পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আফজাল বারী : আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যাবে বিএনপি। সেটা সরকারের মেয়াদপূর্তির আগে-পরে যে সময়েই হোক। তবে তার আগে গুরুত্বপূর্ণ দুই ইস্যুর ফয়সালা চায়। প্রথম, নিরপেক্ষ ও স্বাধীন নির্বাচন কমিশন। দ্বিতীয়ত, নির্বাচনকালীন সরকারব্যবস্থা। সহায়ক সরকারের যে দাবি করেছে, তা থেকে কিছুটা সরে আসার চিন্তাভাবনাও রয়েছে। তবে বিদ্যমান ব্যবস্থায় অর্থাৎ দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশগ্রহণ প্রশ্নে দলটি আলোচনা চায়। এ ক্ষেত্রে কিছু শর্তও জুড়ে দিয়েছে তারা। এর মধ্যে দলীয় নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা-মোকদ্দমার বিষয়টি প্রাধান্য দেয়া হয়েছে।
সংবিধানে এখন পর্যন্ত দলীয় সরকারের অধীনেই নির্বাচনের বিধি-বিধান রয়েছে। বিএনপি সংবিধানের এই বিধান সংশোধনের দাবি জানিয়ে আসছে। নির্বাচনকালীন সরকার অবশ্যই নির্দলীয় চায়। সেটা ‘তত্ত্বাবধায়ক’ শব্দের বদলে যে কোনো শব্দ ব্যবহৃত হতে পারে। বিএনপির একাধিক সিনিয়র নেতা জানান, দলীয় সরকার হলে যারা মন্ত্রী-এমপি আছেন নির্বাচনে তো তাদের অধিকাংশই নির্বাচনে অংশ নেবেন। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও। তাহলে তার প্রটোকল জন্য প্রদেয় রাষ্ট্রীয় সুবিধাদী কি প্রত্যাহার করা হবে। মন্ত্রীরা কি মন্ত্রণালয়ের বাইরে থাকবেন? তাহলে লেভেল প্লেইং ফিল্ড হবে কি করে।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ইতোমধ্যে নির্বাচন কমিশন নিয়ে তার ফর্মুলা দিয়েছেন। কমিশনকে নিরপেক্ষ করতে অপেক্ষাকৃত নির্দলীয় ব্যক্তি বাছাইয়ের প্রস্তাব দিয়েছেন। পরবর্তী ধাপ নির্বাচনকালীন সরকারব্যবস্থা নিয়ে সহায়ক সরকারের প্রস্তাব দিয়েছেন। সাথে এমন মন্তব্যও করেছেন, তার প্রস্তাবের চেয়ে গ্রহণযোগ্য ও কার্যকর প্রস্তাবনাকে সম্মান জানাবেন তিনি।
বিএনপি নেতারা বলছেন, এই মুহূর্তে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনকেই গুরুত্ব দিচ্ছে দলটির হাইকমান্ড। দ্বিতীয় ইস্যুতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছেনি। সেটা নির্ভর করছে কমিশন গঠনের উপর। কমিশন নিরপেক্ষ পেলে সহায়ক সরকারের দাবি থেকে সরে আসতে পারে। শেষ পর্যন্ত জাতীয় সরকারের আহ্বানে সাড়া দেবে বিএনপি, এমন আভাস পাওয়া গেছে। বিএনপি মনে করে, কমিশন নিরপেক্ষ পেলে নির্বাচনকালীন সরকারে তাদের অংশীদারিত্ব নির্ধারণ ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যপরিধি খর্ব করার বিষয়টি সামনে আনবে।
দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নিজেও বলেছেন, বিএনপি একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের গ্যারান্টি চায়। আর এটা নিশ্চিত করার পথে কোনো বিষয়েই অনমনীয় নয় বিএনপি। প্রয়োজন শুধু আলোচনা-সমঝোতা।
নির্বাচনকালীন সরকার ফরমেট সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক স্পিকার ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার ইনকিলাবকে বলেন, বর্তমান সংবিধানে কেয়ারটেকার (তত্ত্বাবধায়) সরকার ব্যবস্থা বিলুপ্ত। বিএনপিও বিলুপ্ত বিষয়টিকে সামনে আনার দাবি করছে না। আমাদের দাবি বর্তমান সরকার তাদের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনকে নিরপেক্ষ করুক। তাহলেই নিরপেক্ষ কমিশন, নিরপেক্ষ প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দিতে পারবে। তবে অবশ্যই সরকার প্রধানসহ এমপি-মন্ত্রীদের ক্ষমতা খর্বের বিষয়টি সামনে আসতে পারে।
তিনি বলেন, দাবি যা-ই হোকÑ সবচেয়ে বড় বিষয় ক্ষমতাসীনদের সদিচ্ছা। তারা নির্বাচনে সব দলকে অংশগ্রহণ করাবে নাকি ৫ জানুয়ারির মতোই আরেকটি নির্বাচন করবে। বিএনপি কিংবা অন্যান্য রাজনৈতিক দলের যে দাবি-দাওয়া রয়েছে, সেটাকে ক্ষমতাসীনরা সংবিধানের দোহাই দিয়ে পাশকাটিয়ে যাচ্ছে। এ চিন্তার পরিবর্তন ঘটাতে হবে। অবশ্যই একটি আলোচনা ও সমঝোতায় আসতে হবে। তাহলে সংবিধান কোনো ফ্যাক্টরই হবে না। তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা আছে। চাইলেই সংবিধান সংশোধন করতে পারে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য লে. জে মাহবুবুর রহমান বলেন, নির্বাচনের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন। গ্রহণযোগ্য ও নিরপেক্ষ ব্যক্তির মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হলে তার পরিকল্পনাতেই গ্রহণযোগ্য নির্বাচন বিষয়টি অগ্রাধিকার পাবে। সরকারের কাছে কমিশনই অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের সহায়ক পরিবেশের দাবি জানাবে। যাতে করে সব দলের অংশগ্রহণের জন্য একটি মাঠ তৈরি হয়। আমরা এই দাবিতেই আছি। মাঠ লেভেল করতে সরকার যদি আহ্বান জানায় তাহলে জাতীয় সরকারের ডাকেও সাড়া দিতে পারে বলে জানান বিএনপির এই নীতিনির্ধারক।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।