নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস রিপোর্টার : সাফ মহিলা ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে মালদ্বীপকে বিধ্বস্ত করে ফাইনালে স্বাগতিক ভারতকেই পেল বাংলাদেশ। গতকাল শিলিগুড়ির কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে ফরোয়ার্ড সিরাত জাহান স্বপ্নার হ্যাটট্রিকের সুবাদে বাংলাদেশ ৬-০ গোলে হারায় মালদ্বীপকে। প্রথমার্ধে বিজয়ীরা ২-০ গোলে এগিয়ে ছিলো। লাল-সবুজদের হয়ে স্বপ্না তিনটি, অধিনায়ক সাবিনা দু’টি ও নার্গিস একটি করে গোল করেন। এ জয়ে প্রথমবারের মতো টুর্নামেন্টের ফাইনালে খেলার কৃতিত্ব পেলো বাংলাদেশের মেয়েরা। এর আগে ২০১০ সালে প্রথম ও ২০১৪ সালে তৃতীয় সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিতে খেলেছিলো লাল-সবুজরা।
দেশের ফুটবলে যেখানে বছরের পর বছর পুরুষ দল চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে আসছে, সেখানে বেশ কিছুদিন ধরে ধারাবাহিক সাফল্য তুলে আনছে বাংলাদেশ মহিলা ফুটবল দল। গেল বছরের সেপ্টেম্বরে এএফসি অনুর্ধ্ব-১৬ চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাইপর্বে শিরোপা জিতে বাংলাদেশের মহিলা ফুটবলকে নতুন দিগন্ত এনে দিয়েছে কিশোরীরা। এবার ছোটদের পথেই যেন হাঁটছে বড়রা। নতুন বছরের শুরুতেই সাফল্য তুলে আনার ইঙ্গিত। আর মাত্র একটি ম্যাচ। সেই ম্যাচে জয় পেলে দেশের নারী ফুটবলে ইতিহাস গড়বে বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা দল।
কাল কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে উপস্থিত হাজারো দর্শক আরও একবার দেখলো সাবিনা বাহিনীর ঝলক। সেমিফাইনালে অপেক্ষাকৃত সহজ প্রতিপক্ষ পেয়ে বাংলাদেশ অনেকটা ছেলে-খেলা খেলেছে মালদ্বীপকে নিয়ে। ম্যাচের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত একচেটিয়া প্রভাব বিস্তার করে খেলেন সাবিনা-স্বপ্নারা। আক্রমণের পর আক্রমণ করে তারা ভেঙ্গে দেন মালদ্বীপের রক্ষণদূর্গ। যার ফলে গোল আসতে দেরী হয়নি। ম্যাচের ১২ মিনিটে বাংলাদেশের হয়ে প্রথম গোলটি করেন স্বপ্না (১-০)। ধারাবাহিক আক্রমণের মুখে ২৩ মিনিটে স্বপ্নার পা থেকেই আসে দ্বিতীয় গোলটি (২-০)। এই ব্যবধানে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় বাংলাদেশ। তবে দ্বিতীয়ার্ধে তাদের গোলক্ষুধা যেন আরও বেড়ে যায়। ৪৮ মিনিটে অধিনায়ক সাবিনা গোল করলে ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় লাল-সবুজরা। ৫২ মিনিটে নার্গিস দলের হয়ে চতুর্থ গোলটি করেন (৪-০)। চার মিনিট পর স্বপ্না নিজের হ্যাটট্রিক পূর্ণ করলে ব্যবধান দাঁড়ায় ৫-০। ম্যাচের ৫৮ মিনিটে সাবিনা আরও একটি গোল করে দলের বড় জয় নিশ্চিত করেন (৬-০)।
গ্রæপ পর্বের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ ৬-০ গোলে আফগানিস্তানকে বিধ্বস্ত করার পর দ্বিতীয় ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে গোলশূণ্য ড্র করে। আর এই ড্র বাংলাদেশকে এনে দেয় ‘বি’ গ্রæপ সেরার খেতাব। কারণ ভারত প্রথম ম্যাচে আফগানদের হারায় ৫-১ গোলে। ফলে গোল ব্যবধানে এগিয়ে থেকে গ্রæপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই সেমিফাইনালের টিকিট কাটে লাল-সবুজরা। শেষ চারে তারা ‘এ’ গ্রæপ রানার্সআপ মালদ্বীপকে যে হেসে-খেলেই হারাবে তা অনেকেরই ধারণা ছিলো। শেষ পর্যন্ত ফুটবলপ্রেমীদের ধারণাই সত্য হলো। বুধবার টুর্নামেন্টের ফাইনালে বাংলাদেশ-ভারত পরষ্পরের মোকাবেলা করবে। গ্রæপ পর্বে দু’দলের লড়াইটি গোলশূণ্য অমিমাংসিতভাবে শেষ হয়েছিলো।
এদিকে, প্রথম সেমিতে নেপালকে ৩-১ গোলে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে ভারত। এ নিয়ে টানা চার আসরের শিরোপা নির্ধারণী মঞ্চে উঠল প্রতিযোগিতাটির তিনবারের চ্যাম্পিয়নরা। আগের তিনটি ফাইনালে ভারতের কাছে হেরে যাওয়া নেপালের এবার শিরোপা স্বপ্ন ঝরে গেল সেমিফাইনাল থেকেই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।