পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার ঃ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি মোহাম্মদ বজলুর রহমানের প্রথম জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে মরহুমের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগে ছুটি ঘোষণা করেন প্রধান বিচারপতি। এরপর সর্বোচ্চ আদালতে আর কোনো বিচারকাজ হয়নি। জানাজা নামাজে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক প্রধান বিচারপতি মো: মোজাম্মেল হোসেন, আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিগণ, অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো: মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আবদুল বাসেত মজুমদার, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, বিশিষ্ট আইনজীবী ড. কামাল হোসেন, ব্যারিস্টার এম আমির-উল ইসলাম, জাতীয় সংসদের সাবেক স্পিকার ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, বার কাউন্সিলের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ, অ্যাডভোকেট আব্দুল মতিন খসরু, সম্পাদক ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, সিনিয়রসহ বিপুলসংখ্যক আইনজীবী অংশ নেন।
জানাজা নামাজ শেষে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বলেন, বিচারপতি বজলুর রহমান গতকাল মারা গেছেন। উচ্চ আদালতে একজন সম্মানিত সিটিং জাজের মৃত্যু এটিই প্রথম মনে হয়। চলতি শীতকালীন ছুটিতে আরো একজন সিটিং জাজকে (জ্যেতিন্দ্র নারায়ণ দেব চৌধুরি) আমরা হারিয়েছি। এই দুই বিচারকের আত্মার প্রতি সম্মান জানিয়ে প্রধান বিচারপতি হিসেবে আমি উভয় বিভাগে আজকের বিচারকাজ ছুটি ঘোষণা করলাম।
জানাজা শেষে তেজগাঁও পুরনো বিমানবন্দর থেকে হেলিকপ্টারযোগে মরহুমের গ্রামের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের উদ্দেশ্যে মরদেহ পাঠানো হয়। সেখানে দ্বিতীয় জানাজা শেষে তার লাশ দাফন করা হবে বলে পারিবারিক সূত্রে জানা যায়।
বিচারপতি বজলুর রহমানের মৃত্যুতে প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী, প্রধান বিচারপতি, তথ্যমন্ত্রী, এটর্নি জেনারেল কার্যালয়, সুপ্রিম কোর্ট বার, ল’ রিপোর্টার্স ফোরামসহ বিভিন্ন সংগঠন গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। পৃথক শোকবার্তায় তারা মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
গত রোববার সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
এর আগে হাইকোর্টে বিভাগের বিচারপতি জে এন দেব চৌধুরী ১৫ ডিসেম্বর বিকেল ৪টার দিকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।