পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কয়েকদিন আগে আপিল বিভাগে নিয়োগ পান বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান। ৯ জানুয়ারি শপথ গ্রহণের তারিখ ছিল। ওইদিন তার সঙ্গে নিয়োগ পাওয়া অন্য ৩ বিচারপতি শপথ নিলেও তার থপথ নেওয়া হয়নি। তখন থেকেই করোনায় আক্রান্ত হয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন। গতকাল শুক্রবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনসংলগ্ন প্রাঙ্গণে (কার পার্কিং) তার প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজার পর গতকারই তাকে বরিশালের হিজলা উপজেলায় নিজ গ্রামে দ্বিতীয় নামাজে জানাজার পর দাফন করা হয়।
বিচারপতি নাজমুল আহাসানের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। এক শোকবার্তায় মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করা হয়। এ ছাড়াও আইনমন্ত্রী, প্রাণী ও পশুসম্পদ মন্ত্রী, রেলমন্ত্রী, অ্যাটর্নি জেনারেল ও সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতিও শোক জানিয়েছে।
গত ৯ জানুয়ারি বিচারপতি নাজমুল আহাসানসহ হাইকোর্ট বিভাগে কর্মরত ৪ বিচারপতিকে আপিল বিভাগে বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেন প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ। শপথ গ্রহণের দিন থেকে নিয়োগ কার্যকর হবে বলে নিয়োগসংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়। আপিল বিভাগে নিয়োগপ্রাপ্ত ৪ বিচারপতির মধ্যে বোরহান উদ্দিন, এম. ইনায়েতুর রহিম ও কৃষ্ণা দেবনাথ গত ৯ জানুয়ারি শপথ নেন। করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় শপথ নিতে পারেননি বিচারপতি নাজমুল আহাসান।
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনসংলগ্ন প্রাঙ্গণে জানাজার নামাজ প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ. ম. রেজাউল করিম, আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. নূরুজ্জামান, বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিগণ, অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস কাজলসহ সিনিয়র আইনজীবীরা এবং মরহুম বিচারপতির ছেলে তাঈম হাসান প্রান্ত জানাজায় অংশ গ্রহণ করেন।
এর আগে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল ও বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসানের একমাত্র ছেলে তাইম হাসান প্রান্ত স্মৃতিচারণমূলক বক্তব্য রাখেন। জানাজার পরে প্রধান বিচারপতি, অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতিসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসানের কফিনে ফুল দিয়ে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হয়।
বিচারপতি নাজমুল আহাসান ১৯৫৫ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বরিশালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বিএ (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভের পর এলএলবি পাস করেন। এরপর আইনপেশায় যোগ দেন। ১৯৮৬ সালের ১৮ মার্চ বরিশাল জেলা আদালতের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন নাজমুল আহাসান। ১৯৯৪ সালের ২২ জানুয়ারি হাইকোর্ট বিভাগের ও ২০০৯ সালের ১৩ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন তিনি।
বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ২০১০ সালের ১৮ এপ্রিল হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে নিয়োগ পান। পরে ২০১২ সালের ১৫ এপ্রিল স্থায়ী হন। চলতি বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি তার অবসর গ্রহণের তারিখ ছিল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।