পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপি-জামায়াতকে বাংলাদেশ থেকে মুছে ফেলা হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর গুলিস্তানে মহানগর নাট্যমঞ্চে সাম্যবাদী দলের অষ্টম জাতীয় কংগ্রেসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। নাসিম বলেন, বিএনপি-জামায়াতকে বাংলাদেশ থেকে মুছে ফেলব, মুছে ফেলব ইনশাআল্লাহ, মুছে ফেলব। মনে রাখবেন, ওরা হলো একাত্তরের ঘাতকের দোসর। জামায়াত বিএনপির কোলে উঠে জায়গা দখল করতে চায়। না হলে খালেদা জিয়া কিভাবে বলে জামায়াতকে নিয়ে বঙ্গভবনে যাবো। কথা পরিষ্কার, সংবিধান অনুযায়ী প্রেসিডেন্ট যে সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচন কমিশন নিয়ে, আমরা ১৪ দল একসঙ্গে মেনে নেব এবং তার অধীনে নির্বাচন হবে।
সাম্যবাদী দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগ নেতা নাসিম বলেন, মনে রাখবেন খালেদা জিয়ার দল মাইর খেয়ে ঘাপটি মেরে আছে। আবার জেগে উঠতে পারে। ওদের কিন্তু এখনো সাপের বিষ শেষ হয়নি। ওই একটা দেশ আছে, একাত্তরের পরাজিত দেশ ওরা উস্কানি দেবে, মনে রাখবেন।
তিনি বলেন, সাবধান থাকতে হবে, আগামী দিন সাবধান থাকতে হবে। লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে। নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে। ওই নির্বাচনে চূড়ান্ত বিজয়ের মধ্যদিয়ে ইনশাআল্লাহ ওদেরকে বাংলাদেশের মাটি থেকে রাজনৈতিকভাবে আমরা সরিয়ে দেবো।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ২০১৯ সালে নির্বাচন হবে। সেই নির্বাচন হবে শেখ হাসিনার অধীনে। দুনিয়ার কোথাও গণতান্ত্রিক দেশে নির্বাচিত সরকারের অধীনে ছাড়া নির্বাচন হয় না। আমেরিকা বলেন, ইউরোপ বলেন, ভারতের কথাই বলেন, নির্বাচিত সরকারের অধীনেই নির্বাচন হয়।
তিনি বলেন, আমরা তত্ত্বাবধায়ক সরকার করেছিলাম। খালেদা জিয়াই তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে বিতর্কিত করেছিল। একজন প্রেসিডেন্টকে অসাংবিধানিকভাবে গায়ের জোরে তত্ত্বাবধায়ক সরকারপ্রধান বানিয়ে খালেদা জিয়া এই তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে বিতর্কিত করেছিল।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন সম্পর্কে নাসিম বলেন, নারায়ণগঞ্জের নির্বাচনে ধানের শীষ আর নৌকার লড়াই হলো। ওরা বললো ধানের শীষ নাকি এবার নৌকাকে ডুবিয়ে দেবে। তা আল্লাহর মাইর, দুনিয়ার বাইর। কে ডুবল দেখছেন তো? এমন ডুবা ডুবছে, ওঠানোর শক্তি নাই ধানের শীষের। তারপর বলে নির্বাচনে কারচুপি হয়েছে।
তিনি বলেন, সাংবাদিক বন্ধুরা আছেন, কোথাও কেউ বলে নাই কারচুপি হয়েছে। প্রকাশ্য দিবালোকে ৬৫ শতাংশ মানুষ ভোট দিলো। এমনকি ৮০ বছরের বৃদ্ধা অন্যের কাঁধে ভর করে গিয়ে ভোট দিয়েছে আইভীকে। সে (৮০ বছরের বৃদ্ধা) বলে আইভীকে আমি ভোট দেবো, মরে যাওয়ার আগে আইভীকে ভোট দিতে চাই। আর ওরা (বিএনপি) বলে এই নির্বাচন নাকি বিতর্কিত। ওদের অভ্যাসই হলো বিতর্কিত করা। মুক্তিযুদ্ধকে বিতর্কিত করেছে খালেদা জিয়ার দল। বাংলাদেশের সমগ্র অর্জনকে বিতর্কিত করাই হলো খালেদা জিয়ার চিরদিনের অভ্যাস।
জঙ্গি বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দানবীয় শক্তির উত্থান হয়েছিল, ‘জঙ্গি’। আমার ছেলে-মেয়েদের হত্যা করা হয়েছে গুলশানে। ঈদের জামায়াতে পর্যন্ত হামলা করা হয়েছে। পুলিশ জীবন দিয়ে মানুষকে রক্ষা করেছে। তিনি বলেন, ইউরোপ পারেনি, আমেরিকা পারেনি, ভারত পারেনি, দুনিয়ার কেউ পারেনি। শেখ হাসিনা মাত্র তিন মাসের মধ্যে ওই জঙ্গি দমন করেছে। জঙ্গি উত্থান বন্ধ করে দিয়েছে।
মা-বাবা জঙ্গি সন্তানের লাশ নিতে চায় না উল্লেখ করে নাসিম বলেন, এই জঙ্গি উত্থান কেন হয়? জঙ্গিরা কারা? এদের সেই সাম্রাজ্যবাদের উস্কানিতে জন্ম হয়েছে। ধর্মের নামে এই জঙ্গি উত্থান করা হয়। মা-বাবা পর্যন্ত জঙ্গি সন্তানের লাশ নেয় না। সে বলে ও আমরা সন্তান না। ও আমার সন্তান হতে পারে না।
সাম্যবাদী দলের (এমএল) সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়–য়ার সভাপতিত্বে কংগ্রেসে আরো বক্তব্য রাখেন কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত আন সিয়ং ডু, বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের ডেপুটি চিফ (মিশন) ইয়াং শিচাও, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞানের সাবেক অধ্যাপক অজয় রায়, জাসদের একাংশের নেতা শিরিন আক্তার প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।