পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানীতে আবারো দুই শিশু সন্তানকে নির্মমভাবে হত্যার পর আত্মঘাতী হয়েছেন এক গর্ভধারিণী মা। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে দারুসসালাম থানাধীন দিয়াবাড়ি এলাকার একটি বাসায় এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। প্রাথমিকভাবে পুলিশের ধারণা, পারিবারিক অশান্তি ও স্বামী-স্ত্রীর দাম্পত্য কলহের জের ধরে এ ঘটনা ঘটেছে। নিহতরা হলো, গৃহবধূ আনিকা আক্তার (২৫), তার কন্যা শামীমা আক্তার (৫) ও মাত্র ৩ বছরের শিশু পুত্র আব্দুল্লাহ। ঘটনার পর থেকে আনিকার স্বামী শামীম হোসেন পলাতক। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের মিরপুর বিভাগের দারুসসালাম জোনের সহকারী কমিশনার মামুন মোস্তফা বলেন, গলাকাটা অবস্থায় শিশু দু’টির লাশ বিছানার ওপর এবং তাদের মা আনিকার লাশ সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। যে ঘরে লাশ পাওয়া গেছে তা ভেতর থেকে তালাবদ্ধ ছিল। পুলিশ দরজা ভেঙে লাশ তিনটি উদ্ধার করে। ধারণা করা হচ্ছে, অভিমান করে আনিকা তার দুই সন্তানকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলাকেটে হত্যার পর নিজে আত্মহত্যা করেছেন। গৃহবধূর স্বামী শামীম দিয়াবাড়ি এলাকার একটি সেলুনে (নরসুন্দর) কাজ করেন। তার গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জের মকসুদপুরে।
দারুসসালাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) ফারুক-উল আলম জানান, ছোট দিয়াবাড়ির ২/এফ, হোল্ডিংস্থ টিনশেড বাড়ির ভাড়া বাসায় দুই শিশু সন্তান নিয়ে বসবাস করতো শামীম-আনিকা দম্পতি। গতকাল দুপুরে স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে খবর পেয়ে ওই বাসা থেকে গৃহবধূ ও তার দুই সন্তানের লাশ উদ্ধার করা হয়। তিনি আরো জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে যতটুকু জানা গেছে তা হলো, গতকাল সকাল ৮টার দিকে গৃহকর্তা শামীম হোসেন বাসা থেকে বের হয়। এর পর তার কর্মস্থলে (এলাকার একটি সেলুনে) যায়। বেলা ১২টার দিকে সেখান থেকে আওয়ামীলীগের সমাবেশে যায়। সন্ধ্যা পর্যন্ত ফিরে না আসায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা যায়নি। তবে দুই সন্তানকে হত্যার পর মায়ের আত্মহত্যার নিশ্চিত কারণ জানা যায়নি। তবে দাম্পত্য কলহের জের ধরে এ ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, ওই সময় পর্যন্ত গৃহবধূর কোন স্বজনকে পাওয়া যায়নি। তবে শামীম হোসেনকে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদে হয়তো ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদঘাটন হবে। এর পরে এর পেছনে অন্য কোন কারণ রয়েছে কিনা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এর আগে ২০১০ সালে পূর্ব জুরাইনে দুই শিশু পাবন ও পায়েলকে হত্যার পর মা ফারজানা কবির রীতাও আত্মহত্যা করেন। গৃহবধূর স্বামীর পরকীয়া ও দাম্পত্য কলহের জের ধরে ওই ঘটনা ঘটে।
গত বছর রামপুরার বনশ্রীতে দুই শিশু অরনী ও আলভীকে হত্যা করেন মা মাহফুজা জেসমিন।
এছাড়া গত বছরে ফেনি সদর উপজেলার বাসায় ইতালি প্রবাসীর স্ত্রী মর্জিনা বেগম মুক্তা তার দুই অবুঝ শিশু ফাহিম ও মাহিমকে হত্যার পর নিজেও আত্মহত্যার পথ বেছে নেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।