বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বগুড়ার রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মোঃ সাইফুল ইসলামের নিকট থেকে বুধবার দুপুরে একতারা প্রতীক বরাদ্দ নিয়ে নির্বাচনী মাঠে নামলেন আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম।
এর আগে দুপুর ১২ টায় হিরো আলম সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃ মাহমুদ হাসানের নিকট জেলা নির্বাচন অফিসে তার রায়ের কপি জমা দেন। পরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আসেন।
প্রতীক বরাদ্দের পর জেলা প্রশাসক মোঃ সাইফুল ইসলাম হিরো আলমকে অদম্য হিরো আলম বলে উল্লেখ করে বলেন, হিরো আলমের মানুষিক স্প্রিট দারুণ। তার জন্য শুভকামনা রইল এবং সুষ্টু নির্বাচনের আশ্বাস দিলেন।
হিরো আলম জানান, সিংহ মার্কা প্রতীক বাংলাদেশ গনতান্ত্রিক আন্দোলন দলের নিবন্ধন কৃত ছিল তা জানতাম না। ২০১৮ সালে ওই প্রতীক নিবন্ধিত ছিল তা। তাই মার্কা পরিবর্তন করে এবার একতারা মার্কা নিলাম।
নির্বাচন সুষ্ঠু হলে তিনি জয়ের বিষয়ে আশাবাদী বলে জানিয়ে বললেন, বিগত নির্বাচনে আমার লোক কম ছিল তাই হামলা করেছিল। এবার কর্মী বাহিনী অনেক বেশী। হামলা হলে পাল্টা হামলা করবো।
মনোনয়ন উচ্চ আদালতে বৈধ হওয়ার পর নির্বাচন কমিশনের এক শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর নেয়ার নিয়মটি কালো আইন বলে অভিহিত করে স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম জানালেন, এই এক শতাংশ স্বাক্ষর বিষয়ে ভোটের পর উচ্চ আদালতে রীট করবো।
২০১৮ সালে নির্বাচনেও তার মনোনয়ন একই কারণে বাতিল হলে উচ্চ আদালতের নির্দেশে ফিরে পান। এবারও একই ঘটনা ঘটলো।
হিরো আলমের প্রশ্ন, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করতে নির্বাচন কমিশনের বেধে দেয়া নিয়ম একটি প্রহসন, হয়রানী মুলক এবং সাংঘর্ষিক।
কারণ হিসেবে ব্যাখ্যা করে বললেন, এমপি, উপজেলা নির্বাচনে স্বতন্ত্র
প্রার্থীদের ক্ষেত্রে মোট ভোটারের এক শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর প্রয়োজন হয়। কিন্তু ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে কেন স্বতন্ত্র
প্রার্থীর বেলায় তা করা হয়না। আবার দলীয় প্রতীক উপজেলা চেয়ারম্যান এবং ইউনিয়ন
পরিষদ চেয়ারম্যানের বেলায় প্রযোজ্য। মার্কাও দলীয় দেয়া হয়। কিন্তু উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এবং ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যদের কেন দলীয় প্রতীক দেয়া হয়না। একই নির্বাচনে দুই ধরনের নিয়ম কি সঠিক?
আশরাফুল আলম ওরফে
হিরো আলম স্বতন্ত্র প্রার্থীর এক শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষরের নিয়মটি বাতিলের দাবী করে বলেন, ধরুন কোন স্বতন্ত্র প্রার্থী তার নির্বাচনী এলাকার ভোটারের এক শতাংশ স্বাক্ষর নিয়ে মনোনয়ন দাখিল করলো। তার অর্থ ওই একশতাংশ ভোটার তার পক্ষে। কিন্তু গননার পর দেখা গেল ওই এক শতাংশ ভোটার স্বাক্ষর দেয়ার পর তার চেয়ে কম ভোট পেয়েছে প্রার্থী। নির্বাচন কমিশন কি বিধান দিবেন এই বিষয়টি। ভোটের আগেই নির্বাচন কমিশন ভোট করলেন এক শতাংশের। মেনেও নিলেন। ওই স্বাক্ষরের চেয়ে কম ভোট হওয়ায় কি ব্যাবস্হা নিবেন? তার চেয়ে নির্বাচন কমিশন বলুক স্বতন্ত্র প্রার্থীরা যত স্বাক্ষর নিবে তা ভোট হিসেবে গন্য হবে।
প্রশ্ন তুলে হিরো আলম সবার উদ্দেশ্য বলেন, আমি সংসদে গিয়ে কি বলবো এবং কি করবো? যদি এইসব কালো নিয়মের কথা বলতে পারি, তাহলে জানবেন, সংসদে যাওয়ার যোগ্যতা আমার আছে। আমি কোন প্রার্থীর বিরুদ্ধে কথা বলে হিরো হতে চাই না। আমার আমি এবং জনতার আমি। আমি তাই কালো আইন নিয়ে লড়বো। আমি দুস্থদের সহায়তা করি আমার কষ্টের টাকায়, আমার কোন কালো টাকা নেই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।