পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
আনোয়ারা (চট্টগ্রাম) উপজেলা সংবাদদাতা : চট্টগ্রামের আনোয়ারায় জমির আইলে শিম চাষ বেশ জনপ্রিয় হচ্ছে। আইলে শিম চাষ করে গ্রামীণ জনপদে নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিয়েছে কৃষকরা। জমিতে ধান চাষের পাশাপাশি জমির আইলে শীতকালীন সবজি শিম চাষ করা হয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে উপজেলার ১১টি ইউনিয়নে ১৭০ হেক্টর বা ৪২০ একর জমিতে শিমের চাষ করা হয়। এর প্রায় অর্ধেক চাষ করা হয়েছে আবাদি জমির আইলে। দেশের শিম চাষের বিখ্যাত উপজেলা সীতাকুÐের আদলে চিটাগং পদ্ধতিতে জমির আইলে শিম চাষে ঝুঁকছেন আনোয়ারা উপজেলার কৃষকরাও। এই মৌসুমে কেবল শিম চাষ করেই স্বাবলম্বী হন হাজার হাজার কৃষক। এলাকার চাহিদা মিটিয়ে সারাদেশে সরবরাহকৃত শিমের মূল্য দাঁড়ায় প্রায় কোটি টাকার অংকে। শিম চাষে খরচ কম লাভ বেশি হওয়ায় কৃষকরাও এতে বেশি আগ্রহী হচ্ছেন। সরেজমিন দেখা গেছে, উপজেলার বটতলী, বরুমচড়া, বারখাইন, হাইলধর, জুঁইদন্ডী, চাতরী ইউনিয়নের বেশিরভাগ এলাকায় জমিতে ধান চাষের পাশাপাশি জমির আইলে শীতকালীন সবজি শিম চাষ করা হয়েছে। বিশেষ করে যেসব জমি সারাবছর অনাবাদি পড়ে থাকে এবং ফলনের অনুপযোগী, সেসব জমিতেও শিম চাষ করছে কৃষকরা। জমি ছাড়াও পাহাড়ে,বিভিন্ন গ্রামীণ সড়কের দু’ধারে, জমির আইলে, পুকুর পাড়ে, বাড়ির আঙিনায় ও বেড়িবাঁধের দুপাশে এ বছর প্রচুর শিম চাষ হয়েছে। উপজেলার আইরমঙ্গল গ্রামের কৃষক মো. ইসমাঈল চলতি বছর ২ কানি বা ৮০ শতক জমিতে আমন-রোপা ধানের আবাদ করেন। ধানি জমির আইলে শিম চাষ করার পদ্ধতি জানার পর জমির ফাঁকে থাকা আইলে শিমের বীজ রোপণ করেন। গাছগুলোর লতা বড় হতে থাকলে গাছের উপর বাঁশের মাচান তৈরি করে দেন। একপর্যায়ে গাছের লতাপাতা ছড়িয়ে পড়লে মাচানে সবুজের সমারোহ ঘটে। দেখা দেয় ফুল ও ফল। এখানে তার খরচ হয়েছে ১৬শ টাকা। এখন পর্যন্ত কয়েকবার গাছ থেকে শিম তুলে ৮০ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করে তার আয় হয়েছে ১৮ হাজার টাকা। উপজেলার বরুমচড়া ইউনিয়নে কর্মরত উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা বাসু দেব চৌধুরী বলেন, ইদানিং জমির আইলে শিম চাষ উপজেলায় ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। শিম চাষ করে এলাকার অনেক গরিব ও বেকার যুবক স্বাবলম্বী হয়েছে। উপজেলার উপ-সহকারি উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা মো. সরওয়ার আলম জানান, চলতি বছর উপজেলার বিভিন্ন্ এলাকায় শীতকালীন শিমের চাষ হয়েছে প্রায় ১৭০ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে বারি শিম-২, ৩, ৪, ইপসা-১, গোলগাড্ডা জাতের শিম চাষ হয়েছে প্রায় ৯০ হেক্টর জমিতে ধান চাষ হলেও অতীতে আইল ও নিচু জমিতে কোনো ফসল চাষ হতো না। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো: একরাম উদ্দিন বলেন, সরকারের মাধ্যমে কৃষি অধিদফতরে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করার পর কৃষকরা পরিত্যক্ত জমিতে শিম চাষ করে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।