পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের হিরো আলম প্রসঙ্গে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের জবাব দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, মির্জা ফখরুল সাহেব বললেন, রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে হিরো আলমকে হারানো হয়েছে। হায় রে মায়া! মায়া রে মায়া!! হিরো আলমের জন্য এতো দরদ উঠল তার!!! তিনি ভেবেছিলেন, হিরো আলম জিতে যাবে। কিন্তু হিরো আলম এখন জিরো হয়ে গেছে। হিরো আলমকে বিএনপি নির্বাচনে দাঁড় করিয়েছে। তারা সংসদকে ছোট করার জন্য হিরো আলমকে প্রার্থী করেছে। অবশেষে মির্জা ফখরুলের স্বপ্ন ভঙ্গ হয়েছে। গতকাল শনিবার কামরাঙ্গীরচর সরকারি হাসপাতাল মাঠে ‘বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, নৈরাজ্য, অপরাজনীতি ও দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের’ বিরুদ্ধে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরো বলেন, মির্জা ফখরুল সাহেব, পাকিস্তান আমল তো ভালো, এখন পাকিস্তানের কী অবস্থা? বাংলাদেশের ৬ মাস আমদানি করার রিজার্ভ আছে। পাকিস্তানে ৩ সপ্তাহের রিজার্ভও নেই। আজকে ক্ষুধায় সমস্ত পাকিস্তান কাঁপছে। সেই পাকিস্তান আপনার ভালো লাগে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনা নেতৃত্বে বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়াবে। কিন্তু আপনারা (বিএনপি) যদি ক্ষমতায় যান, বাংলাদেশ আজকের পাকিস্তান হবে। ফখরুল সাহেবরা বাংলাদেশকে পেয়ারের পাকিস্তান বানাবে, আমরা সেটা হতে দেব না।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির কাছে ক্ষমতা দেয়া মানে আলো থেকে অন্ধকারে যাওয়া। আমরা বিএনপির পাল্টাপাল্টি কোনো কর্মসূচি দিচ্ছি না। তারা কর্মসূচি করছে নয়াপল্টনে, আমরা করছি কামরাঙ্গীরচরে। পাল্টাপাল্টি হলে তো বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে করতাম।
বিএনপিকে পাত্তা দেয়ার কিছু নাই মন্তব্য করে তিনি বলেন, কোনো পাল্টাপাল্টি নয়, কিন্তু আগামী নির্বাচন পর্যন্ত প্রতিদিনই আমাদের কোনো না কোনো কর্মসূচি থাকবে।
বিএনপির পদযাত্রা নিয়ে কাদের বলেন, তাদের পতনযাত্রা শুরু হয়েছে। বিএনপির ভুয়া দাবির সঙ্গে জনগণ নেই। তাদের কর্মসূচিতে নেতাকর্মীও কমে যাচ্ছে। বিএনপির নেতারা আন্দোলনের রঙিন খোয়াব দেখতে পারেন। কিন্তু এ স্বপ্ন কোনোদিনও পূর্ণ হবে না।
আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, খেলা তো হবে, কিন্তু প্রতিদ্বন্দ্বী কোথায়? প্রতিপক্ষ তো নরম হয়ে গেছে। আন্দোলনের খেলায় তো পরাজিত হয়ে গেছে। এখন বাকি আছে নির্বাচন। নির্বাচনে ফাইনাল খেলা হবে। দুর্বল প্রতিপক্ষ চাই না, শক্তিশালী প্রতিপক্ষ চাই। নির্বাচন ফেয়ার হবে।
উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, দেশকে তারেক, সন্ত্রাস, হাওয়া ভবন, অর্থপাচারের কাছে তুলে দেবেন? তা নাহলে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করুন।
ওয়ান-ইলেভেনের প্রসঙ্গ স্মরণ করে কাদের বলেন, আওয়ামী লীগের দুঃসময়ে অনেককেই পাওয়া যায়নি। দল করলে দলের শৃংখলা মানতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, মানুষ অসন্তুষ্ট হয়, এমন কাজ করলে দলের, সরকারের ক্ষতি হয়। যারা ভূমি দখল, মাদক ব্যবসা, স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির সঙ্গে সখ্য রাখে; তাদের আওয়ামী লীগ করার কোনো অধিকার নেই। খারাপ লোক এনে পার্টি করানোর দরকার নেই। ভালো লোক, ত্যাগীদের দিয়ে কমিটি করুন। বসন্তের কোকিলদের খারাপ সময়ে পাওয়া যাবে না।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে সরকারের সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী কাদের বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, তেলের দাম বৃদ্ধি, ইউক্রেন যুদ্ধ, পাল্টাপাল্টি নিষেধাজ্ঞার কারণে বেশি দামে পণ্য কিনে আমাদেরকে কম দামে সরবরাহ করতে হয়। এ অবস্থায় আপনারা কিছুটা কষ্টে আছেন। স্বল্প আয়ের মানুষ কষ্ট করছেন। নেত্রী ভালো করেই জানেন। আমরা পরিস্থিতিকে অস্বীকার করছি না। শেখ হাসিনা দিনরাত কষ্ট করে যাচ্ছেন, যাতে আপনাদের এ কষ্ট কেটে যায়।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, ডা. মহিউদ্দিন জালাল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ প্রমুখ। শান্তি সমাবেশ পরিচালনা করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ প্রমূখ। ##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।