বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ময়মনসিংহ আঞ্চলিক অফিস ও ইশ্বরগঞ্জ সংবাদদাতা : ময়মনসিংহে দ্বীনি দাওয়াত নিয়ে ইসলামী মাহফিলে ঝটিকা সফর করেছেন উপমহাদেশের প্রখ্যাত আলেম হেফাজত ইসলামের আমীর আল্লামা শাহ আহমদ শফী। শনিবার দুপুরে চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদরাসা থেকে বিশেষ হেলিকপ্টারে করে তিনি এ সফরে আসেন।
এ সময় উপমহাদেশের আলেমকূলের শিরোমনি বিশিষ্ট ইসলামী নেতা আল্লামা শাহ আহমদ শফীকে এক পলক দেখার জন্য লাখ লাখ তৌহিদী জনতার ঢল নামে তার আগমন স্থল ও আশপাশ এলাকায়। ফলে নিরাপত্তার বিষয়ে পূর্ব থেকেই স্থানীয় প্রশাসন ছিল সতর্ক অবস্থানে।
জানা যায়, আল্লামা শাহ আহমদ শফী শনিবার বিকেলে বিশেষ হেলিকপ্টার যোগে ময়মনসিংহ নগরীর মধ্য বাড়েরা এলাকার খানকায়ে হোসাইনীয়া মাদানী শরীফে তিন দিনব্যাপী ওয়াজ মাহফিলে এসে যোগদান করেন।
এ সময় আল্লামা শাহ আহমদ শফী উপস্থিত তৌহিদী জনতার উদ্দেশ্যে বলেন, গ্রামে গ্রামে ওয়াজ মাহফিল করে দ্বীনের তালিম দিন। যারা আমল করবে, তারা ছওয়াব পাবে। আমরা জোর করে দ্বীনের দাওয়াত দিব না। বেশি বেশি দরূদ পড়–ন। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ কায়েম করুন।
তিনি আরো বলেন, ওয়াহাবি বলে ঝগড়া করবেন না। যারা ওয়াহাবি ওয়াহাবি বলে, তারাই ওয়াহাবি। দাঁড়িয়ে দরূদ পড়ার কোনো নিয়ম নেই। তিনি বলেন, যারা নামাজের ওয়াজ করে না, তারা ওয়াহাবি ওয়াহাবি বলে। ঝগড়া-বিবাদ করে লাভ নেই, আপনা ভালো হলে জগৎ ভালো হয়। তিনি বলেন, ওয়াজ মাহফিলে ১০ হাজার এক টাকা দিয়ে একে অপরকে গালিগালাজ করে। ১০ হাজার এক টাকা দিয়ে ওয়াজ করাবেন না। এ সময় ময়মনসিংহের সর্বস্তরের শীর্ষ আলেমগণ উপস্থিত ছিলেন। এর আগে শনিবার বেলা ২টায় চট্টগ্রাম থেকে বিশেষ হেলিকপ্টারযোগে সরাসরি ময়মনসিংহের ঈশ^রগঞ্জ উপজেলার খেলার মাঠ সংলগ্ন ঈদগাহ মাঠে তিনি অবতরণ করে স্থানীয় বাইতুল কুরআন হাফিজিয়া ক্বওমিয়া মাদরাসার দস্তারবন্দী (সমাবর্তন) অনুষ্ঠানে যোগদান করেন। এ সময় তিনি লক্ষাধিক জনতার অংশগ্রহণে বায়াত পাঠ করান এবং কোনো বক্তব্য না দিয়ে প্রায় আধা ঘণ্টাব্যাপী বিশেষ মোনজাতে বিশ্বের নিপীড়িত নির্যাতিত মুসলমানদের শান্তি-সমৃদ্ধি কামনায় মোনাজাত করেন। এ সময় ইত্তেফাকুল উলামা বৃহত্তর ময়মনসিংহের সভাপতি আল্লামা আবদুর রহমান হাফেজ্জী হুজুরের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন দারুল উলুম দেওবন্দ মাদরাসার শাইখুল হাদিস আওলাদে রাসূল আল্লামা আরশাদ মাদানী (দা: বা:)। এ সময় বাইতুল কুরআন হাফিজিয়া ক্বওমিয়া মাদরাসার ১১৫জন ছাত্রকে পাগড়ি পড়ানো হয়।
নেত্রকোনায় দস্তারবন্দী সম্মেলন
নেত্রকোনা জেলা সংবাদদাতা জানান, বাংলাদেশ ক্বওমী মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড (বেফাক) সভাপতি আল্লামা শাহ্ আহমদ শফী বলেছেন, প্রতিটি মুসলমান নর-নারীর উচিৎ দ্বীনী শিক্ষা লাভ করা। আপনারা যদি আপনাদের প্রিয় সন্তানকে ঈমান, আকিদা, নীতি, নৈতিকতা ও ধর্মীয় মূল্যবোধের আলোকে সু-শিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তুলতে পারেন তাহলে দেশে কোন অনাচার, অরাজকতা, হিংসা, বিদ্বেষ থাকবে না। দেশের ক্বওমী মাদ্রাসাগুলো শিশুদেরকে ঈমান, আকিদা, নীতি, নৈতিকতা ও ধর্মীয় মূল্যবোধের আলোকে সু-শিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তোলার কাজ করছে। আপনারা অপনাদের শিশুদেরকে আলেম উলামা মাশাখেয় হিসাবে গড়ে তুলার চেষ্টা করবেন। কারণ একজন আলেম ১০ জন গুনাহগারকে জাহান্নাম থেকে জান্নাতে পাঠাতে সুপারিশ করতে পারেন। তিনি গতকাল সন্ধ্যার পর নেত্রকোনার মালনীস্থ জামিয়া ইসলামিয়া হুসাইনিয়া মাদ্রাসার দস্তারবন্দী সম্মেলনে (সমাবর্তন) প্রধান অতিথি হিসেবে এসব কথা বলেন।
ক্বওমী মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডেও সহ-সভাপতি আল্লামা আযহার আলী আনোয়ার শাহ্’র সভাপতিত্বে সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মাওঃ শফিকুর রহমান জালালাবাদী, মাওঃ জিয়াউদ্দিন, মুফতি মামুনুর রশিদ, মুফতি তাহের কাশেমী, মাওঃ আব্দুল হক ও মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওঃ আব্দুর কাইয়ুম প্রমুখ। সম্মেলনে তিন শতাধিক ছাত্রকে পাগড়ী পরিয়ে দেয়া হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।