গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
আগারগাও-মতিঝিল অংশের ৯২ শতাংশের বেশি নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বৈদ্যুতিক ও যান্ত্রিক সিস্টেম স্থাপনের ৮৮ দশমিক ২২ শতাংশ কাজও সম্পন্ন হয়েছে। রেল স্টেশনের সরঞ্জামাদি সংগ্রহের কাজ ইতোমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা একথা বলেন।
ঢাকা ম্যাস ট্রাসজিট কোম্পানি লি. (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমএএন সিদ্দিক বলেন, ‘প্যাকেজ-৫ এর আওতায় আগারগাও-কারওয়ান বাজার রুটের ৩.১৯৫ কিলোমিটার রেলপথ ও ৩টি স্টেশনের নির্মান কাজ চলছে। তবে ষ্টেশনগুলোর অন্যান্য রেলপথ ও প্লাটফরমের নির্মাণ কাজ ইতোমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে।’ তিনি বাসসকে বলেন, এই প্যাকেজের আওতায় স্টেশনের প্রবেশ/বহির্গমন পথের নির্মাণ ও প্লাম্বিং কাজের পাশাপাশি আর্কিটেকচারাল, কারিগরি ও ইলেক্ট্রিক্যাল কাজ চলছে। ফারমগেট ও কারওয়ান বাজার স্টেশনের রুফ-শিট স্থাপন করা হয়েছে। বিজয় স্মরণী স্টেশনের রুফ-শিট স্থাপনের কাজ চলছে। তিনি জানান, ‘আগারগাও থেকে কারওয়ান বাজার পর্যন্ত প্যাকেজের ৯১ দশমিক ৯৮ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।’
সিদ্দিক বলেন, ২০১৮ সালের ১ আগস্ট থেকে প্যাকেজ-৬ (কারওয়ানবাজার থেকে শাহবাগ) এর কাজ শুরু হয়। এই অংশের রেলপথ ও স্টেশনের প্লাটফরমের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। শাহবাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশ সচিবালয় স্টেশনের রুফ-শিট স্থাপনের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়া, মতিঝিল স্টেশনের রুফ-শিট স্থাপনের কাজ চলছে এবং প্যাকেজটির ৯২.১৪ শতাংশ কাজের অগ্রগতি হয়েছে।
২০১৮ সালের ১১ জুলাই শুরু হওয়া প্যাকেজ-৭ এর আওতায় বৈদ্যুতিক ও যান্ত্রিক সিস্টেম ডেলিভারি ও নির্মাণ কাজের ৯০.৯৩ শতাংশ অগ্রগতি হয়েছে। স্টেশন এলাকায় রেললাইন, বৈদ্যুতিক ও মেশিনারি স্থাপনের কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
সিদ্দিক আরো বলেন, মতিঝিল রিসিভিং সাব-স্টেশন (আরএসএস) ভবনের নির্মাণকাজ, সকল বৈদ্যুতিক সরঞ্জামাদি স্থাপন এবং ১৩২ কেভি ক্যাবেল সংযোগের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ১৬.১৯ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণ ও ওসিএস (ওএস আই সফ্ট ক্লাউড সার্ভিস) প্রবেশদ্বার ইতোমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে।
প্যাকেজ-৮ এর আওতায় এমআরটি কর্তৃপক্ষ ২৪ সেট ট্রেনের মধ্যে ২১টি নিয়ে এসেছে। ২২তম ও ২৩তম সেট ট্রেন জাপান থেকে বাংলাদেশে আসছে।
তিনি বলেন, ২০১৭ সালেল ১৩ সেপ্টেম্বর এই প্যাকেজের ক্রয় ও সরঞ্জামাদি সংগ্রহের কাজ শুরু হয়। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে ট্রেনের শেষ ২৪তম সেটটি জাপানের কোবে সমুদ্র বন্দর থেকে যাত্রা শুরু করবে। ২০২৩ সালের মার্চ মাসের শেষ সপ্তাহে এটি মংলা বন্দরে পৌঁছবে।
প্রকল্প বিবরণীতে বলা হয়, ২১.২৬ কিলোমিটার পথের সবগুলো রুট খুলে দেয়া হলে মেট্রোরেল দিয়ে ঘন্টায় ৬০ হাজার যাত্রী চলাচল করতে পারবে। উত্তরা থেকে মতিঝিল কমলাপুর রেলস্টেশনে পৌঁছতে ট্রেনটির সময় লাগবে ৪০ মিনিটেরও কম। সিদ্দিক বলেন, উত্তরা থেকে কমলাপুর পর্যন্ত আটটি প্যাকেজের আওতায় ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট লেন-৬) এর মোট ২১.২৬ কিলোমিটার মেট্রো রেল নির্মিত হচ্ছে।
এই প্রক্রিয়ার সাথে সংশ্লিষ্ট এক প্রকল্প কর্মকর্তা বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানের সাথে ২০২২ সালের ২৮ নভেম্বর এমআরটি লেন-৬ মতিঝিল থেকে কমলাপুর পর্যন্ত (১.১৬কিমি) বর্ধিত অংশের নির্মাণকাজের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।’
শেওড়াপাড়া স্টেশনের প্রবেশ/বহির্গমন পথের নির্মাণকাজ চলছে। পাশাপাশি পল্লবী থেকে আগারগাও পর্যন্ত সড়ক সংস্কারের কাজ চলছে। এছাড়া এর মধ্যবর্তী স্থানে চারাগাছ রোপনের কাজও চলছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।