পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : আমিরে হিযবুল্লাহ, ছারছীনা শরীফের পীর ছাহেব আলহাজ হযরত মাওলানা শাহ্ মোহাম্মদ মোহেব্বুল্লাহ (মা.জি.আ.) বলেছেন- সত্য ও ন্যায়ের পথে চলে আলোকিত জীবন গড়া প্রত্যেক মুমিন মুসলমানের ঈমানি দায়িত্ব। বর্তমানে বিশ্বব্যাপী মুসলিম উম্মাহ চরম সংকটে নিপতিত। মুসলিম উম্মাহর চলমান এই সংকট থেকে উত্তরণ পেতে হলে সত্য, ন্যায় তথা সিরাতুল মুস্তাকিমের পথে জীবন গঠন করা অপরিহার্য। খাঁটি মুসলমান কখনো আদর্শ ও আকিদার বেলায় কারও সাথে আপোষ করতে পারেনা। ছারছীনা দরবার ইলমে শরীয়ত ও মারেফাতের উপর প্রতিষ্ঠিত একটি হক দরবার। এ দরবার মানুষের হৃদয় মুকুড়ে সহিহ আকিদা জাগ্রত করেন আমলের মাধ্যমে আল্লাহওয়ালা ও নায়েবে নবী তৈরি করার মহান খেদমতের আঞ্জাম দিয়ে যাচ্ছে। এ দরবারের প্রতিষ্ঠাতা কুতুবুল আলম আল্লামা শাহ্সূফি নেছারুদ্দীন আহমদ (রহ.) ছিলেন খাঁটি আশেকে রাসূল। তিনি তাঁর জীবদ্দশায় মাঝে মধ্যে বলতেন- “আমি রাসূল (সা.) কে দেখে দেখে আমল করি। আর আমি যত নেয়ামত লাভ করেছি এর পিছনে ইসলামের অন্যতম ফরজ বিধান পর্দা পালন হচ্ছে অন্যতম।” ছারছীনা দরবার নামাজ, রোজা, হজ, যাকাত, হালাল-হারামের পাশাপাশি ভক্ত মুরিদানদের ব্যক্তিজীবনে পর্দার বিধান পালনে জোর তাগিদ দিয়ে থাকে। এর পাশাপাশি আল্লাহওয়ালা হওয়ার জন্যে নিয়মিত জিকির-আজকার, দরূদ শরীফ, মিলাদ-কিয়াম, সালাতুল আউয়াবীনসহ অন্যান্য নফল নামাজ ও নিয়মিত পবিত্র কুরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে আল্লাহওয়ালা হওয়ার জন্য তা’লীম দিয়ে থাকে।
গতকাল মুন্সীগঞ্জ জেলার শ্রীনগর উপজেলাধীন কামারখোলা খানকায়ে ছালেহিয়া কমপ্লেক্স ময়দানে তিনদিনব্যাপী মাহফিলের দ্বিতীয় দিন বাদ মাগরিব হযরত পীর ছাহেব কেবলা একথা বলেন। আজ মাহফিলের শেষ দিন এবং বাদ জুময়া দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহর সার্বিক কল্যাণ ও সুখ-শান্তি কামনা করে বিশেষ করে মায়ানমারের নির্যাতিত রোহিঙ্গা মুসলমানদের জন্য হযরত পীর ছাহেব কেবলা আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করবেন।
খানকায়ে ছালেহিয়া কমপ্লেক্স উন্নয়ন কমিটির সভাপতি ও আমিন মোহাম্মদ গ্রুপের চেয়ারম্যান আলহাজ এম.এম. এনামুল হক সকল পীর ভাই, মুহিব্বিনসহ সভাপতিত্বে মাহফিলে ইসলামের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াবলীর উপর আলোচনা করেন- ছারছীনা কামিল মাদরাসার প্রিন্সিপাল ড. মাওলানা সৈয়দ শরাফত আলী, ভাইস প্রিন্সিপাল রুহুল আমিন সালেহী, মুফতি মাও মোঃ হায়দার হোসাইন, দারুন্নাজাত সিদ্দিকীয়া কামিল মাদরাসার মুহাদ্দিস মুফতি ওসমান গণি ছালেহী, ছারছীনা দারুচ্ছুন্নাত জামেয়া-ই-নেছারিয়া দ্বীনিয়ার মুদাররিস মাও. শামসুল আলম মোহেব্বী প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।