পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
মুহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান, টেকনাফ : কক্সবাজারের টেকনাফে মাঠ থেকে লবণ উৎপাদন শুরু করেছে চাষিরা। এবছর প্রাকৃতিক পরিবেশ এবং সবকিছু অনুক‚লে থাকায় অন্য বছরের চেয়ে লবণ উৎপাদন বেশি হবে বলে চাষিরা মনে করছেন। তবে গত বছরের তুলনায় লাভ একটু কম হতে পারে এমনটি মনে করছেন লবণ উৎপাদনে জড়িতরা। সাধারণত প্রতিবছর এই সময়ে টেকনাফজুড়ে লবণ উৎপাদনের প্রতিযোগিতা চলে।
গেল বছর লবণ চাষিরা অধিক লাভবান হওয়ায় এবারে জমির দাম দ্বিগুণ হয়ে গেছে। জমির মূল্য দ্বিগুণ হলেও বর্গা নিয়ে চাষিরা আগাম লবণ মাঠে নেমে পড়েছেন। লবণের মূল্য থাকায় অধিক লাভের আশায় বিভিন্ন এলাকায় উৎপাদনের জন্য নতুনভাবে জমি আবাদের কাজ চলছে।
দেখা গেছে, এবছর প্রচুর পরিমাণ জমি নতুনভাবে লবণ উৎপাদনের আওতায় এসেছে। লবণ মাঠ ঘুরে দেখা যায়, কৃষক উৎপাদনযোগ্য জমি লবণ উৎপাদনে উপযোগী করে তুলছেন। কেউ ট্রাক্টর বা যন্ত্র দিয়ে লবণ মাঠ খুঁড়ছেন। কেউ কেউ পানি দিয়ে মাটি ভেজানের কাজ করছেন। অনেকে মাঠে গরা মেরে পলিথিন বিছানোর কাজ করছেন। কিছু এলাকায় চাষিরা আগাম লবণ তুলছেন। এসময় কথা হয় রঙ্গিখালী এলাকার লবণচাষি শাহ আলম এবং হোছেনের সাথে। তারা বলেন, প্রাকৃতিক পরিবেশ এবং সবকিছু অনুক‚লে থাকলে গত মৌসুমের চেয়ে এবছর আরো বেশি সুবিধা হবে।
তবে চাষিদের অনেকে অভিযোগ করে জানান, টেকনাফের লবণ চাষিরা অনেকটা ব্যবসায়ীদের হাতে জিম্মি। মাঠ মালিক তথা লবণ ব্যবসায়ীরা বিশেষ পদ্ধতির মাধ্যমে অধিক টাকা আয় করে থাকেন। সাধারণত ব্যবসায়ীচক্র কমিশন ভিত্তিতে চাষিদের লবণ মাঠে কাজ করান। এ কারণে লবণের মূল্য থাকলেও চাষিরা যথারীতি চাহিদামতো টাকা পাচ্ছেন না। এসব এলাকার লবণচাষিরা পুরো মৌসুমেই ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের হাতে জিম্মি থাকে। মূল্য থাকলেও সিন্ডিকেট করে কম মূল্যে মাঠ থেকে তারা লবণ ক্রয় করে বলে চাষিদের অভিযোগ।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, টেকনাফ উপজেলার সাবরাং, শাহপরীর দ্বীপ, নয়াপাড়া, নাজিরপাড়া, জ¦ালিয়াপাড়া, চৌধুরীপাড়া, দমদমিয়া, জাদীমুরা, মুচনী, লেদা, আলীখালী, রঙ্গিখালী, নাটুমরাপাড়া, ফুলের ডেইল, হোয়াব্রাং, মৌলভীবাজার, খারাংখালী, নয়াবাজার, ঝিমংখালী, নোয়াপাড়া, কাঞ্জরপাড়া, উনছিপ্রাং, লম্বাবিলসহ হোয়াইক্যয়ের কিছু কিছু এলাকায় লবণ উৎপাদন করা হয়।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, ২০১৫-২০১৬ মৌসুমে টেকনাফ উপজেলায় দুই হাজার ৭শ’ একর জমিতে লবণ উৎপাদন করা হয়। ওইসময় টেকনাফ থেকে ৮৮ হাজার ২শ’ মেট্রিক টন লবণ উৎপাদন হয়েছে। ২০১৬-২০১৭ মৌসুমে উৎপাদন এবং উৎপাদন দুটিই সমানতালে বাড়তে পারে বলে লবণশিল্পে জড়িতরা মনে করছেন।
হ্নীলা লবণ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো: ছাবের খাঁন বলেন, চাষি এবং ব্যবসায়ীদের স্বার্থ রক্ষায় নৈতিকভাবে লবণ মালিক সমিতি সদা সহযোগিতা করবে।
এদিকে বিসিক টেকনাফ লবণ কেন্দ্র কার্য্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: মিজানুর রহমান বলেন, উপজেলার পৌরসভা ও চারটি ইউনিয়নে লবণ উৎপাদন হচ্ছে। গত মৌসুমের চেয়ে এই মৌসুমে লবণ উৎপাদন বাড়তে পারে। বিভিন্ন এলাকায় নতুনভাবে অনেক জমি চাষের জন্য আবাদ হচ্ছে জানিয়ে তিনি আরো বলেন, ২০১৬-২০১৭ মৌসুমে লবণশিল্পে সীমান্তের চাষিরা উল্লেখযোগ্য ভ‚মিকা রাখবেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।