গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
খুলনা ব্যুরো : খুলনা সিটি করপোরেশনের (কেসিসি) গোয়ালখালীতে সড়ক উন্নয়ন কাজে রাস্তার পাশের প্রায় ছয় লাখ টাকার গাছ বিক্রিতে দেখানো হয়েছে মাত্র ৬৬ হাজার টাকা। অভিযোগ উঠেছে, বাকি টাকা ভাগ হয়েছে চার কাউন্সিলর ও সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীর মধ্যে। এ নিয়ে কেসিসিতে গুঞ্জন উঠেছে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে।
কেসিসি সূত্র জানায়, নগরীর গোয়ালখালী থেকে শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতাল বাইপাস সড়কটির প্রস্ততকরণে দরপত্র আহŸান করা হয়েছিল। সড়কটির দু’পাশে সাড়ে তিন শতাধিক গাছ ছিল। সড়কটি সম্প্রসারণের জন্য গাছগুলো কাটার প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা করে গত ২৬ নভেম্বর পূর্ত বিভাগ মেয়র বরাবর নোট দেয়। এ নিয়ে কেসিসি ছয় সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে দেয়। স্থান ও গাছ পর্যবেক্ষণ শেষে গাছগুলো কাটার পরামর্শ দেয় সংশ্লিষ্ট কমিটি। বিক্রয় কমিটির প্রধান রাখা হয় ২৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ওয়াহেদুর রহমান দিপু; আর সদস্য ছিলেন ২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো: সাইফুল ইসলাম, ৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর জাহিদুল ইসলাম ও সংরক্ষিত ৫ নম্বর ওয়ার্ডের আনজিরা খাতুন, পূর্ত বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আবুল হোসেন মৃধা এবং এস্টেট অফিসার মো: নুরুজ্জামান তালুকদার। এর প্রেক্ষিতে সড়কটির দু’পাশে পাঁচ ধাপে তিন শতাধিক গাছ কাটার সিদ্ধান্ত হয়। গত ২৯ নভেম্বর চার ধাপে ভাগ করে গাছগুলো কৌশলে বিক্রি দেখানো হয়েছে কেসিসিতে। যার প্রথমধাপে ২৬টি গাছের মূল্য নির্ধারণ করা হয় ১৫ হাজার, দ্বিতীয় ধাপে সাতটি গাছের দাম সাড়ে ১১ হাজার, তৃতীয় ধাপে ১৪টি গাছে ২১ হাজার এবং চতুর্থ ধাপে ২৩৪টি গাছে ১৯ হাজার টাকা। কেসিসিতে গাছের দাম দেখানো হয়েছে মাত্র ৬৫ হাজার টাকা। তবে সূত্রটি বলছে, গাছগুলো বিক্রি হয়েছে কমপক্ষে সাড়ে ছয় লাখ টাকায়। অথচ কেসিসিতে এ বাবদ জমা পড়েছে মাত্র ৬৬ হাজার টাকা। কমিটির সদস্যদের মধ্যে বাকি টাকার ভাগ বাটোয়ারা হয়েছে। কেসিসির সাধারণ সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২৫ হাজার টাকার উপরের কোনো কেনা-বেচা করতে হলে অবশ্যই উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করতে হবে। তবে গাছ বিক্রয়ের ক্ষেত্রে বাস্তবায়ন হয়নি সে নিয়ম। অভিযোগ উঠেছেÑ টেন্ডার প্রক্রিয়ায় না যাওয়ার জন্যই চার ধাপে ভাগ করে ২৫ হাজার নিচে অর্থ অঙ্ক দেখানো হয়। উপরন্তু এ কাজে অর্থ লোপাটের জন্য অনেকটা চুপিসারে বিক্রি করা হয়েছে। কমিটির সদস্যরা দাবি করেছেন, গাছগুলো দুর্যোগকালীন স্পট কোটেশনের মাধ্যমে বিক্রি করা হয়েছে; যে কারণে টেন্ডার প্রক্রিয়ায় যাওয়া হয়নি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।