পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইসরাইলে তৈরি হ্যাকিং সফটওয়্যার পেগাসাস ব্যবহার করে ভারতে যেসব সম্ভাব্য ফোন নম্বরে আড়ি পাতা হয়েছে, সে তালিকায় দুইবার এসেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রধান রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ভারতীয় কংগ্রেসের নেতা রাহুল গান্ধীর নাম।
পেগাসাস কেলেঙ্কারি ফাঁস হওয়ার পর থেকেই বিশ্বজুড়ে তোলপাড় চলছে। এর মধ্যে ভারতেরই অন্তত ৩শ’ রাজনীতিক, সাংবাদিক, অধিকারকর্মী, বিজ্ঞানীর নাম এসেছে, যাদের ওপর নজরদারি চালানো হয়েছে ওই স্পাইওয়্যার ব্যবহার করেছে।
বলা হচ্ছে, ইসরাইলি কোম্পানি এনএসও গ্রুপের তৈরি করা এই হ্যাকিং সফটওয়্যার কিনে নিয়ে অধিকারকর্মী, সাংবাদিক, আইনজীবী, রাজনীতিকদের ফোনে নজরদারি চালিয়ে আসছে বিভিন্ন দেশের ‘কর্তৃত্ববাদী’ সরকার। ভারত সরকার অবশ্য এ ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
ফাঁস হওয়া একটি ডেটাবেইসে এসব ফোন নম্বর প্রথমে পায় প্যারিসভিত্তিক সংস্থা ফরবিডেন স্টোরিজ ও অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, পরে তারা যুক্তরাজ্যের গার্ডিয়ান, ভারতের দ্য অয়্যারসহ ১৬টি সংবাদ মাধ্যমকে তা জানায়। তারা সবাই মিলে এ অনুসন্ধানের নাম দিয়েছে ‘পেগাসাস প্রজেক্ট’।
দ্য ওয়্যারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পেগাসাসের সম্ভাব্য হ্যাকিংয়ের লক্ষবস্তুতে পরিণত হওয়া যে ৩শ’ ভেরিফায়েড ভারতীয় নম্বরের তালিকা তারা পেয়েছে, তার মধ্যে অন্তত দুটি নম্বর কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী ব্যবহার করেছেন। আর এ হ্যাকিং চালানো হয়েছে এনএসও গ্রুপের সেবা নেওয়া ‘ভারতীয় অফিসিয়াল ক্লায়েন্টের’ মাধ্যমে।
গার্ডিয়ান জানিয়েছে, রাহুলের ওই দুই ফোন নম্বর সম্ভাব্য নজরদারির তালিকায় নেওয়া হয় ২০১৯ সালের নির্বাচনের আগে। রাজনীতির সঙ্গে কোনো যোগাযোগ নেই, কিন্তু সোশাল মিডিয়ায় রাহুলের বন্ধু- এরকম পাঁচজনের ফোন নম্বরও ওই তালিকায় আছে।
এই তালিকায় আরও এসেছে নির্বাচনী কৌশল প্রণেতা প্রশান্ত কিশোর, তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, এমনকি ভারতের নতুন তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী আশ্বিনী বিষ্ণুর নামও। সোমবার শুরু হওয়া ভারতের পার্লামেন্ট অধিবেশনে পেগাসাস কেলেঙ্কারি নিয়ে সরকারের ব্যাখ্যা দাবি করেছেন একাধিক বিরোধী দলীয় নেতা।
আর মোদি সরকারকে কটাক্ষ করে রাহুল গান্ধী এক টুইটে লিখেছেন, ‘আমরা জানি, উনি ইদানিং কী পড়ছেন। আপনার ফোনের সব কিছুই দেখছেন’।
গার্ডিয়ান লিখেছে, নির্বাচনের আগে রাহুলের ওই দুই ফোন নম্বরে হ্যাকিংয়ের চেষ্টা সফল হয়েছিল কি না, তা ফরেনসিক পরীক্ষা না করে বলা সম্ভব না। নজরদারি এড়াতে রাহুল কয়েক মাস পরপরই ফোন পাল্টান। পরীক্ষার জন্য তিনি সে সময় ব্যবহার করা সেটটি পেগাসাস প্রজেক্টকে দিতে পারেননি।
রাহুল গার্ডিয়ানকে বলেছেন, ‘যে ধরনের সার্ভেইলেন্সের কথা আপনারা বলছেন, তা আমার ওপর, যে কোনো বিরোধী দলীয় নেতার ওপর, কিংবা ভারতের আইন মেনে চলা যে কোনো নাগরিকের ওপরও যদি হয়ে থাকে, তা অবশ্যই অবৈধ এবং ভয়ঙ্কর।
‘আপনাদের তথ্য যদি সঠিক হয়ে থাকে, নজরদারির যে মাত্রা আর ব্যাপ্তির কথা আপনারা বলছেন, তা কেবল একজনের ব্যক্তিগত গোপনীয়তার ওপর আক্রমণ নয়, আমাদের দেশের পুরো গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার ওপর আক্রমণ। অবশ্যই এর তদন্ত হতে হবে এবং যারাই এর পেছনে থাক না কেন, তাদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনতে হবে’। সূত্র : দ্য গার্ডিয়ান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।