বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
পুলিশকে সরকারের ‘গুণ্ডা বাহিনী’ আখ্যা দিয়ে পুলিশ দিয়ে পিটিয়ে নৌকায় ভোট নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন উখিয়ার এক সরকার দলীয় চেয়ারম্যান।
তিনি উখিয়ার হলদিয়া পালং ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান শাহ আলম। তিনি সামনে অনুষ্ঠিতব্য ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও নৌকা মার্কার প্রার্থী হতে ইচ্ছুক।
উখিয়ার হলদিয়াপালং ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের হাতির ঘোনা এলাকায় নির্বাচনের প্রস্তুতিমূলক এজ জনসভায় ১৬ মার্চ রাতে তিনি এ ঘোষণা দেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
সভায় তিনি বলেন, ‘পুলিশ কার? পুলিশ হচ্ছে সরকারের গুন্ডা বাহিনী। সেই পুলিশ দিয়ে পিটিয়ে ভোট আদায় করা হবে।’
শাহ আলম উখিয়া উপজেলার ৩ নম্বর হলদিয়া পালং ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান। আসন্ন নির্বাচনেও তিনি নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করবেন। নির্বাচনের প্রস্তুতি হিসেবে গত ১৬ মার্চ রাতে হলদিয়াপালং ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের হাতির ঘোনা এলাকায় সভা করেন তিনি।
হলদিয়াপালং ইউপি নির্বাচনের আগাম প্রস্তুতি সভায় চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় দেওয়া বক্তব্যে বর্তমান চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ শাহ আলম বলেন, নৌকা প্রতীক আমার। শেখ হাসিনা ঘর থেকে ডেকে নিয়ে আমাকে নৌকা প্রতীক দেবেন। নৌকা প্রতীক নিয়ে অন্য কোনও মার্কায় ভোট দিতে দেবো না।
সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব শফিউল আলমের ছোট ভাই শাহ আলম আরও বলেন, আমার ভাই প্রশাসনের প্রতিটি স্তরে স্তরে অনুসারী বসিয়ে গেছেন।আগামী আরও ১০ বছর ক্ষমতায় আছি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে হলদিয়াপালং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. ইসলাম বলেন, বর্তমান চেয়ারম্যানের বক্তব্য সাধারণ মানুষের মধ্যে দলের ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুণ্ন করেছে।
উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান হামিদুল হক চৌধুরী বলেন, নৌকার মনোনয়ন কে পাবে সেটি দলের নির্বাচনি বোর্ড ঠিক করবে।
বঙ্গবন্ধুর কন্যা দলীয় সভানেত্রী তার ঘরে এসে নৌকা দিয়ে যাবে, এই ধরনের বক্তব্য শিষ্টাচার বহির্ভূত। এই ধরনের বক্তব্য দিয়ে তিনি দলীয় সভানেত্রীকে হেয় করেছেন।
এ বিষয়ে উখিয়া থানার ওসি আহমেদ সঞ্জুর মোরশেদ বলেছেন, বাংলাদেশ পুলিশ একটি সুশৃঙ্খল বাহিনী। এই বাহিনী নিয়ে বিরূপ ও অশালীন মন্তব্য না করার জন্য তিনি অনুরোধ করেছেন।
এ বিষয়ে চেয়ারম্যান শাহ আলমের বক্তব্য জানতে তাঁর মোবাইলফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি কথা বলতে রাজি হয়নি।
এদিকে তাঁর এই বক্তব্যের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাইরাল হয়ে পড়ায় সব মহলে বিষয়টি আলোচনার প্রধান বিষয়ে পরিনত হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।