পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সাবেক প্রেসিডেন্ট বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদকে ‘গুরুতর’ অসুস্থ অবস্থায় ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) ক্রিটিকাল কেয়ার ইউনিট- সিসিইউতে ভর্তি করা হয়েছে। ৯২ বছর বয়সী সাবেক এ প্রধান বিচারপতির শারীরিক অবস্থা ‘সংকটাপন্ন’ বলে জানিয়েছেন তার জামাতা অধ্যাপক আহাদুজ্জামান মোহাম্মদ আলী। তিনি বলেন, অবস্থা ভালো না, সংকটাপন্ন বলা যায়। সিসিইউতে আছেন। এক সপ্তাহের ওপরে হাসপাতালে সিএমএইচে ভর্তি। একাধিকবার সিসিইউতে নেওয়া হয়েছে।
২০০১ সালে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব থেকে অবসরে যাওয়ার পর গুলশানের বাসভবনে অনেকটা নিভৃত জীবন যাপন করছিলেন বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদ। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি বার্ধ্যক্যজনিত বিভিন্ন অসুস্থতায় ভুগছিলেন। তার বাড়ির ব্যবস্থাপক আবদুল মোতালিব জানান, গত ১২ ফেব্রæয়ারি থেকে শারীরিক অবস্থা খারাপ হলে সাবেক প্রেসিডেন্টকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। করোনাভাইরাস সংক্রমণের সময়ে তিনি বেশ সতর্কতার সঙ্গে জীবন যাপন করেছেন।
সাবেক প্রেসিডেন্ট সাহাবুদ্দীন আহমদের দুই ছেলে গুলশানের বাসায় বাবার সঙ্গেই থাকেন। তার দুই মেয়ে বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যে রয়েছেন।
নব্বইয়ের আন্দোলনে স্বৈরশাসক এইচ এম এরশাদ সরকারের পতনের নাটকীয়তার মধ্যে আকস্মিকভাবে রাষ্ট্রপ্রধানের দায়িত্বে আসেন তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদ। এরশাদ পদত্যাগ করার পর প্রেসিডেন্ট পদে কে আসবেন, নির্বাচন পর্যন্ত অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান কে থাকবেন- সেই প্রশ্নে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, বামদলগুলোসহ গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া দলগুলো (তিন জোট) একমত হতে পারছিল না। পরে প্রধান বিচারপতিকে সেই দায়িত্ব দেওয়ার বিষয়ে সমঝোতা হয়। আবার সুপ্রিম কোর্টে ফেরার শর্ত দিয়ে সাহাবুদ্দীন আহমদ তাতে রাজি হন।
ব্যারিষ্টার মওদুদ আহমেদ ভাইস প্রেসিডেন্টের পদ থেকে ইস্তফা দিলে সেই দায়িত্বে আসেন বিচারপতি সাহাবুদ্দীন। ৬ ডিসেম্বর এরশাদ ক্ষমতা ছাড়লে সাহাবুদ্দীন হন অস্থায়ী প্রেসিডেন্ট। পরে তার নেতৃত্বাধীন নির্দলীয় সরকারের অধীনে ১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রæয়ারি পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয়। নির্বাচনের পর আবার প্রধান বিচারপতির পদে ফেরেন তিনি। চাকরির মেয়াদ শেষে ওই পদ থেকেই অবসরে যান। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর সংসদীয় সরকার পদ্ধতিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন সাহাবুদ্দীন আহমদ। ২০০১ সালের ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত তিনি সেই দায়িত্বে ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।