মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : কালো অর্থ কখনোই ভারতের অর্থনীতির জন্য বড় সমস্যা ছিল না জানিয়ে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন বলেছেন, নোট বাতিলের এই সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে নেয়া উচিত ছিল। ৬ শতাংশ কালো অর্থের জন্য ৮৬ শতাংশ নোট বাতিলকে কোনোভাবেই সমর্থন করা যায় না। অমর্ত্য সেন বলেন, নোট বাতিলের এই সিদ্ধান্ত কালো অর্থ খুঁজে বের করতে ব্যর্থ হয়েছে। গত মঙ্গলবার এক টিভি চ্যানেলকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এমন মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, নোট বাতিলের জেরে ভুগছেন দেশের সাধারণ মানুষ। অথচ সেই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল একতরফাভাবে। অমর্ত্য সেনের দাবি, বিষয়টি নিয়ে জোরালো প্রতিবাদ করতে বিরোধীদের যেভাবে একজোট হতে হত, তা তারা পারেননি। তাই গত দু’মাস এত দুর্ভোগের পরেও অনেক মানুষ যে এখনো অন্ধভাবে নোট বাতিলের পাশে দাঁড়াচ্ছেন, তার কিছুটা দায় বিরোধীদেরও। একই সঙ্গে তার আশঙ্কা, যত দিনে এই ঘোর কাটবে, উত্তরপ্রদেশ সমেত পাঁচ রাজ্যে ভোট তত দিনে সারা। কালো টাকা, জাল নোট, কিংবা ডিজিটাল লেনদেনের প্রসার- কোনো যুক্তিই ওই সিদ্ধান্তের পক্ষে ধোপে টেকে না বলে মনে করেন তিনি। বরং নোট বাতিল নিয়ে কেন্দ্র ও রিজার্ভ ব্যাঙ্কের লাগাতার সিদ্ধান্ত বদলে যাওয়ার কারণে ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থার প্রতি আমজনতার আস্থা ধাক্কা খেতে পারে বলে তার আশঙ্কা। তাহলে এ নিয়ে সাধারণ মানুষের ভুল ভাঙলে, কী জবাবদিহি করবে মোদী সরকার?
তার মতে, এটি ভুল সিদ্ধান্ত কি না, তা নিয়ে আলোচনার কোনো জায়গা নেই। বরং এটি কত বড় ভুল, শুধু তা নিয়ে কথা হতে পারে। প্রথমে কালো অর্থের বিরুদ্ধে জেহাদ, তারপরে জাল নোট, সন্ত্রাসে টাকার জোগান বন্ধ করা হয়ে শেষমেশ নগদহীন অর্থনীতির তত্ত্ব (ক্যাশলেস ইকোনমি)। ৮ নভেম্বর নোট বাতিল ঘোষণার পর থেকে বারবার তার কারণ বদলেছে কেন্দ্র। অমর্ত্য সেনের মতে, এ থেকেই স্পষ্ট, শুরুতে কালো অর্থের বিরুদ্ধে যে যুদ্ধের কথা বলা হয়েছিল, তাতে জয় আসবে না বলে মেনে নিয়েছে তারা। কিন্তু হালে কেন্দ্র যে একাধিক বার বলেছে, এই সিদ্ধান্ত আসলে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের? এ বিষয়ে এই অর্থনীতিবিদের স্পষ্ট জবাব, আমি মনে করি না এটা রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সিদ্ধান্ত। এই মুহূর্তে শীর্ষ ব্যাঙ্ক স্বাধীনভাবে কোনো কিছু ঠিক করে বলেই মনে করি না আমি। উল্লেখ্য, এ দিন সংসদীয় কমিটিকে রিজার্ভ ব্যাঙ্কও জানিয়েছে যে, নোট বাতিলের সুপারিশ তাদের হলেও পরামর্শ সরকারের। সম্প্রতি বারবার প্রশ্ন উঠেছে বর্তমান গভর্নর উজিত পটেলের জমানায় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের স্বাধীনতা বিপন্ন কি না। অনেকেরই অভিযোগ, তিনি সিদ্ধান্ত নেন কেন্দ্রর ইশারায়। মনে হয়, মনমোহন সিংহ, রঘুরাম রাজন কিংবা আই জি পটেলের মতো গভর্নর থাকলে, তার কথা অন্তত একবার শুনতে বাধ্য হত কেন্দ্র। তার মতে, জিডিপিকে ঠেলেঠুলে যদি বা তোলা যায়, এই সমস্ত ক্ষতি অপূরণীয়। তার কথায়, শান্তিনিকেতনে গিয়ে দেখেছি, সেখানে আলু চাষ ধাক্কা খেয়েছে। এবিপি, ওয়েবসাইট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।