Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ইরানে স্কুলছাত্রীদের ওপর বিষাক্ত গ্যাস প্রয়োগের ঘটনায় তদন্ত শুরু

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১ মার্চ, ২০২৩, ৬:৫৫ পিএম

ইরানে গত বছর নভেম্বর মাস থেকে অন্তত ৭০০ জন ছাত্রীকে স্কুলের ভেতর বিষাক্ত গ্যাস প্রয়োগ করা হয়েছে বলে সংবাদমাধ্যমগুলো দাবি করেছে। অনেকে মনে করছেন, মেয়েদের স্কুলে যাওয়া ঠেকাতে স্কুলগুলো বন্ধ করার উদ্দেশ্যে এমন কাজ করা হয়েছে।

যদিও এই ঘটনায় কোনও ছাত্রীর মৃত্যু হয়নি। কিন্তু কয়েকশো ছাত্রীর শ্বাসকষ্ট, বমি বমি ভাব, মাথা ঘোরার মতো সমস্যা হচ্ছে এবং অনেকে ক্লান্তিতে ভুগছে। ‘এটা স্পষ্ট যে কিছু মানুষ চাইছে সব স্কুল বিশেষ করে করে মেয়েদের স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হোক’- রবিবার একথা বলেন ইরানের উপ-স্বাস্থ্যমন্ত্রী। যদিও তিনি পরে বলেন যে, তার বক্তব্য ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।

ইরানের প্রসিকিউটর জেনারেল গত সপ্তাহে এক ঘোষণায় জানান তিনি এ বিষয়ে ফৌজদারি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, “এখন পর্যন্ত যেসব তথ্য পাওয়া গেছে তাতে মনে হচ্ছে এটা পূর্বপরিকল্পিতভ ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড”। প্রথম বিষ প্রয়োগের ঘটনাটি ঘটে গত বছরের ৩০ নভেম্বর। ওইদিন কোম নগরীর দ্য নূর টেকনিক্যাল স্কুলের ১৮ শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে নিতে হয়।

তারপর থেকে আরো ১০টির বেশি গার্লস স্কুলে একই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। গত সপ্তাহে পশ্চিমাঞ্চলের লরেস্তান প্রদেশের বরুজার্ড শহরের চারটি স্কুলের অন্তত ১৯৪ ছাত্রীকে বিষাক্ত গ্যাস প্রয়োগ করা হয়। এবং মঙ্গলবার রাজধানী তেহরানের তকাছেই পার্দিসের খাইয়াম গার্লস স্কুলের ৩৭ জন ছাত্রী বিষপ্রয়োগের শিকার হয়। অসুস্থ হয়ে পড়া এসব ছাত্রীরা পরে জানিয়েছে যে তারা, অসুস্থ হওয়ার আগে ছোট কমলালেবু বা পঁচা মাছের গন্ধের মত গন্ধ পাচ্ছিল।

ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুর দিকে কোমের গভর্নর অফিসের সামনে বিক্ষোভ করেছে একশোরও বেশি মানুষ। বিষাক্ত গ্যাস প্রয়োগের ঘটনায় কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ব্যাখ্যার দাবী জানায় অসুস্থ হয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের বাবা-মায়েরা। কয়েকজন অভিভাবক বলেছেন বিষাক্ত গ্যাস প্রয়োগের ফলে তাদের সন্তান কয়েক সপ্তাহ ধরে অসুস্থ। বিক্ষোভের পরদিন সরকারের মুখপাত্র জানান, দেশটির গোয়েন্দা সংস্থা ও শিক্ষা মন্ত্রণালয় বিষপ্রয়োগের কারণ খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে।

রবিবার এক সংবাদ সম্মেলনের ইরানের উপ-স্বাস্থ্যমন্ত্রী ইউনেস পানাহি বলেন যেসব কেমিকেলের মাধ্যমে ছাত্রীদের বিষপ্রয়োগ করা হয়েছে সেগুলো ‘মিলিটারি গ্রেডের নয় এবং বাজারেও এগুলো কিনতে পাওয়া যায়’। ‘ছাত্রীদের বিশেষ কোনও চিকিৎসার প্রয়োজন নেই এবং এমন পরিস্থিতিতে শান্ত থাকাটা খুবই জরুরি’- বলেন তিনি। ‘এটা নিশ্চিত যে কিছু মানুষ চায় সব স্কুল বন্ধ হয়ে যাক’- ড. পানাহির এমন মন্তব্যে বুঝা যায় যে সরকার মনে করছে পরিকল্পিতভাবে এই বিষাক্ত গ্যাস প্রয়োগের ঘটনা ঘটেছে। সূত্র: বিবিসি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: তদন্ত শুরু


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ