজগুলো জেটিতে ভেড়ে। কিন্তু বে-টার্মিনালে ২৪ ঘণ্টাই জাহাজ ভিড়তে পারবে।
জানা গেছে, বে-টার্মিনালের ব্রেক ওয়াটার নির্মাণ এবং চ্যানেল ড্রেজিংয়ের জন্য ৩৫০ মিলিয়ন ডলার ঋণ দেয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে বিশ্বব্যাংক। এছাড়া বে-টার্মিনালের অংশীদার হতে সউদী আরব, আরব আমিরাত, সিঙ্গাপুর এবং দক্ষিণ কোরিয়া আগ্রহ প্রকাশ করেছে। দেশি-বিদেশি ২০ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ প্রস্তাব এসেছে বলে বন্দরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।