বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা সংবাদদাতা : ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রচারপত্র বিলি নিয়ে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলার বালিকা বিদ্যালয় ও মহিলা কলেজে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। আতঙ্কে দিন কাটছে শিক্ষক- শিক্ষার্থীদের।
জানা যায়, গত শনিবার বেলা ১১টা ৫৭ মিনিটে বালিকা বিদ্যালয় ও মহিলা কলেজের ৯ম শ্রেণিতে পাঠ বিরতিকালে কলেজের একাদশ শ্রেণির (নতুন ভর্তি) ১ম বর্ষের এক শিক্ষার্থী বহিরাগত এক মহিলাকে সঙ্গে নিয়ে ‘অভিনন্দনপত্র’ ও ‘সিরাতুন্নবী (সা:)-এর ডাক, ১৬’ নামে প্রচারপত্র বিলি করে। এ সময় তারা অনুপস্থিত ছাত্রীদের ব্যাগের ভেতর ও বইয়ের নিচে প্রচারপত্র রেখে দ্রæতগতিতে কলেজ থেকে বেরিয়ে যায়। প্রচারপত্রটি শিক্ষার্থীরা পড়ে স্যারদের জানালে প্রতিষ্ঠানজুড়ে শিক্ষক ও ছাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
গতকাল (রোববার) কলেজে গিয়ে সিসি ক্যামেরায় ধারণকৃত ফুটেজে দেখা যায় শনিবার ১১টা ৫৩ মিনিটে এক কলেজ শিক্ষার্থী বহিরাগত এক মহিলাকে নিয়ে প্রবেশ করে ১১টা ৫৬ মিনিট পর্যন্ত প্রচারপত্র বিলি করে। ১১টা ৫৮ মিনিটে কলেজ থেকে বেরিয়ে যায়। সিসি ফুটেজে আরো দেখা যায়, ওই শিক্ষার্থী ১১টা ২ মিনিটে বাংলা বিষয়ের পাঠদানে উপস্থিত ছিল। ওই সময় বাংলা বিষয়ের শিক্ষক দোলোয়ার হোসেনের সাথে কথা বলতেও দেখা যায় তাকে।
নবম শ্রেণির একাধিক শিক্ষার্থীর সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রচারপত্র বিলির সময় মহিলারা বাড়িতে গিয়ে পড়তে বলেন এবং কাউকে না বলতে বলে। পরে আমরা প্রচারপত্র পড়ে সন্দেহ হলে স্যারদের জানাই।
বিষয়টি নিয়ে কলেজশিক্ষক দেলোয়ার হোসেন জানান, ছাত্রীটি পাঠদান চলাকালীন সময়ে পেট ব্যথা করছে বলে শ্রেণিকক্ষ থেকে বেরিয়ে যায়। ঘণ্টাখানেক পর গেটের বাইরে অন্য এক স্যারের সাথে দাঁড়িয়ে কথা বলার সময় ওই ছাত্রীটি আরেক মহিলাকে সঙ্গে নিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছিল। সে সময় আমি ছাত্রটিকে ডেকে বেরিয়ে যাওয়ার কারণ জিজ্ঞাসা করলে স্কুল থেকে ছুটি নিয়েছে বলে জানায়।
অধ্যক্ষ মহির উদ্দিন তালুকদার জানান, বিষয়টি জানার পর প্রতিষ্ঠানে ব্যবহৃত সিসি ক্যামেরায় ধারণকৃত ফুটেজ দেখে সন্দেহ হলে প্রতিষ্ঠানের সভাপতি, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও থানার অফিসার ইনচার্জ বদরুল আলম খানকে মৌখিকভাবে জানানো হয়। ফুটেজ দেখে একটি মেয়েকে অত্র প্রতিষ্ঠানের সন্দেহ হওয়ায় তাকে চিহ্নিত করতে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাজীব কুমার সরকার জানান, অধ্যক্ষের সাথে আলাপ করে ধারণা করা হচ্ছে কোনো মৌলবাদী সংগঠনের প্রাথমিক সদস্য সংগ্রহ করতে ওই প্রচারপত্র বিলি করে থাকতে পারে। আইনশৃঙ্খলার দায়িত্বে থাকা লোকজনকে বিষয়টি যাচাই করে দেখতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
থানার অফিসার ইনচার্জ বদরুল আলম খান জানান, বিষয়টি জানার পর যাচাই-বাছাই করে দেখা হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।