Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নাইন-ইলেভেনের পরই সাদ্দামকে হত্যার সিদ্ধান্ত নেয় যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশের সময় : ৮ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম | আপডেট : ১২:০৬ এএম, ৮ জানুয়ারি, ২০১৭

ইনকিলাব ডেস্ক : আটকের পর সাদ্দাম হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদকারী যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা-সিআইএয়ের সাবেক এক কর্মকর্তা বলেছেন, নাইন-ইলেভেন হামলার পরই ইরাকি প্রেসিডেন্টকে হত্যার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল মার্কিন সরকার। জন নিক্সন নামের সিআইএয়ের সাবেক বিশ্লেষক বলছেন, জর্জ ডব্লিউ বুশের প্রশাসন ইরাককে দেখত তাদের অসমাপ্ত কাজ হিসেবে এবং প্রথম দিনই তারা ঠিক করেছিল কী করবে। গত শুক্রবার ব্রিটিশ দৈনিক ইন্ডিপেনডেন্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বিবিসি রেডিও ফোরের টুডে প্রোগ্রামে বুশ প্রশাসনের প্রথম দিকের দিনগুলো নিয়ে আলোচনায় নিক্সন বলেন, আমরা এ কথাটি জানতে পেরেছিলাম যে, তারা ইরাককে দেখে অসমাপ্ত কাজ হিসেবে। অসমাপ্ত কাজ’র অর্থ কী তা আমরা কখনও বুঝিনি। তবে আমরা জানতাম যে, তারা কিছু একটা করতে চাইছে। ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর আল-কায়েদার জঙ্গিরা ছিনতাই করা উড়োজাহাজ নিয়ে হামলা চালিয়ে ধ্বংস করে দেয় নিউ ইয়র্কের টুইন টাওয়ার নামে পরিচিত ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার, যাতে নিহত হন দুই হাজার ৭৫৩ জন। এই হামলাই নাইন-ইলেভেন নামে পরিচিতি পায়। এই হামলার পর আল-কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেনকে ধরতে আফগানিস্তানে হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র।  তার বছর দেড়েকের মাথায় ২০০৩ সালের ২০ মার্চ যুক্তরাষ্ট্র হামলা চালায় ইরাকে। প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেন ব্যাপক গণবিধ্বংসী অস্ত্রের মজুদ করেছেন, যা মানবসভ্যতার জন্য হুমকি দাবি করে ওই হামলা চালানো হয়। তবে পরে যুক্তরাষ্ট্রের এই দাবির সত্যতা মেলেনি। ২০০৩ সালের ডিসেম্বরে নিজের শহর তিকরিতের কাছের একটি গুহা থেকে সাদ্দামকে আটক করে যুক্তরাষ্ট্রের সেনারা। তিন বছরের মাথায় ২০০৬ সালে তাকে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়। টুডে প্রোগ্রামে নিক্সন বলেন, আপনি জানেন, একদিন পরই তারা মনস্থির করে ফেলেছিল। এবং নাইন- ইলেভেনের পর সাদ্দাম হোসেনের মৃত্যু পরোয়ানায় স্বাক্ষর করা হয়েছিল। সিআইয়ের সাবেক এই কর্মকর্তা আগেই বলেছিলেন, তিনি যখন সাদ্দাম হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন তখন দ্রুতই স্পষ্ট হয়েছিল যে সাদ্দাম গণবিধ্বংসী অস্ত্র  তৈরি করেননি। নিক্সন বলেন, সাদ্দাম হোসেনের মৃত্যুদ- ছিল ইরাক যুদ্ধের ন্যায্যতা থেকে বেরিয়ে আসার চূড়ান্ত পদক্ষেপ। এর আগেও অনেকবার ইরাক যুদ্ধের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন নিক্সন। ইরাক অভিযান নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র অনেক দিক থেকে গুরুতর ভুল করেছিল বলে মনে করেন তিনি। আমরা ইরাকে এসব কাজ করতে গিয়েছিলাম- গণবিধ্বংসী অস্ত্রের খোঁজ পেতে, নতুন ইরাক গঠনে সহায়তার জন্য, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায়, ইরাকি জনগণকে গণতন্ত্র দিতে; এবং একের পর এক এসবের সবগুলো ধসে পড়েছিল, বলেন নিক্সন। রয়টার্স।



 

Show all comments
  • Nasir ৮ জানুয়ারি, ২০১৭, ২:০০ এএম says : 0
    aro koto kisu ber hobe
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ