প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
এবার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতার চ্যালেঞ্জ জানিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীন ভোট চেয়েছেন হিরো আলম।
রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) উপনির্বাচনে ভোট পুনঃগণনার আবেদন জমা দিতে এসে স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম এ কথা বলেন।
হিরো আলম বলেন, ‘সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল স্যার বলেছেন, হিরো আলম জিরো হয়ে গিয়েছে। হিরো আলম কখনও জিরো হয় না। যারা হিরোকে জিরো বানাতে চায় তারাই জিরো হয়ে গিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘সেতু মন্ত্রী আমাকে তাচ্ছিল্য করে কথা বলেছেন। একজন মন্ত্রী দেশের নাগরিককে তাচ্ছিল্য করে কথা বলতে পারেন না। তিনি কথায় কথায় বলেন- আসুন খেলা হবে। শক্তিশালী দলের সঙ্গে খেলতে চান। আমি ওবায়দুল স্যারকে জোর গলায় বলতে চাই, খেলা সবার সঙ্গে করতে হবে না৷ আপনি হিরো আলমের সঙ্গে একটা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ও আপনি দলীয়ভাবে দাঁড়ান। এরপর আপনি সুষ্ঠু নির্বাচন দিয়ে দেখেন খেলা হয় কি-না? খেলার জন্য নাকি উনি মাঠে প্লেয়ার খুঁজে পায় না৷ আমার সঙ্গে প্রতি কেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরা দিয়ে ভোটারদের ভয় না দেখিয়ে সুষ্ঠু ভোট দিয়ে দেখেন। উনাকে বলবো বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) থেকে ভোট করুন, আমাকে যেই আসন থেকে পরাজিত করে দেওয়া হয়েছে।’
হিরো আলম আরও বলেন, ‘আমি সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। আগামীতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন চাই, যেখানে সব দল অংশগ্রহণ করবে। সবাই নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারবে।’
এ ছাড়া হিরো আলম বলেন, ‘আমার নির্বাচনী ফলাফল তারা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করেনি। এ নিয়ে আমার সন্দেহ ছিল। তাই সবগুলো ভোট কেন্দ্রের ফলাফল আমি জোগাড় করেছি। কিছু কেন্দ্রে আমিসহ প্রায় সব প্রার্থী অস্বাভাবিক ভোট পেয়েছেন। ওই কেন্দ্রগুলো উল্লেখ করে দিয়ে আমি জেলা প্রশাসকের কাছে ভোট পুনঃগণনার আবেদন দিয়েছি। তারা আমার আবেদন গ্রহণ করেছেন। তবে কবে ফলাফল আবারও গণনা করবে, সেই বিষয়ে কিছু জানাননি। যদি তারা সাড়া না দেন, আমি হাইকোর্টে যাব।’
বিএনপি হিরো আলমের পক্ষে কাজ করছে কি-না গণমাধ্যমের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বিএনপি আমার পক্ষে কাজ করলে ভোটের দিন তারা মাঠেই থাকতো। বিএনপির কোনো লোক আমার সঙ্গে ছিল না। এইসব কিছু লোকের বানানো কথা। শুধু বিএনপির মির্জা ফখরুল স্যার নয়, সারা বিশ্ব ও বাংলাদেশ আমার পক্ষে কথা বলেছেন।’
গত ১ ফেব্রুয়ারি বগুড়া-৪ এবং বগুড়া-৬ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেন হিরো আলম। বগুড়া-৪ আসনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত জাসদ প্রার্থীর কাছে মাত্র ৮৩৪ ভোটে হেরে যান তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।