বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বিশেষ সংবাদদাতা, যশোর ব্যুরো : যশোরের কোতয়ালি মডেল থানায় ঘুষের দাবিতে ঝুলিয়ে নির্যাতনের খবরে তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়েছে। আসলেই কি ঘটেছিল, তা নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে রয়েছেনÑ দুইজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শহীদ মো: আবু সরোয়ার ও মো: নাইমুর রহমান। পুুলিশ সুপার মো: আনিসুর রহমান বলেছেন, পুরো ঘটনার আদ্যোপান্ত তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছি।
কোতয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ গতকাল দুপুরে প্রেসক্লাবে গিয়ে সাংবাদিকদের বলেছেন, যশোরের তালবাড়িয়া গ্রামের কলেজ পাড়ার নুরুল হকের পুত্র আবু সাঈদকে থানায় আনা হয়েছিল, কিন্তু নির্যাতনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। পুলিশের গাড়ি দেখে দৌড় দিলে তাকে সন্দেহবশতঃ ধরা হয়, যাচাই-বাছাই শেষে ছেড়ে দেয়া হয়। আমার ধারণা, ছবিটি পুরনো। ভিকটিম আবু সাঈদ এর আগে প্রেসক্লাবে এসে সাংবাদিকদের জানান, তাকে ধরা হয়েছিল ঠিক, কিন্তু নির্যাতন করা হয়নি। থানার ভেতরে দুই টেবিলের মাঝখানে মোটা লাঠিতে উল্টো করে ঝুলানো ছবি তার নয় বলেও দাবি করেন। তিনি বলেন, আমার পরনে লুঙ্গি ছিল, প্যান্ট নয়। একই কথা বলেন সাঈদের স্ত্রী বিলকিস খাতুন ও ছোটভাই আশিকুর রহমান। আশিকুর রহমান জানান, নির্যাতনের ওই ছবি তার ভাইয়ের না। সাঈদের বড়ভাই আতিয়ার রহমান বলেন, বুধবার রাতে আমার ভাইকে পুলিশ ধরে নিয়ে যায়, কিন্তু কোনো অভিযোগ না থাকায় পুলিশ তাকে ছেড়ে দেয়। পুলিশ কোনো টাকা-পয়সা নেয়নি কিংবা তাকে মারধরও করেনি।
তাহলে থানায় হাতকড়া লাগিয়ে ঝুলিয়ে নির্যাতনের ছবিটি কার এই নিয়ে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। আবার অভিযুক্তরাও অস্বীকার করছেন। এসআই নাজমুল হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে জানান, গত দুদিন ধরে তিনি ঢাকায় অবস্থান করছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।