বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
মো: ইউসুফ সারোয়ার, আখাউড়া থেকে : ভারতের ত্রিপুরা অংশে জমি অধিগ্রহণের জটিলতায় পিছিয়ে গেছে আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ নির্মাণকাজ। প্রকল্প বাস্তবায়ন নিয়ে কোনো সংশয় না থাকলেও সমস্যা রয়েছে ভারতীয় অংশে রেলপথ নির্মাণ শুরুর দিনক্ষণ নিয়ে। ভারতের ত্রিপুরার আগরতলা থেকে প্রকাশিত দৈনিক সংবাদ পত্রিকার ৯ জানুয়ারি সংখ্যায় প্রকাশিত সংবাদ থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
পত্রিকার খবর থেকে আরো জানা যায়, ত্রিপুরা অংশে রেলপথের বেশির ভাগই হবে উড়াল সেতু। প্রায় পুরো রেলপথ হবে মাটি থেকে অনেক উপর দিয়ে। কম জমি অধিগ্রহণের প্রশ্নে, জাতীয় সড়কে যান চলাচল অক্ষুণœ রাখতে এবং বাড়িঘরের ক্ষতি কমাতে এ পদ্ধতিতে রেলপথ করা হবে। রেলপথ নির্মাণে ব্যবহার করা হবে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি। জমি অধিগ্রহণের জন্য ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার অতিরিক্ত অর্থ দিতে রাজি না হওয়ায় নির্মাণকাজ শুরু করতে বিলম্ব হচ্ছে। এ প্রকল্প শুরু হওয়ার কথা ছিল ২০১৬ সালের গোড়ার দিকে। শেষ হওয়ার কথা ২০১৮ সালের মার্চে। বর্তমান অবস্থায় কাজ শুরু হতে ২০১৭ সাল শেষ হয়ে যেতে পারে।
জানা যায়, এ রেলপথের জন্য ভারতীয় অংশে ৬৬ একর জমির প্রয়োজন। ক্ষতিগ্রস্ত হবে ৩৭টি বাড়ি। জমি অধিগ্রহণের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার মোট ৯৭ কোটি টাকার মঞ্জুরি দেয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত রাজ্য সরকার জমি অধিগ্রহণ শুরু করতে পারেনি।
এখন পর্যন্ত অধিগ্রহণের জন্য জমিদাতাদের প্রতি প্রাথমিক বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে ছয় মাস সময় লাগে। ফলে জুলাই মাসের আগে জমি হস্তান্তরের সম্ভাবনা নেই।
আখাউড়া-আগরতলা রেলপথের দৈর্ঘ্য প্রায় ১৫ কিলোমিটার। এর মধ্যে ত্রিপুরা তথা ভারতীয় অংশে ৫ কিলোমিটার রেলপথ হবে। বাকিটা হবে বাংলাদেশে। এ রেলপথে মোট স্টেশন হবে চারটি। ভারতীয় অংশে দু’টি। বাংলাদেশের দু’টি স্টেশনের একটি গঙ্গাসাগর ও অন্যটি আখাউড়া। এ রেলপথ নির্মাণের দায়িত্বে রয়েছে ইরকন নামে ভারতীয় একটি নির্মাণ সংস্থা। এ প্রকল্পের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৫শ’ কোটি টাকা। ভারত-বাংলাদেশ উভয় অংশের রেলপথ নির্মাণের খরচই বহন করবে ভারত সরকার।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৩১ জুলাই ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলা রেল স্টেশনে আখাউড়া-আগরতলা রেল প্রকল্পের ভারতীয় অংশের নির্মাণকাজের উদ্বোধন হয়েছিল। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের রেলপথ মন্ত্রী মো: মুজিবুল হক ও ভারতের রেলমন্ত্রী সুরেশ প্রভাকর প্রভু।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।