বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কক্সবাজার অফিস : পর্যটনশহর কক্সবাজারে কোনোমতেই থামছেনা পাহাড়কাটা। সরকারি বেসরকারি প্রয়োজন, ব্যক্তিগত প্রয়োজন ও ভ‚মি দস্যুতার কারণে সারাবছরই চলছে পাহাড় কাটা। আইন, নিষেধাজ্ঞা ও সতর্কতা কিছুই যেন কাজে আসছে না। দালান-কোঠা ও রাস্তা-ঘাট নির্মাণে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপনে এবং সরকারি বেসরকারি স্থাপনায় মাটি সরবরাহ করতে হরদম চলছে পাহাড় কাটা।
এক অনুসন্ধানে দেখা গেছে, বিভিন্নভাবে কমপক্ষে দুই হাজার একর পাহাড় এবং বনভ‚মি উজাড় হয়ে যাচ্ছে প্রতিবছর। এসব পাহাড় ও বনভূমিতে হচ্ছে সরকারি স্থাপনা, আবার কোথাও হচ্ছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কোথাও হচ্ছে ব্যক্তিগত স্থাপনা দালান-কোঠা। আবার কোথাও রাস্তা, ব্রিজ, কালভার্ট ও ইটভাটার জন্য মাটি সরবরাহ করা হচ্ছে পাহাড়-জঙ্গল উজাড় করে। কোথাও পাহাড় জঙ্গল দখল করে নিচ্ছে রোহিঙ্গারা। এভাবে আজ কক্সবাজারের পাহাড় জঙ্গল ক্ষতবিক্ষত।
গতকাল কক্সবাজার শহরের কলাতলীর হোটেল মোটেল জোনের পেছনে পাহাড় কাটার সময় অভিযান চালিয়ে দুই মাটিশ্রমিককে আটক করে কক্সবাজার পরিবেশ অধিদফতরের সহাকরী পরিচালক সর্দার শরীফুল ইসলাম। এ প্রসঙ্গে সর্দার শরীফুল ইসলাম জানান, জেলার বিভিন্ন স্থানে পাহাড় কাটা কিছুতেই থামানো যাচ্ছে না। প্রভাবশালীরা পাহাড় কাটার সাথে জড়িত থাকলেও মাঠে বা স্পটে পাওয়া যায় লেবার শ্রমিকদেরকে। লোকবল ও প্রয়োজনীয় সহযোগিতার অভাবে তারা অনেকটা দুর্বল পাহাড় খেকোদের কাছে। তার পরেও গতকাল কলাতলীর লাইট হাউজ পাড়ার ওই পাহাড়ে তিনি নিজে মোবাইল কোর্ট নিয়ে অভিযান চালিয়ে হাতে নাতে দুইজনকে আটক করেছেন। মোহাম্মদ শাব্বির ও মো: সোনামিয়া নামের ওই দুই শ্রমিককে একমাসের সাজা দেয়া হয়েছে বলেও তিনি জানান। সর্দার শরীফ আরো জানান, কলাতলীর লাইট হাউজ পাড়ার সরকারি ওই খাস শ্রেণির পাহাড়ে মাটি কাটার অভিযোগে ইতোপূর্বেও সরকারদলীয় কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে তিনটি মামলা হয়েছে। তিনি দুঃখ করে বলেন, গতকাল পাহাড় কাটার সাথে মামুন ও রাশেদ নামের দুইজন সাংবাদিক জড়তি থাকার কথা নিশ্চিত হওয়া গেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।