পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : সাবেক এক সি আই এ কর্মকর্তা বলেছেন, সাদ্দাম হোসেনই ছিলেন ইরাকের উপযুক্ত শাসক। তাকেই ইরাক শাসন করতে দেয়া উচিত ছিল। আর সেটাই ভাল হত। তিনি আমাকে বলেছিলেন, আপনারা ব্যর্থ হতে যাচ্ছেন। আপনারা বুঝতে পারবেন যে ইরাক শাসন করা সহজ নয়। খবর ওয়াশিংটন পোস্ট ও দি ইন্টারন্যাশনাল নিউজ।
প্রেসিডেন্ট ওবামা ও ভাবি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প উভয়েই মনে করেন যে ২০০৩ সালে ইরাকে হামলা চালানো যুক্তরাষ্ট্রের কখনোই উচিত হয়নি। ইরাক হামলা ও পরবর্তীর বিশৃঙ্খল অবস্থা বহুভাবেই বর্তমান মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতির সৃষ্টি করে। সৃষ্টি হয়েছে ইরাক ও সিরিয়ায় গোষ্ঠিগত দ্বন্দ্ব। শুধু তাই নয়, ওবামা প্রশাসনের মনে ঘনিয়ে উঠেছে আঞ্চলিক বিরোধে আবার হস্তক্ষেপের উদ্বেগ।
এ মাসে প্রকাশিত হচ্ছে সাবেক সিআইএ কর্মকর্তা জন নিক্সনের নতুন বই ‘ডিব্রিফিং দ্য প্রেসিডেন্ট ঃ দ্য ইন্টারোগেশন অব সাদ্দাম হোসেন।’ ২০০৩ সালের ডিসেম্বরে ইরাকের প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেন মার্কিন সৈন্যদের হাতে আটক হওয়ার পর তিনি তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন। বইতে তিনি সাদ্দাম হোসেনের সাথে তার জিজ্ঞাসাবাদ ও বিভিন্ন আলোচনার বিবরণ দিয়েছেন। প্রথমেই সাদ্দাম হোসেন তাকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন যে ওয়াশিংটনের নব্য রক্ষণশীলরা যেমনটি মনে করছে, ইরাক দখল খুব সহজ ব্যাপার হবে না। এ বইটির কিছু অংশ টাইম ম্যাগাজিনের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়েছে।
নিক্সন বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের সময় তিনি আমাকে বলেন, আপনারা ব্যর্থ হতে যাচ্ছেন। আপনারা দেখতে পাবেন যে ইরাক শাসন করা এত সহজ নয়। আমি জানতে আগ্রহী হয়ে উঠলাম যে তিনি কেন এ কথা বলছেন। সাদ্দাম হোসেন জবাবে আমাকে বলেন, আপনারা ইরাকে ব্যর্থ হতে যাচ্ছেন, কারণ আপনারা ইরাকিদের ভাষা জানেন না, তাদের ইতিহাস জানেন না এবং আপনারা আরবদের মনও বোঝেন না।
নিক্সন এখন স্মরণ করেন যে সাদ্দামের কথায় যুক্তি ছিল। ইরাকের মত বহু জাতিগোষ্ঠি ভিত্তিক দেশ পরিচালনা এবং সুন্নী উগ্রবাদ ও শিয়া নেতৃত্বাধীন ইরান উভয়কে কোণঠাসা করে রাখতে তার মত একজন শক্ত মানবের প্রয়োজন ছিল। সাদ্দাম হোসেন থাকলে ইসলামিক স্টেট (আইএস) ইরাকে মাথাচাড়া দিতে পারত না।
তিনি লিখেছেন, ‘সাদ্দাম হোসেনের শাসনামলের বহু ত্রুটির মধ্যে ছিল তার নেতৃত্ব পদ্ধতি এবং বর্বরতা। তিনি যখন তার ক্ষমতার ভিত্তির প্রতি হুমকি দেখতেন তখন নিষ্ঠুরতা অবলম্বন করতেন। তার শাসনের বিরুদ্ধে গণঅসন্তোষের প্রেক্ষিতে আন্দোলনের মাধ্যমে তাকে ক্ষমতাচ্যুত করা ছিল সুদূর ব্যাপার। সে কারণেই ইসলামিক স্টেট (আইএস) বাগদাদের নিপীড়ক শিয়া সরকারের অধীনে যে সাফল্য লাভ করতে পেরেছে, সাদ্দামের শাসনকালে তা ছিল অসম্ভব।
তার এসব কথা হয়ত সত্য। ট্রাম্প নিজে জোর দিয়ে বলেছেন যে ওয়াশিংটনের স্বার্থে আর বাগদাদে ক্ষমতার পরিবর্তন হবে না। তিনি কর্তৃত্ববাদী নেতৃবৃন্দ যেমন মিসরের আবদেল ফাতাহ আল সিসিকে স¦াগত জানান।
নিক্সন লিখেছেন, সাদ্দামকে আমি যদিও একেবারেই অপছন্দ করি, কিন্তু দীর্ঘদিন ইরাককে ঐক্যবদ্ধ রেখে শাসন করার যোগ্যতার জন্য আমি সামান্য হলেও তাকে সম্মান করি। তিনি আমাকে একবার বলেছিলেন, আগে আমার সামনে ছিল শুধু গোলযোগ আর বিতর্ক। আমি এগুলোর অবসান ঘটাই এবং জনগণের মধ্যে ঐকমত্য সৃষ্টি করি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।