Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শত বছর অপেক্ষার অবসান

পাবনা-ঈশ্বরদী নতুন রেলপথ চালু

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৫ জুলাই, ২০১৮, ১২:০২ এএম

অবশেষে পাবনা জেলার বাসিন্দাদের একশ’ বছরের অপেক্ষার পালা শেষ হলো। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল ঈশ্বরদী-পাবনা রেলপথের উদ্বোধনের মাধ্যমে পাবনাবাসীদের শত বছরের স্বপ্ন পূরণ হলো। প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধনের পর রেলমন্ত্রী মোঃ মুজিবুল হক পাবনা রেল স্টেশন থেকে নতুন ট্রেন পাবনা এক্সপ্রেসের উদ্বোধন করেন। তিনি নিজে সেই ট্রেনে চড়ে পাবনা থেকে ঈশ্বরদী পর্যন্ত যান। এর আগে তিনি নতুন পাবনা রেল স্টেশন ভবন ঘুরে দেখেন। হাজার হাজার মানুষ তখন রেলমন্ত্রীকে স্বাগত জানান।
২০১৩ সালের ২ ফেব্রুয়ারি পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ মাঠ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাবনা জেলায় রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পের উদ্বোধন করেছিলেন। গতকাল বিকালে সেই মাঠেই তিনি নতুন রেলপথ উদ্বোধন করেন। রেল সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে মাঝগ্রাম-ঢালারচর ভায়া পাবনা রেলপথ নির্মাণের কাজ শুরু হয় ২০১০ সালের অক্টোবর মাসে। প্রকল্পটির প্রথমে বরাদ্দ ছিল ৯৮২ কোটি ৮৬ লাখ ৫৬ হাজার টাকা। পরে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬২৯ কোটি টাকা। প্রকল্পের আওতায় ঈশ্বরদী থেকে পাবনা হয়ে ঢালারচর পর্যন্ত ৭৮ কিলোমিটার রেল লাইন ও স্টেশন নির্মাণের কাজ শেষ। এই রেলপথে নতুন রেল স্টেশন আছে ১১টি। স্টেশনগুলো বি ও ডি ক্যাটাগরির। রেলপথে ছোট বড় মিলিয়ে সেতু আছে ১১৩টি। লেভেল ক্রসিং আছে অন্তত ৫০টি।
রেল সূত্র জানায়, গতকাল থেকে পাবনা এক্সপ্রেস-১,২,৩,৪ নামে চারটি ট্রেন চলাচল করবে। ৬টি বগী নিয়ে ট্রেনগুলো চলাচল করবে ঈশ্বরদী-পাবনা-রাজশাহী-পাবনা-ঈশ্বরদী রেলপথে। ৪২৩ আসনের ট্রেনগুলো চলবে সপ্তাহের প্রতিদিনই।
জানা গেছে, ব্রিটিশ শাসনামলে ১৯১৪ সালে পদ্মা নদীর উপর হার্ডিঞ্জ ব্রিজ চালু হলে সেই সময়ে দাবি ওঠে ঈশ্বরদী থেকে পাবনা পর্যন্ত একটি লিংক রেললাইনের। সেই সময় ব্রিটিশরা এ দাবি পূরণে প্রতিশ্রুতিও দেয়। তবে সেই প্রতিশ্রুতি আর বাস্তবায়িত হয়নি। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭৪ সালে সরকার পাবনাবাসীর দীর্ঘ দিনের এ দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ঈশ্বরদী-ঢালারচর রেলপথ প্রকল্প হাতে নেয়। সে সময় পাবনায় নদীকেন্দ্রীক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা গড়ে উঠলেও স্থলপথে যাতায়াত ব্যবস্থা অরো শক্তিশালী করতে ঈশ্বরদী থেকে পাবনা হয়ে নগরবাড়ী পর্যন্ত রেলপথের জন্য জমি অধিগ্রহণ করা হয়। কিন্তু ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যার পর প্রকল্পটি বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগে পাবনা শহরের টাউন হল মুক্তমঞ্চ মাঠে এক ভিডিও কনফারেন্সে আওয়ামীলীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা পাবনার মানুষকে প্রতিশ্রুতি দেন আগামীতে আওয়ামীলীগ সরকার গঠন করলে এ রেলপথ নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। তারই ধারাবাহিকতায় ২০১০ সালে আওয়ামীলীগ সরকার পাবনারবাসীর প্রাণের দাবি এ রেলপথ নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রেলপথ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ