Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ঈশ্বরগঞ্জ হাসপাতালের ভেতরে কুকুরের উপদ্রব

| প্রকাশের সময় : ১৫ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা সংবাদদাতা : ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কুকুরের উপদ্রব কমছে না। রোগীদের খাবার খেয়ে ফেলে, রোগীদের তাড়া করে কুকুর। ওই অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসানিতে আসা রোগীরা পড়েছেন চরম বিপাকে। কুকুরের যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ হয়ে অনেকে হাসপাতাল থেকে চলে গেলেও কর্তৃপক্ষ কুকুরের উপদ্রব কমাতে কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না।
৫০ শয্যা বিশিষ্ট্য ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কুকুরের উপদ্রব চলছে দীর্ঘ দিন ধরে। কিন্তু সম্প্রতি কুকুরের উপদ্রব বেড়ে গেছে অনেক। গতকাল শনিবার দুপুরে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায়, নারী ওয়ার্ড ও প্রসূতি ওয়ার্ডে ঘুরছে কুকুর। কুকুরটি রোগীদের বিছানার নিচে রাখা জিনিসপত্রে মুখ দিচ্ছে। খাবারের সন্ধানে এক কক্ষ থেকে অন্য কক্ষে ছুটে যাচ্ছে। রোগীরা কুকুর তাড়ানোর চেষ্টা করলেও হাসপাতালের কোনো লোক পাওয়া যায়নি কুকুরকে তাড়াতে। রোগীরা জানিয়েছেন, কুকুর দল সময়ে সময়ে হাসপাতালের কক্ষে এসে প্রবেশ করে। খাবারের সন্ধানে জিনিসপত্রে মুখ দেয়। কাপড় ও কাগজপত্র ধরে টানাটানি করে। কুকুরকে তাড়াতে গেলে কুকুরও তেড়ে আসে। হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসে এমন অবস্থা দেখে তারা হতবাক হয়েছেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, জীবানু বহন করা কুকুর রোগীদের কক্ষে প্রবেশ করে যন্ত্রণা করলেও তা রোধ করা যাচ্ছে না। জনবল সংকট থাকার কারণে এ অবস্থা প্রকট আকার ধারণ করেছে। রোগীদের কক্ষে কুকুর প্রবেশ করায় নানা ধরণের জীবানু ছড়িয়ে রোগ ছড়াতে পারে রোগীদের। নারী ও প্রসূতি ওয়ার্ডে চিকিৎসা নিতে আসা নাজমা আক্তার বলেন, অসুস্থ্য বাচ্চার চিকিৎসা নিতে দুইদিন ধরে হাসপাতালে আছি। একটু পরে পরে কুকুর ঢুকছে। কুকুর দেখে বাচ্চারা ভয় পাচ্ছে। জাহানার নামের আরেক রোগী বলেন, কুকুর বিছানার নিচে রাখা জিনিস পত্রে মুখ দিচ্ছে। একবার তাড়িয়ে দিলে আবার আসছে। অনেক সময় ঝাঁপ দিয়ে হাতে থাকা খাবার ছিনিয়ে নেয়। কুকুরের যন্ত্রণায় আমরা অতিষ্ঠ।
পুরুষ ওয়র্ডে চিকিৎসা নিতে আসা আবু সাঈদ জানান, কুকুর এতো অত্যাচার করলেও হাসপাতালের কাউকে কুকুর তাড়াতে দেখিনি। নার্সিং সুপার ভাইজার শিপ্রা রানী সরকার জানান, হাতপাতালে জনবল সংকটের কারণে ওই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। স্বাস্থ্য কর্মকর্তা নাজিম উদ্দিন অবসরে চলে গেছেন নতুন স্যার আসলে কুকুর নিয়ন্ত্রণে আলাদা লোক নিয়োগ দিতে সুপারিশ করব। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভারপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আবদুল খালেক বলেন, জনবল সংকটের কারণে কুকুর গুলো নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। তবে হেলদি কুকুর থাকলে রোগীদের কোন সমস্যা নেই।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ঈশ্বরগঞ্জ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ