পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাংলাদেশ রেলওয়ের কয়েক একর জমি অবৈধ দখল করে মৎস্য চাষ ও বালু উত্তোলনের ফলে পাইলিং ভেঙে রেলপথ ঝুঁকিপূর্ণ হয়। বহুল আলোচিত এ ঘটনাটি বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়ার পর শেষ পর্যন্ত রেল বিভাগ দায়সারা একটি মামলা করেছেন। এ বিষয়কে কেন্দ্র করে এলাকার লোকজনের মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।
জানা গেছে, কুড়িগ্রামের উলিপুর পৌরসভার জোনাইডাঙ্গাঁ গ্রামের মৃত জহির উদ্দিনের পুত্র ফজলুল হক প্রকাশ্যে রেলওয়ের কয়েক একর জমি জবর দখলে নিয়ে বালু উত্তোলন, মৎস্য খামার, চাষাবাদসহ বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করে আসছে। ফজলুল হকের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ রেলওয়ের জমি অবৈধ দখলের অভিযোগ দীর্ঘ দিনের। ফজলুল হকের মৎস্য খামার থেকে বিপুল পরিমান বালু উত্তোলন করে লক্ষ লক্ষ টাকায় বিক্রি করায় পার্শ্ববর্র্তী ফসলি জমি, রেলপথসহ পরিবেশ মারাত্মক হুমকির সম্মূখীন হয়। বাংলাদেশ রেলওয়ের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা ও কর্মচারীর যোগসাজসে রেলের জমি জবর-দখল, বালু উত্তোলন করে বিক্রি ও মৎস্য খামার প্রকল্প তৈরী করণসহ বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার খবরটি বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়ার পর কুড়িগ্রাম-৩ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম মাঈদুল ইসলাম সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য পত্র প্রেরণ করেছেন। পত্র প্রেরনের প্রায় আড়াই মাস পর বামনডাঙ্গা বাংলাদেশ রেলওয়ের এস,এস,এ ই/ওয়াকর্স সাইদুর রহমান চৌধুরী বাদী হয়ে গত ২০ সেপ্টেম্বর/১৭ইং তারিখে থানায় একটি দায়সারা এজাহার দাখিল করেন। এজাহারটি পাওয়ার ৪১ দিন পর থানার অফিসার ইনচার্জ এস,কে আব্দুল্লাহ আল সাইদ মামলাটি রুজু করেন। যার নং ৪৯ তাং ৩১/১০/১৭ইং। তদন্ত কাজে সময় লেগেছে এমনটাই জানিয়েছেন থানা অফিসার ইনচার্জ।
মামলার বিষয়ে উলিপুর উপজেলা রেল-নৌ, যোগাযোগ ও পরিবেশ উন্নয়ন গণ কমিটির সভাপতি আপন আলমগীর জানান, ভূমিদস্যু ফজলুল হক যেখানে রেল বিভাগের কয়েক একর জমি অবৈধ ভাবে জবর দখলে নিয়ে ১০ লক্ষাধিক টাকার বালু উত্তোলন, মৎস্য খামার তৈরি করে লাখ লাখ টাকার মাছ চাষ করে লুটপাট করছে। এতে রেলের পাইলিং ভেঙ্গে রাষ্ট্রের লক্ষ লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধন হলেও সে বিষয়গুলো মামলায় উল্লেখ করা হয়নি। এছাড়া তিনি আরও জানান, অভিযুক্ত ভূমিদস্যু ফজলুল হক সংশ্লিষ্ট বিভাগের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট গোপন যোগাযোগের মাধ্যমে রেলওয়ের জমিগুলো লীজ নেয়ার কাজ প্রায় চুড়ান্ত করেছে। তিনি এই অবৈধ লীজ কার্যক্রম বন্ধের জোর দাবী জানিয়েছেন।
রেলওয়ের ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা রেজওয়ানুল হক বলেন, ফিল্ড কানুঙ্গ গোলাম নবী উলিপুর থানায় এজাহার দাখিল করেছে। তবে মামলা হয়েছে কিনা জানিনা।
মামলার বাদী বামনডাঙ্গা রেলওয়ের এস,এস এ ই/ওয়াকর্স সাঈদুর রহমান চৌধুরীকে মুঠো ফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।
লীজ নেয়ার বিষয়ে রেলওয়ের বিভাগীয় যোন লালমনিরহাটের ডি,আর,এম নাজমুল ইসলাম জানান, লীজ কাউকে দেয়া হয়নি। আমি যতটুকু জানি মামলাটি সঠিক ভাবেই হয়েছে।
তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই আতাউর রহমান জানান, মামলাটির দ্রুত চার্জশীট দেয়া হবে এবং মামলা রুজু করতে বিলম্ব হওয়া কর্তৃপক্ষের উদাসীনতাকেই দায়ী করেন তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।