মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : মোদি সরকারের নোট-বাতিলের ধাক্কার বিরুদ্ধে কংগ্রেসের ‘জনবেদনা সম্মেলনে’ উপস্থিত দলের নেতাকর্মীরা আত্মবিশ্বাসে অনেক বেশি টগবগে এক রাহুলকে দেখতে পেলেন বুধবার। সেখানে তিনি অভয় দিয়ে বলেছেন- মোদিকে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। কংগ্রেস তার নিজের পথে চলেই ২০১৯ সালে ক্ষমতায় আসবে। মুছে যাবেন অহঙ্কারী জাদুকর নরেন্দ্র মোদি। তিনি আমজনতার পকেটের টাকা কাগজ বানিয়ে ছেড়েছেন বলে অভিযোগ করেন রাহুল গান্ধী।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সকল সাফল্যের দাবি নাকচ করে দিয়ে রাহুল বলেন, মোদি সকলের থেকে আলাদা শুধু তার অহঙ্কারে। নয়তো দেশ চালাতে সক্ষম অনেক নেতা রয়েছেন বিজেপিতে, তারাও কেউ ক্ষমতায় আসতে পারতেন। মোদির ভাবমূর্তি তছনছ করা, এমনকি নিজের দলেই তাকে একা করে ফেলার লক্ষ্য নিয়েই জনবেদনা সম্মেলনের বক্তব্য দিয়েছে কংগ্রেস নেতা রাহুল। অবশ এই মঞ্চে তাকে দলের সভাপতি ঘোষণা করা হয়নি আনুষ্ঠানিক ভাবে কিন্তু ভূমিকাটা ছিল তেমনই। কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধীর কৌশলী অনুপস্থিতিতে ‘ব্র্যান্ড রাহুল’ তৈরির মঞ্চ সাজানোই ছিল।
এত দিন মোদি রাহুলের বক্তৃতার ধরন নিয়ে ব্যঙ্গ করতেন। এবার ছিল রাহুলের পালা। তিনি দাবি করলেন, একমাত্র কংগ্রেসই পারে দেশে সুদিন ফেরাতে। আর সেটি হবে ২০১৯ সালেই। ভারতের মঙ্গলযানে মোদির ছবি না থাকায় প্রধানমন্ত্রীর আক্ষেপের অন্ত নেই বলে কটাক্ষ ছুড়েও বিস্তর হাততালি কুড়ালেন রাহুল। নোট বাতিলের প্রশ্নে মোদির বিরুদ্ধে বড় আন্দোলনের ডাক দিয়ে রাহুল আসলে এক সঙ্গে অনেকগুলি কাজ সারতে চান। আন্দোলনে ফিরিয়ে এনে হতাশ ও ছত্রভঙ্গ সংগঠনকে ফের একসূত্রে গাঁধা ও চাঙ্গা করাই তার উদ্দেশ্য।
অপর এক খবরে বলা হয়, ভারতের কংগ্রেস দলের সহসভাপতি রাহুল গান্ধীর বক্তব্যে জবাব দিয়েছেন দেশটির তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এম ভেঙ্কাইয়া নাইডু। ২০১৯ সালে কংগ্রেস ক্ষমতায় আসছে এমন মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে নাইডু বলেছেন, রাহুল দিবাস্বপ্ন দেখছেন। ২০১৯ তো দূরের কথা, ২০৯০ সালেও কংগ্রেস ক্ষমতায় আসতে পারবে না। টাইমস অব ইন্ডিয়া অনলাইনের প্রতিবেদনে জানানো হয়, গত বুধবার রাহুলের মন্তব্যের জবাব দেন নাইডু। আর এই জবাব দিতে গিয়ে কংগ্রেস সহসভাপতিকে খোঁচা দেন কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী। বিদেশ সফর শেষে দেশে ফিরে কংগ্রেসের ডাকা এক সম্মেলনে গতকাল রাহুল বলেন, ২০১৯ সালে কংগ্রেস ক্ষমতায় এলেই আচ্ছে দিন (সুদিন) আসবে, তার আগে নয়। রাহুল তাঁর এই মন্তব্যের মধ্য দিয়ে মূলত ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কটাক্ষ করেন। কংগ্রেস সহসভাপতির মন্তব্যের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দেখাতে খুব একটা সময় নেয়নি কেন্দ্রের ক্ষমতায় থাকা বিজেপি। মোদি সরকারের তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এক বিবৃতিতে বলেন, ২০১৯ সালে আচ্ছে দিন আসবে বলে কংগ্রেস সহসভাপতির দাবি শুনে আমি বিস্মিত। কংগ্রেসের জন্য আচ্ছে দিন কী? প্রতারণা, কেলেঙ্কারি, নীতিগত অক্ষমতা, নিষ্ক্রিয়তা, জড়তা, মূল্যবৃদ্ধি, প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের অধঃপতন ইত্যাদি কংগ্রেস শাসনের ধারা। এগুলো কি আচ্ছে দিন? ২০১৯ সালে কংগ্রেসের ক্ষমতায় আসার ভাবনা দিবাস্বপ্ন। রাহুলের মন্তব্যের জের ধরে নাইডু বলেন, ২০১৯ সাল ভুলে যান। ২০৯০ সালেও কংগ্রেস ক্ষমতায় আসতে পারবে না। টাইমস অব ইন্ডিয়া, এবিপি, পিটিআই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।