মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু আরও আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপের আশঙ্কা করছেন বলে জানিয়েছেন। এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এই কথা জানিয়েছে ইসরাইলি প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম হারেৎজ। তারা জানিয়েছে, বসতি স্থাপনবিরোধী প্রস্তাব পাশের পর এবার স্বাধীন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের আন্তর্জাতিক তৎপরতা শুরু করতে পারে যুক্তরাষ্ট্র, এই আশঙ্কায় ভীত ইসরাইল। গত শুক্রবার ১৫ সদস্যবিশিষ্ট জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ফিলিস্তিনে ইসরাইলি বসতি নির্মাণ বন্ধে একটি প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়। ওই প্রস্তাবে বলা হয়, ‘১৯৬৭ সাল থেকে ফিলিস্তিনি ভূখ-ে ইসরাইল যে বসতি স্থাপন করে যাচ্ছে, তার কোনও আইনি ভিত্তি নেই।’ নিরাপত্তা পরিষদের ১৪টি দেশ এই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিলে তা পাস হয়। ভোট দান থেকে বিরত থাকে যুক্তরাষ্ট্র, যেখানে অতীতে তারা ইসরাইলবিরোধী প্রস্তাবগুলোতে ভেটো দিতো।
জাতিসংঘে পাস হওয়া ওই প্রস্তাবকে উদ্ধৃত করে নেতানিয়াহু গত রোববার মন্ত্রী পরিষদের এক সভায় বলেন, ‘তারা আমাদের মুখের গ্রাস কেড়ে নিতে চায়।’ তিনি আরও আশঙ্কা প্রকাশ করেন, মার্কিন বিদায়ী প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা হয়ত ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতিও নিরাপত্তা পরিষদে পাস করিয়ে নিতে পারেন। আর এর বিরুদ্ধে ‘বল প্রয়োগের’ হুমকিও দেন নেতানিয়াহু। ইসরাইলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরাইল-এর এক প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে আসে। গত সোমবার হারেৎজকে এক জ্যেষ্ঠ ইসরাইলি কর্মকর্তা জানান, মন্ত্রী পরিষদ আশঙ্কা করছে, জানুয়ারির ১৫ তারিখ প্যারিসে শুরু হতে যাওয়া শীর্ষ সম্মেলনে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের প্রশ্নে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন নিতে পারেন। প্যারিস শীর্ষ সম্মেলনে কেরির অংশগ্রহণে শঙ্কিত নেতানিয়াহু। কেরির প্রস্তাব গ্রহণ হলে ওবামা প্রশাসন ক্ষমতায় থাকা অবস্থায়ই মধ্যপ্রাচ্যে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের প্রশ্নে আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপ আসতে পারে। আর তা সমন্বয় করা হতে পারে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে। জাতিসংঘে প্রস্তাব পাশের জন্য প্রথম থেকে ওবামা প্রশাসনের বিরুদ্ধে সরাসরি দোষারোপ করছেন নেতানিয়াহু। যুক্তরাষ্ট্রের এই ভূমিকার নেপথ্যে এবং ইসরাইলবিরোধী ওই প্রস্তাব পাসে ওবামা প্রশাসন কলকাঠি নেড়েছে, এমন স্পষ্ট প্রমাণ হাজির থাকার কথাও বলছে ইসরাইল। ২০১৬ সালের মার্চ থেকে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিষয়ক মুখপাত্রের দায়িত্ব পালন করছেন ডেভিড কেয়িস। রবিবার ফক্স নিউজকে তিনি বলেন, অন্যদের মতো আরব সূত্রগুলো ইসরাইলকে জাতিসংঘের প্রস্তাবের ব্যাপারে ওবামার সংশ্লিষ্টতার কথা জানিয়েছে। নেতানিয়াহুর মুখপাত্র ডেভিড কেয়িস বলেন, ‘আরব দুনিয়া এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়; উভয় দিক থেকেই আমরা অকাট্য তথ্য পেয়েছি যে, এটা ছিল যুক্তরাষ্ট্রের ইচ্ছাকৃত আক্রমণ। প্রকৃতপক্ষে তারা এই প্রস্তাব তৈরিতে সহায়তা করেছিল।’
ওয়াশিংটনে নিযুক্ত ইসরাইলি রাষ্ট্রদূত রন ডারমার মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন-কে বলেন, ‘নতুন প্রশাসনের (ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন) কাছে আমরা যথাযথ মাধ্যমে এ প্রমাণ তুলে ধরবো। তারা যদি যুক্তরাষ্ট্রের জনগণকে এটি জানাতে চায়; তাকে আমরা স্বাগত জানাবো।’ রন ডারমার দাবি করেন, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের ভোটাটভুটিতে যুক্তরাষ্ট্র ইসরাইলের পাশে দাঁড়ায়নি; শুধু এটাই নয়। তারা জাতিসংঘে ইসরাইলের বিরুদ্ধে দলবাজির নেপথ্যে ছিল।’ সূত্র: মিডল ইস্ট মনিটর।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।